ই-কমার্স মার্কেটিং গাইডলাইনগুলো জানতে অবশ্যই পড়ুন।

বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতটি কয়েক বছর যাবৎ আসলেও খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি এই প্ল্যাটফর্মে। কিন্তু সবার একই প্রশ্ন, কেন? অনেকে এই প্ল্যাটফর্মে এসে চরম হতাশাতে ভুগছে। হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি ই-কমার্স সাইট মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে। এর ভিতর অন্যতম প্রিয়শপ ডট কম। আমি একজন ডিজিটাল মার্কেটার। সুতরাং একজন মার্কেটার হিসেবে আমার নজরে মার্কেটিং এর সমস্যাটিই ধরা পড়েছে । বাংলাদেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে ধস নামার মারাত্মক কারন মার্কেটিং সমস্যা। কারন এই ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে মানুষ জানলেও সেটা খুব কম। প্রায় ৩৩.৩৪ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু তারপরও এই ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে আজ ধস। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, এই ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে মানুষের সঠিক ধারনা নাই।এই ইন্ডাস্ট্রিকে যদি আরও অগ্রসর করতে হয়, তবে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য প্রচার অভিযান চালাতে হবে। আমার মনে হয় এই ইন্ডাস্ট্রিতে আপাতত কেউ কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী না ভাবলেও চলে। কারন অডিয়েন্সটা অনেক বড় কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিটা সেই তুলনায় অনেক ছোট। তাই সচেতন করার লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কাজ করতে হবে একে অপরের সাথে হাত মিলিয়ে।আমার আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ব্যাক্তিগত ই-কমার্স সাইটের মার্কেটিং পদ্ধতি নিয়ে। যদি সঠিকভাবে নিচের মার্কেটিং পদ্ধতিগুলো নিয়ে কাজ করেন তবে ধসের কবলে পড়তে হবে না বলে আমি মনে করি। অনলাইন মার্কেটিং পদ্ধতি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃবাংলাদেশের ই-কমার্স-এর জন্য সার্চ ইঞ্জিন খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না। কিন্তু এরপরও দেখা যায় যে অনেক সময় ভিজিটররা ওয়েবসাইটের নাম মনে রাখতে পারে না। এখানে সবচেয়ে বড় উদাহরন আমি নিজেই। ঈদের পূর্বে মার্কেটে না যেয়ে জুতা কেনার জন্য অনলাইনে সার্চ করতে থাকি। কিন্তু সঠিক ওয়েবসাইটটি খুজে পেতে আমাকে অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়। অবশেষে আমি সফল হই। কিন্তু এই জিনিসটাকে আরও বেশি ইম্প্রুভ করা প্রয়োজন। একটা সময় দেখা যাবে সার্চ রেজাল্টে কি-ওয়ার্ড গুলোর অবস্থান আরও শক্ত হচ্ছে। যেহেতু এখন কম্পিটিশন নাই। তাই প্রাথমিক অবস্থাতে যদি নিজের অবস্থানকে শক্ত করতে পারেন তবে দেখা যাবে একটা সময় সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রচুর ভিজিটর এবং প্রোডাক্ট সেল পাচ্ছেন। সার্চ ইঞ্জিনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন :কি-ওয়ার্ডরিসার্চঃ আপনার যে ধরনের প্রোডাক্ট রয়েছে সেই প্রোডাক্টগুলোর জন্য সঠিক কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করুন। যেন পরবর্তীতে আপনি এই কি-ওয়ার্ড থেকে ভালো কিছু অর্জন করতে পারেন। প্রয়োজনে ভালো অপটিমাইজারের সাহায্য নিন।