পথশিশু থেকে বিশ্বসেরা কিভাবে হলো রিভালদো জানতে অবশ্যই পড়ুন।
যদি স্বপ্ন থাকে আকাশছোঁয়া। জীবনের মূলমন্ত্র হয় সংগ্রাম। তার সফলতাও যেন অবধারিত। কী তার বংশ পরিচয়। কোথায় তার ঠিকানা। এসব কিছুই আসে যায় না। ব্রাজিলের সাবেক তারকা ফুটবলার রিভালদো তা প্রমাণ করেছেন।
ছিলেন এক পথশিশু। সেখান থেকে তিনি জিতেছেন বিশ্বকাপ। রিভালদোর জন্ম ব্রাজিলের এক দরিদ্র পরিবারে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি মর্মান্তিক ট্রাজেডির শিকার হন। সড়ক দুর্ঘটনায় তার বাবা মারা যান। পরিবারকে দুমুঠো আহার যোগাতে কর্মে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। রাস্তার পাশে কিংবা নদীর তীরে মিষ্টি ও পানীয় বিক্রি শুরু করেন।
স্থানীয় লোকজন তাকে পথশিশু হিসাবেই বেড়ে উঠতে দেখেন। কিন্তু কে জানত এই পথশিশুর মাঝেই লুকায়িত ছিল বিশ্বতারকা হওয়ার অদম্য স্পৃহা। মিষ্টি বিক্রি করার ফাঁকে পাড়ার ছেলেদের সাথে ফুটবল খেলতেন। তবে আহারের টানে সবই যেন তার কাছে দুঃসহ লাগত। মাথায় এক ভুত চেপে বসে; নিয়মিত অনুশীলন করা যায় কি না? ১৫ মাইল দূরে পথশিশুদের জন্য একটি অনুশীলন ক্যাম্প ছিল। দুরন্ত রিভালদো পায়ে হেটেই সেখানে নিয়মিত হাজির! একদিন প্রতিভান ফুটবলারের খোজে পাওলিস্তানো ক্লাবের কর্তাব্যক্তিরা এখানে আসেন। তাদের চোখে লাগে রিভালদোর বা-পায়ের যাদু।
তবে দলটির কোচ ভাবলেন, খর্বকায় রিভালদোকে দিয়ে বোধ হয় ফুটবল হবে না। কেননা অপুুষ্টিতে ভুগতে ভুগতে সামনের দাতও পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই কোচের খোড়া যুক্তি পরবর্তীতে ভুল প্রমাণ করেন ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলার। বা-পায়ের কারিশমা দেখিয়ে মুগ্ধ করে ফেলেন ক্লাবের সবাইকে। তবে রিভালদোর যোগ্যতা প্রমাণিত হয় ৫ বছর পর, সাও পাওলোতে এসে। অভিষেক ম্যাচেই তার বাজিমাত। ফ্রি-কিক থেকে বা-পায়ের দুর্দান্ত শটে নরোস্কোর জালে বল জড়ান তিনি। ১৯৯৬ সালে অলিম্পিকে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখাতে সক্ষম হন। তবে তার দল সেই আসরে ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে।
১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলকে ফাইনালে তোলেন। তবে জিনেদিন জিদানের ফ্রান্সের কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল সেলেকাওদের। ১৯৯৯ সালে দুর্দান্ত মৌসুম পার করায় বিশ্বসেরার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যালন ডি’অর জেতেন। ২০০২ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন রিভালদো। আসরটিতে মহামূল্যবান ৫টি গোল করেন তিনি। ভক্ত ও মিডিয়ার ভোটে সেই আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন রোনালদো। কিন্তু ব্রাজিলের তখনকার কোচ লুইস ফিলিপে স্কলারি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘২০০২ সালের বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় রিভালদোই।’
এ ছাড়া ক্লাব ফুটবলেও ছিল তার বিস্তর পথচলা। খেলেছেন সাও পাওলো, অলিম্পিয়াকস, অ্যাথেন্স, এসি মিলান ও বার্সেলোনার মতো নামিদামি ক্লাবের হয়ে। ২০০৩ সালে ফুটবলকেই বিদায় জানান তিনি। বিদায় বেলায় বলেছিলেন, ‘আমি ব্রাজিলের কাছে চির ঋণী। এ পর্যন্ত যত মেডেল, শিরোপা, পুরস্কার জিতেছি সবই এই দেশটির অবদান। আমি কখনোই ভুলব না। এখানেই গল্পের ইতি টানছি।’ তবে রিভালদোর এই গল্পের নেপথ্যে ছিল অসহনীয় দুঃখ-কষ্ট। যা ফুটে উঠেছে তার ভাষ্যেও, আমার ক্যারিয়ারটা অলৌকিকভাবেই গড়ে উঠেছে। ছোট্ট এক পাওলিস্তায় বাস করতাম। যেখানে ছিল না অর্থনৈতিক সম্পদ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুব্যবস্তা। বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ স্বপ্ন সত্যি হল। এতেই আমি মহাখুশি।
