বাংলাদেশের বর্তমানের অন্যতম জনপ্রিয় হেভি মেটাল ব্যান্ড Ending Face(EF)।ব্যান্ডটি সম্পর্ককে জানতে পড়ুন।

দুই প্রহরে, রাত্রিতে এগিয়ে, চলছি একা, ঘোর অরন্যে...
ধরতে পেরেছেন ট্র্যাকটি? হ্যা, আমি ইএফ ব্যান্ডের কথাই বলছি।
ব্যান্ড: ইএফ
অরিজিন: ঢাকা
জনরা: হেভি মেটাল
সময়কাল: ২০১১ থেকে বর্তমান...
ব্যান্ড হিস্ট্রি: ২০১১ সালের মে মাসের সাত তারিখ প্রথম যাত্রা শুরু করে "ইএফ"। প্রথম থেকেই তারা চেষ্টা করছিল এমন মিউজিক করার যা মোটামুটি সব মিউজিক শ্রোতাদের কানে ভালো লাগবে এবং মনে রাখবে অনেকদিন। শুরুর দিকে তারা ডিও, ইনফ্লেমস, স্লিপনট, লিংকিং পার্কের মত জনপ্রিয় ব্যান্ডের গান কাভার করতেন। পাশাপাশি তারা নিজেদের গান নিয়েও কাজ করতেন। ঐ সময় ব্যান্ডের লাইনআপে ছিলেন গিটারিস্ট তন্ময় রহমান, বেজিস্ট সুম ভাই, ড্রামসে আরিফুর রহমান এবং ভোকালে ফজলে রাব্বি। ২০১১-২০১২ পর্যন্ত লাইনআপে কোন পরিবর্তন হয়নি। তবে ২০১৩ তে এসে লাইনআপে কিছুটা পরিবর্তন আসে। আরিফ উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে চলে যান আর রাব্বি নিজের বাক্তিগত কারনে ব্যান্ড ছেড়ে দেন।

এরপর ব্যান্ডের কাজকর্ম কয়েক মাস বন্ধ থাকে। ২০১৩ সালের শেষের দিকে ড্রামার হিসেবে এ.এস.ইমন জয়েন করেন। ২০১৩-২০১৪ পর্যন্ত "ইএফ" এ কোন স্থায়ী ভোকাল ছিল না। এইসময় তারা বিভিন্ন কনসার্টে গেস্ট ভোকাল নিয়ে পারফর্ম করতেন।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারীতে "ইএফ" ভোকাল ছাড়াই তাদের প্রথম স্টুডিও এ্যালবাম "মুখোশ" এর কাজ শুরু করে। রেকর্ডিং চলার পাশাপাশি এবং অন্যান্য সময়েও তন্ময়, সুম ভাই ও ইমন সবসময় ভোকালের খোঁজ করতেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ভোকাল হিসেবে অংকুর রহমান জয়েন করেন। ততদিনে এ্যালবাম রেকর্ডিঙের কাজ ৭০% শেষ, শুধু সবগুলো গানের ভোকাল টেক দেয়া বাকি। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে অংকুর খুব দ্রুততার সঙ্গে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে নভেম্বর মাসের শুরুর দিকেই সবগুলো গানের ভোকাল টেক দিয়ে দেন। এবং ডিসেম্বর মাসেই এ্যালবামের কাজ পুরোপুরি ভাবে শেষ হয়ে যায়।
২০১৬ সালের জানুয়ারী মাসে তাদের প্রথম স্টুডিও এ্যালবাম "মুখোশ" রিলিজ হয়। ২০১৬ সালেরই মে মাসে "ইএফ" র পঞ্চম জন্মদিনে দ্বিতীয় গিটারিস্ট হিসেবে আখলাকুল আজিম নাহিয়ান জয়েন করেন।
বর্তমানে ব্যান্ডের লাইনআপে আছে -
ভোকাল - অংকুর রহমান
গিটারিস্ট - তন্ময় রহমান
গিটারিস্ট - আখলাকুল আজিম নাহিয়ান
বেজিস্ট - সুম ভাই
ড্রামার - এ.এস.ইমন
যেসব ব্যান্ড তাদের অনুপ্রেরনা: ডিও, আইরন মেইডেন, মেটালিকা, মেগাডেথ, ব্ল্যাক সাবাত, স্লিপনট।
ডিস্কোগ্রাফি: ২০১৬ সালে জানুয়ারী মাসের ২২ তারিখ আরএম মিউজিক লেবেল থেকে তাদের প্রথম স্টুডিও এ্যালবাম "মুখোশ" রিলিজ হয়। এ্যালবামটি শ্রোতাদের কাছে ভালোই সাড়া পায়। এ্যালবামটিতে ৯টি ট্র্যাক ছিল। প্রায় সবকটি ট্র্র্যাকই মেটালহেডদের পছন্দের। ট্র্যাকসূমহ:
১. ইনট্রো (ইএফ)
২. রণনীতি
৩. সময় ২০১৫
৪. নন্দিত নরক
৫. হাহাকার
৬. অপেক্ষা
৭. মুখোশ
৮. শেষ প্রহর (revised)
৯. মিথ্যা
এছাড়াও বিভিন্ন ব্যান্ড মিক্সড এ্যালবামে তাদের ৩ টি ট্র্যাক রিলিজ পেয়েছে এবং সবগুলো এ্যালবামেরই মিউজিক লেবেল হচ্ছে "জি-সিরিজ"।
ট্র্যাকসূমহ:
১. স্বপ্নচুরা-৪ এ্যালবাম থেকে বের হয় "শেষ প্রহর" (মে ৩০, ২০১৪)।
২. রক ৮০৮, ৯০৯, XOX এ্যালবাম থেকে বের হয় "দুঃস্বপ্ন" (এপ্রিল ২০, ২০১৫)।
৩. সংশোধন এ্যালবাম থেকে বের হয় "টু আওরস" (সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৬)।
সম্প্রতি "ইএফ" এর দুটি গানের মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে রিলিজ পেয়েছে। গান দুটি হল "নন্দিত নরক" এবং "মুখোশ"। মিউজিক ভিডিও দুটি ইতিমধ্যে শ্রোতাদের কাছে ভালো সাড়া পেয়েছে।
তন্ময় ভাইয়াকে ধন্যবাদ। আপনার হেল্প ছাড়া এটা লেখা সম্ভব ছিলনা।

Post credit :Anik Chakraborty

Comments

Popular posts from this blog

শাবনূরের লাইফস্টাইল অজানা অনেক তথ্য I আসল নাম | উচ্চতা I ওজন I শারীরিক পরিমাপ | বয়স | পড়ালেখা | স্বামী | ক্যারিয়ারের অর্জন | বাড়ি | জীবনী এবং উল্লেখযোগ্য সিনেমায় ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্ককে জানতে অবশ্যই পড়ুন

বাংলাদেশী ব্যান্ডের আন্ডাররেটেড গান সমূহের তালিকা দেয়া হলো । নতুন কিছু গানের স্বাদ পেতে অবশ্যই পড়ুন।

পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ২০ টি বস্তু, যা এতটাই দামী আপনি শুনে অবাক না হয়ে পারবেন না,জানতে অবশ্যই পড়ুন।