ভিডিওঃ সার্চ ইঞ্জিন ই-কমার্স এর ওইসব সাইটগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেয় যেসব ই-কমার্স সাইটগুলোর প্রোডাক্টের সাথে ভিডিও থাকে। কারন সার্চ ইঞ্জিন এটাকে ট্রাস্ট অথোর মনে করে। তাই প্রোডাক্ট পেজের সাথে ভিডিও রাখার চেষ্টা করুন।ট্রাফিক সোর্সঃ ব্লগ বা ফোরাম গুলোতে কন্ট্রিবিউট করতে হবে। এতে করে প্রোডাক্টের কনভার্সন তৈরি হবে। যা থেকে সার্চ ইঞ্জিন আরও বেশি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে অবহিত হবে। লোকাল এসইওঃ অনেকে আছেন যারা শুধুমাত্র অনলাইন ছাড়াও দোকানে প্রোডাক্ট সেল করেন, সেক্ষেত্রে লোকাল এসইও করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে আপনার ট্রাস্ট অথোরিটি সহ কাস্টমার ভেলু বৃদ্ধি হয়। দেখা যায় যে, কি-ওয়ার্ড লিখে সার্চ করলে ষ্টোরের ম্যাপসহ সম্পূর্ণ বিস্তারিত চলে আসে। এবং খুব দ্রুত সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টে কি-ওয়ার্ড র‍্যাংক হয়।সার্চ ইঞ্জিনে এর থেকে আর বেশি কিছু করার প্রয়োজন আমি মনে করি না। সার্চ ইঞ্জিনের জন্য খুব বেশি সময় দেওয়া এই মুহূর্তে প্রয়োজন নেই। যতটুকু উল্লেখ করেছি এতটুকুই যথেষ্ট। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং যদি আপনি একটা ই-কমার্স বিজনেস চালু করে থাকেন, তবে ইতিমধ্যে জেনে গেছেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনার প্রোডাক্ট মার্কেটিং বা আপনার প্রোডাক্ট সেল করার জন্য। সোশ্যাল মিডিয়া আপনার সঠিক কাস্টমার বা সঠিক অডিয়েন্সে পৌছাতে সবথেকে বেশি সাহায্য করে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স বিজনেসকে দাড় করাতে হলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নাই।কিন্তু কেন নাই ? সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্যাটিক মনিটরিং সাইট পিংডম থেকে নেওয়া কিছু তথ্য আপনাদেরকে দিলে বুঝতে পারবেন কেন এটা এত গুরুত্বপূর্ণ।
  • সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতে প্রায় ২২% মেয়ে এবং ৭৮% পুরুষ এর বিচরন।
  • এর মধ্যে ৬১% রয়েছে ফেসবুক ব্যবহারকারী।যার ভিতর মধ্যবর্তী বয়সের মানুষ বেশি রয়েছে। এভারেজ ৩৭ বছর বয়স।
  • ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সের যুবক-যুবতিরা সমস্ত ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতে বিচরন করছে।
এত বড় একটা প্ল্যাটফর্মে যদি আপনি সুবিধা না করতে পারেন, তাহলে আমার মনে হয় আপনার কমিউনিকেশন বা কাস্টমার এর সাথে রিলেশনশিপ তৈরি হয়নি। আর সে কারনে আপনি এই প্ল্যাটফর্মে নিজেকে দাড় করাতে পারেননি।সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে এবং একই সাথে যে কাজগুলো সঠিকভাবে করতে হবে সেটা আমি নিম্নে তুলে ধরবো যা সঠিকভাবে সম্পন্ন করে আপনার ই-কমার্স বিজনেসকে আরও শক্তিশালী করুন।কাস্টমার খোঁজাঃ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যেমনঃ ফেসবুক,লিংক্ডইন, টুইটার, গুগলপ্লাস সহ আরও অনেক। কিন্তু আপনার প্রোডাক্টের কাস্টমাররা কোথায় রয়েছে সেটা নির্ণয় করা উচিৎ সর্বপ্রথম। এটা নির্ণয় করার জন্য নিচের টুলস দুটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে এই টুলস দুটি রিসার্চ করতে সাহায্য করবে।