ছিলেন এক পথশিশু। সেখান থেকে তিনি জিতেছেন বিশ্বকাপ। রিভালদোর জন্ম ব্রাজিলের এক দরিদ্র পরিবারে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি মর্মান্তিক ট্রাজেডির শিকার হন। সড়ক দুর্ঘটনায় তার বাবা মারা যান। পরিবারকে দুমুঠো আহার যোগাতে কর্মে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। রাস্তার পাশে কিংবা নদীর তীরে মিষ্টি ও পানীয় বিক্রি শুরু করেন।
স্থানীয় লোকজন তাকে পথশিশু হিসাবেই বেড়ে উঠতে দেখেন। কিন্তু কে জানত এই পথশিশুর মাঝেই লুকায়িত ছিল বিশ্বতারকা হওয়ার অদম্য স্পৃহা। মিষ্টি বিক্রি করার ফাঁকে পাড়ার ছেলেদের সাথে ফুটবল খেলতেন। তবে আহারের টানে সবই যেন তার কাছে দুঃসহ লাগত। মাথায় এক ভুত চেপে বসে; নিয়মিত অনুশীলন করা যায় কি না? ১৫ মাইল দূরে পথশিশুদের জন্য একটি অনুশীলন ক্যাম্প ছিল। দুরন্ত রিভালদো পায়ে হেটেই সেখানে নিয়মিত হাজির! একদিন প্রতিভান ফুটবলারের খোজে পাওলিস্তানো ক্লাবের কর্তাব্যক্তিরা এখানে আসেন। তাদের চোখে লাগে রিভালদোর বা-পায়ের যাদু।
তবে দলটির কোচ ভাবলেন, খর্বকায় রিভালদোকে দিয়ে বোধ হয় ফুটবল হবে না। কেননা অপুুষ্টিতে ভুগতে ভুগতে সামনের দাতও পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই কোচের খোড়া যুক্তি পরবর্তীতে ভুল প্রমাণ করেন ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলার। বা-পায়ের কারিশমা দেখিয়ে মুগ্ধ করে ফেলেন ক্লাবের সবাইকে। তবে রিভালদোর যোগ্যতা প্রমাণিত হয় ৫ বছর পর, সাও পাওলোতে এসে। অভিষেক ম্যাচেই তার বাজিমাত। ফ্রি-কিক থেকে বা-পায়ের দুর্দান্ত শটে নরোস্কোর জালে বল জড়ান তিনি। ১৯৯৬ সালে অলিম্পিকে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখাতে সক্ষম হন। তবে তার দল সেই আসরে ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে।
১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলকে ফাইনালে তোলেন। তবে জিনেদিন জিদানের ফ্রান্সের কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল সেলেকাওদের। ১৯৯৯ সালে দুর্দান্ত মৌসুম পার করায় বিশ্বসেরার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যালন ডি’অর জেতেন। ২০০২ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন রিভালদো। আসরটিতে মহামূল্যবান ৫টি গোল করেন তিনি। ভক্ত ও মিডিয়ার ভোটে সেই আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন রোনালদো। কিন্তু ব্রাজিলের তখনকার কোচ লুইস ফিলিপে স্কলারি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘২০০২ সালের বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় রিভালদোই।’
এ ছাড়া ক্লাব ফুটবলেও ছিল তার বিস্তর পথচলা। খেলেছেন সাও পাওলো, অলিম্পিয়াকস, অ্যাথেন্স, এসি মিলান ও বার্সেলোনার মতো নামিদামি ক্লাবের হয়ে। ২০০৩ সালে ফুটবলকেই বিদায় জানান তিনি। বিদায় বেলায় বলেছিলেন, ‘আমি ব্রাজিলের কাছে চির ঋণী। এ পর্যন্ত যত মেডেল, শিরোপা, পুরস্কার জিতেছি সবই এই দেশটির অবদান। আমি কখনোই ভুলব না। এখানেই গল্পের ইতি টানছি।’ তবে রিভালদোর এই গল্পের নেপথ্যে ছিল অসহনীয় দুঃখ-কষ্ট। যা ফুটে উঠেছে তার ভাষ্যেও, আমার ক্যারিয়ারটা অলৌকিকভাবেই গড়ে উঠেছে। ছোট্ট এক পাওলিস্তায় বাস করতাম। যেখানে ছিল না অর্থনৈতিক সম্পদ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুব্যবস্তা। বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ স্বপ্ন সত্যি হল। এতেই আমি মহাখুশি।
Comments
Post a Comment