  • ট্র্যাকুর সোশ্যাল মিডিয়া এনালাইসস টুল
  • সোশ্যাল ম্যানশন টুল
এছাড়া বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোর স্ট্যাটিক দেখে নিতে পারেন। এতে করে আপনার একটা আইডিয়া বা ধারনা তৈরি হবে। আপনি বুঝতে পারবেন আপনার প্রোডাক্ট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে কোন প্ল্যাটফর্মটি বেশি কার্যকর। এক্ষেত্রে ই-মার্কেটার টুলসটি ব্যবহার করতে পারেন।কম্পিটিটর এর প্রতি নজর রাখাঃ বাংলাদেশের ই-কমার্সের সব সাইটগুলো যে ফ্লপ সেটাও কিন্তু ঠিক না। তবে সেটা সংখ্যায় অনেক কম। অর্থাৎ আপনি যখন এই লাইনে নতুন তখন আপনাকে অবশ্যই তাদেরকে ফলো করতে হবে যারা এই প্ল্যাটফর্মে মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে। মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে এমন একটি ই-কমার্স বিজনেস এর নাম প্রিয়শপ ডট কম। আপনার উচিৎ চিন্তা করা কেন তারা উঠে এসেছে। তাদের সবকিছু যাচাই বাছাই করে নেওয়া। এটি আমি উদাহরন দিয়ে বললাম। যত কিছুই হোক না কেন তারা তো আপনার প্ল্যাটফর্মে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী। যে বিষয়গুলো আপনি নজরে নিয়ে আসবেন সেটা একটু নিচে তুলে দিলাম।
  • কোন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে আপনার কম্পিটিটর একটিভ রয়েছে।
  • কি ধরনের কনটেন্ট তারা তাদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে আপডেট করছে।
  • কম্পিটিটর-এর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে কি পরিমান লাইক/ফলোয়ারস/ ফ্যানস/ ভিউ রয়েছে।
  • কিভাবে তারা তাদের ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্টকে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপনা করে মার্কেটিং করছে।
অফার প্রমোটঃ বাংলাদেশের মানুষ যেহেতু ই-কমার্স সম্পর্কে কম জানে সেহেতু এই মার্কেটকে পরিচিত করতে হলে প্রাথমিকদিকে একটু সুযোগ সুবিধা বেশি রাখতে হবে। তার মানে এই না যে আপনাকে লস দিয়ে সুযোগ সুবিধা দিতে বলছি, যেন ট্র্যাডিশনাল মার্কেট থেকে একটু বেশি সুবিধা ই-কমার্স মার্কেট থেকে পায় সেইদিকে একটু নজর রাখলে চলবে। হতে পারে ফ্রী শিপিং, কুপন আয়োজন অথবা প্রোডাক্টের মূল্য ছাড় দিয়ে কাস্টমারকে আরও আকৃষ্ট করবেন। তাহলে প্রোডাক্ট সেল সহ অনেক মানুষ এই দিকে ঝুকবে এবং একই সাথে ইন্ডাস্ট্রিটা বড় হতে থাকবে।প্রোডাক্টে পেজে শেয়ারঃ প্রোডাক্ট সেল করা আপনার প্রধান লক্ষ্য । কিন্তু আপনাকে আপনার প্রোডাক্ট এর ফ্যান/ ফলোয়ারসদেরকে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এঙ্গেজ রাখতে হবে। এতে করে নতুন কোন কাস্টমার যদি আপনার সোশ্যাল পেজে আসে তাহলে সবার এঙ্গেজমেন্ট দেখে সেও আগ্রহী হবে আপনার পেজের সাথে এঙ্গেজ হওয়ার এমনকি সে আপনার রেগুলার কাস্টমার হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ফ্যানস/ফলোয়ারসদের কে যদি আপনার পেজে এঙ্গেজ রাখতে চান তবে ভ্যারিয়াস কনটেন্ট দিতে হবে আপনার পেজে। যদি আপনি শুধু আপনার প্রোডাক্ট প্রমোশন করতে থাকেন তাহলে একটা সময় পর আপনার এঙ্গেজমেন্ট কমে যাবে।এর সবথেকে বড় উদাহরন প্রিয়শপ ডট কম। তাদের ফেসবুক ফ্যান পেজে অনেক ফ্যানস থাকলে ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে সেখানে এঙ্গেজমেন্ট কম। যার কারনে তারা কিন্তু নতুন কাস্টমার পাওয়ার বিশাল বড় সুযোগ প্রতিনিয়ত হারাচ্ছে। যদিও তারা মাথা তুলে বাংলাদেশের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে দাড়িয়ে আছে, সেটা হয়ত অন্য কোন মার্কেটিং পদ্ধতির জন্য। কিন্তু এই পয়েন্টটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রিয়শপের ফ্যান পেজে শুধু প্রোডাক্ট প্রমোশন হয়। যার কারনে এই এত বেশি ফ্যানস থাকা সত্তেও এঙ্গেজমেন্ট কম। এই জন্য সোশ্যাল পেজে রিলেটেড ভ্যারিয়াস কনটেন্ট রাখার চেষ্টা করবেন। আমি কিছু আইডিয়া এখানে দিচ্ছি।
  • বিভিন্ন সোর্স থেকে রিলেটেড নিউজ বা মেসেজ শেয়ার করুন ।
  • ব্লগ তৈরি করে রিলেটেড কনটেন্ট শেয়ার করুন যা আপনার ফ্যানদের জন্য কার্যকরী।
  • প্রশ্ন করুন অথবা পার্টিসিপেট করুন কমেন্টে আপনার কাস্টামারদের সাথে ।
  • কোম্পানি ইভেন্ট বা সিইও কি বলেছেন এই ধরনের পোস্ট এর সাথে ছবি বা ভিডিও শেয়ার করুন।
পয়েন্টগুলো মাথায় রেখে খুব সুন্দরভাবে এর মাঝে প্রোডাক্ট প্রমোশন করুন। ফলশ্রুতিতে মানুষ এঙ্গেজ হচ্ছে একইসাথে আপনার প্রোডাক্টের সেলও বাড়ছে।সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থেকে প্রোডাক্ট সেলঃ বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতে প্রোডাক্ট স্টোর করে রাখার সুযোগ দিয়ে থাকে। যেমনঃ ফেসবুক স্টোর নামক অ্যাপস দ্বারা আপনি আপনার ফেসবুক পেজে নতুন ট্যাব দ্বারা আপনার প্রোডাক্ট স্টোর করে রাখতে পারেন। এতে করে কাস্টমার আপনার সাইটে প্রবেশ করার পূর্বেই দেখে নিতে পারবে আপনার প্রোডাক্টগুলো। অনেক সময় অনেক কাস্টমার ওয়েবসাইট ঢোকেনা, তারা স্ক্রোল করে পেজেই প্রোডাক্ট খুজতে থাকে। যদি একই পেজে ট্যাব প্রোডাক্ট দেওয়া থাকে তাহলে সে তার চাহিদা মতো প্রোডাক্ট খুজে পায়। এক্ষেত্রে দেখা যায় পেইড অ্যাড-এর সময়ও অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। এবং কাস্টমার তার চাহিদা পূরণের সাথে সাথে আপনার প্রোডাক্ট সেলও বেড়ে যাবে।কাস্টমার যখন হিরোঃ সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ই-কমার্স বিজনেসকে যদি আরও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে দিতে চাইলে কাস্টমারকে হিরো বানিয়ে দিন। অর্থাৎ আপনার হ্যাপি কাস্টমারদের কাছ থেকে প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস সম্পর্কে রিভিউ সংগ্রহ করুন। এবং সেইসব রিভিউগুলো ব্লগ বা ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল পেজে ফিচার করে রাখুন। প্রয়োজনে পেইড প্রমোশন চালান। আমার মনে হয় যে খুব দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই পদ্ধতি খুবই গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। এতে কাস্টমার সর্বদা এঙ্গেজ থাকবে আপনার বিজনেসের সাথে। ফেসবুক মার্কেটিং বাংলাদেশের ই-কমার্স উন্নয়নের জন্য বা ব্যাক্তিগত ই-কমার্স বিজনেসকে দাড় করানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক হচ্ছে ফেসবুক। ৭০ লক্ষ্য ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে বাংলাদেশে। যা অন্যান্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের তুলনায় অনেক অনেক বেশি। সুতরাং বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতকে আরও শক্ত অবস্থানে নিতে বা ব্যাক্তিগত ই-কমার্স বিজনেসকে সফল বিজনেস হিসেবে দাড় করাতে হলে ফেসবুক মার্কেটিং-এ গুরুত্ব দিতে হবে। আর যেহেতু বাংলাদেশের ই-কমার্স বিজনেসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমার এই লেখাটি তাই শুধু স্পেশালি ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করলাম। ফেসবুক মার্কেটিং এর যে বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখবেন সেসব বিষয়গুলো আমি তুলে ধরেছি। ফেসবুক শেয়ারঃ আপনার ই-কমার্স সাইটে সোশ্যাল শেয়ার বাটন ফিচার করে রাখুন। এতে করে কাস্টমার আপনার প্রোডাক্ট লাইক করবে একই সাথে আপনার কাস্টমার অন্যদের মাঝে আপনার প্রোডাক্ট শেয়ার করবে। যদি আপনার প্রোডাক্ট বা ফেসবুক পেজ তার পছন্দ হয়ে থাকে। একই সাথে সে আপনার পেজের সাথে এঙ্গেজ থাকবে। যখন কিনা আপনার পেজ থেকে কোন পোস্ট বা স্ট্যাটাস যাবে। মার্কেট প্রমোশনঃ নিঃসন্দেহে বোঝা যাচ্ছে যে, অনলাইন মার্কেটিং এর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ফেসবুক মার্কেটিং।সুতরাং এই প্ল্যাটফর্মে যদি আপনি দক্ষতার সাথে প্রচার-প্রসার চালাতে পারেন তবে ই-কমার্স বিজনেস ভালো অবস্থানে যাবে এটা কোন ধরনের সন্দেহ ছাড়াই বলা যায়। সুতরাং এই মার্কেটে আপনাকে প্রোডাক্ট প্রমোশন করতে হবে । কিন্তু সেটা আরও ভালো হয় যদি আপনি ডিসকাউন্ট দেন আপনার ফেসবুক ফ্যানসদের জন্য। এতে করে আপনি নতুন নতুন কাস্টমার পাবেন। যদি আপনি ভালো সার্ভিস দিতে পারেন তবে ধীরে ধীরে এইসব কাস্টমাররা আপনার রেগুলার কাস্টমারে পরিনত হবে, এমনকি তারাই আপনাকে নতুন কাস্টমার খুজে দিতে সাহায্য করবে। কনটেন্ট আপডেটঃ আমরা মার্কেটাররা একটা কথা বলে থাকি ডাইভারসিটি হয় সোশ্যাল মিডিয়ার চাবি। সুতরাং এক ঘেয়ামি লেগে যায় এমন কোন পোস্ট প্রতিনিয়ত আপডেট করা কোনভাবেই উচিৎ না। প্রতিনিয়ত আপডেট করতে হবে ফেসবুক ফ্যান পেজ। কিন্তু সেটা যেন একই ধরনের পোস্ট না যায়। অবশ্যই পোস্টগুলো যেন মিক্স থাকে বিভিন্ন বিষয়ে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। এতে কাস্টমার এঙ্গেজ বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ প্রয়োজনে সে আপনার পেজের কথা মনে রাখবে এবং প্রোডাক্ট কেনার ক্ষেত্রে সে আপনাকেই বেশি প্রাধান্য দিবে। কাস্টমার এঙ্গেজঃ আমি কাস্টমার এঙ্গেজ এর কথা এই লেখাটি অনেকবার উল্লেখ করেছি। এটা আসলে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যখন কোন কাস্টমার আপনার পোস্টে রিপ্লাই করছে, দ্রুততার সাথে তার রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করুন। সেটা “ধন্যবাদ” শব্দটিও হতে পারে। এতে করে কাস্টমার নিজের ভ্যালু খুজে পায়। অর্থাৎ সে আপনার সার্ভিসে সন্তুষ্ট। পরবর্তীতে দেখা যাবে আপনি ওই ধরনের কাস্টমারদের থেকে নতুন কাস্টমার পাচ্ছেন। কাস্টমার সার্ভিসঃ ফেসবুক যে শুধুমাত্র একটা মার্কেটিং এক্সটেনশন সেটা ভাবাও কিন্তু ভুল। এটা একটা কাস্টমার সার্ভিস পোর্টালও বলা যেতে পারে। আপনি যদি লক্ষ্য করেন তবে দেখবেন বাংলালিঙ্ক, গ্রামীনফোন, এয়ারটেল ইত্যাদি কোম্পানিগুলো তাদের ফেসবুক ফ্যান পেজে প্রতিনিয়ত কাস্টমারদের ফেসবুক রিপ্লাই এর মাধ্যমে বা মেসেজের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদান করছে। যার কারনে এইসব ফ্যানপেজগুলো এখন বাংলাদেশের শীর্ষে রয়েছে। যদি কাস্টমার কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কমপ্লেন করে থাকে তবে তার সমাধান বা তার ভুল বুঝিয়ে দিয়ে মেসেজ করুন। অন্যথায় যদি কাস্টমার আপনার ছোট্ট ভুল নিয়ে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে খারাপ রিভিউ দিয়ে পোস্ট করে তবে সেটা আপনার জন্য অমঙ্গল ডেকে আনবে।ব্যাক্তিগতভাবে আমি নিজেই কয়েকটা ই-কমার্স সাইট থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে অসন্তুষ্ট। আমি প্রাথমিক দিকে তাদেরকে জানানোর পর তারা কোন ধরনের রিপ্লাই আমাকে দেই নি। যার ফলশ্রুতিতে আমি খুব বাজে রিভিউ লিখে ফেসবুক স্ট্যাটাস আপডেট করেছি। এটা কিন্তু তার বিজনেসের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। কাস্টমারকে একদিনের জন্য ভাবলে হবে না। তাকে আপনার রেগুলার কাস্টমার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য কাস্টমার সাপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফেসবুক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে।পেইড অ্যাডভারটাইজিং: ফেসবুক এর পেইড অ্যাডভারটাইজিং সিস্টেমটা খুবই সুন্দর। কারন খুব খরচে টার্গেট কাস্টমারের কাছে পৌঁছান যায়।খুব কম খরচে এটা সম্ভব। ই-কমার্স বিজনেসকে আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে ফেসবুক পেইড অ্যাডভারটাইজিং খুবই ইফেক্টিভ। পেইড মার্কেটিং সাকসেসফুল হতে চাইলে প্রফেশনাল মার্কেটারদের সাহায্য নিন। ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং বা প্রথাগত মার্কেটিং পদ্ধতি ই-কমার্স বিজনেস এর জন্য আমরা শুধু অনলাইন মার্কেটিংকে বর্তমানে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনলাইনে শুধু মার্কেটিং পদ্ধতিকে সীমাবদ্ধ রাখলে ই-কমার্স বিজনেসকে দাড় করানো সম্ভব না। এর জন্য প্রয়োজন ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং বা প্রথাগত মার্কেইটিং –এ । যেহেতু আজকের লেখার মূল বিষয়বস্তু ই-কমার্স মার্কেটিং গাইডলাইন নিয়ে, সুতরাং আমি চেষ্টা করেছি অনলাইন এবং অফলাইন মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করার।আমি শুধুমাত্র একজন ডিজিটাল মার্কেটার। অর্থাৎ অনলাইন জগতের ভিতর আমার সীমাবদ্ধ। কিন্তু সব সময় মার্কেটিং স্ট্রাটেজি এবং প্রথাগত মার্কেটিং থেকে মানুষকে কিভাবে অনলাইন কনভার্ট করা যায় সেলক্ষ্যে বাস্তব কিছু প্রথাগত মার্কেটিং আইডিয়া আমি পেয়েছি। আমি চেষ্টা করব সে সকল পদ্ধতিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে। আশা করি খুব কম সময়ে ইফেক্টিভ ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং-এ সফল হবেন। ক্রিয়েটিভ বিজনেস কার্ডআমার মতে এটি একটি মার্কেটিং পদ্ধতির একটা গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। হইত ভাবতে পারেন এটা খুব সিম্পল একটা ব্যাপার, কিন্তু এই ছোট্ট একটা সিম্পল ব্যাপারকে অস্বাভাবিক করে তোলায় মার্কেটারদের কাজ।আপনার বিজনেস কার্ড যদি নরমাল হয় তবে কেউ আপনাকে নোটিশ করবে না। কিন্তু যদি এটা অন্যদের সম্পূর্ণ ভিন্ন হয় তবেই আপনাকে নোটিশ করবে।আপনার বিজনেস কার্ডে ভিন্ন ধরনের শেপ, আপনার ই-কমার্স এর কিছু আকর্ষণীয় ছবি ব্রাইট কালার, আকর্ষণীয় তথ্য যোগ করুন। গ্রাফিকরিভারে গেলে ওখানে প্রচুর পরিমানে স্টাইলিশ ক্রিয়েটিভ বিজনেস কার্ড রয়েছে। ওখান থেকে বাছাই করেও নিতে পারেন অথবা কোন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সাহায্য নিন।বিজনেসকার্ডগুলো প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেওয়ার সময় ক্রেতাকে দিয়ে দিবেন। যদি আপনার বিজনেস কার্ড তাকে খুব ভালোভাবে আকর্ষিত করতে পারে তবে সে আপনার কার্ডটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করে রাখবে, এবং আপনার সম্পর্কে সে অন্যকে অবহিত করবে। ফ্লাইয়ার বা পোস্টারপ্রাথমিক দিকে প্রোডাক্ট সেল না পরিচিতি বাড়ানোটা মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ। আর সেটার জন্য ফ্লাইয়ার বা পোস্টার খুবই কার্যকরী পদক্ষেপ। কিন্তু গতানুগতিক থেকে বেরিয়ে একটি ভিন্ন কিছু আনতে হবে ফ্লাইয়ার বা পোস্টারে। যাতে করে মানুষের নজর কাড়তে সক্ষম হয়। এবং এই ফ্লাইয়ার বা পোস্টারগুলো ব্যবহার করতে হবে সঠিক স্থানে। যাতে করে অনেক মানুষের চোখে আসে। আর ফ্লাইয়ার বা পোস্টার বেশি আকর্ষিত করা যায় যদি আপনি কোন ধরনের ডিসকাউন্ট অফার দিয়ে রাখেন। ফ্রী প্রোডাক্টমূল প্রোডাক্ট এর সাথে যদি কিছু ফ্রী দেন, তবে মানুষ আপনাকে নজরে রাখবে। হতে পারে আপনার কোম্পানির লোগো ওয়েবসাইট অথবা কোম্পানি ব্র্যান্ডিং মেটারিয়ালস। যেটা মানুষকে মজা দিতে পারে। তাহলে কাস্টমার আপনার খুশি হয়ে সংরক্ষণ করে রাখবে। পরবর্তীতে আপনার কোম্পানিকে স্মরণে রাখেব। এছাড়া, কলম, টি-শার্ট ইত্যাদিও দিতে পারেন। তবে এটা চাইলে আপনি লিমিটেড অফারও রাখতে পারেন। তাহলে মানুষ ফ্রী প্রোডাক্ট এর জন্য হলেও আপনার দিকে অগ্রসর হবে। স্টিকারস্টিকার মার্কেটিং একটি কিলার মার্কেটিং পদ্ধতি। কারন এমন কিছু স্থান আছে যেখানে আপনি ফ্লাইয়ার বা পোস্টার আপনি দিতে পারবেন না। কিন্তু সেইসব জায়গাগুলো থেকে টার্গেট কাস্টমার পাওয়া যায়। যেমন হতে পারে বিভিন্ন ধরনের মার্কেট। যে মার্কেটগুলোতে আপনার সাথে ই-কমার্স বিজনেসের সাথে মিল রয়েছে। এছাড়া বাস এর ভিতর বা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে স্টিকার ব্যবহার করতে পারেন। স্পন্সর ইভেন্টবিভিন্ন ইভেন্টগুলোর স্পন্সরশীপ করলে অনেক মানুষ জানতে পারে আপনার বিজনেস সম্পর্কে। এছাড়া ইভেন্টগুলোতে আপনার বিজনেস সম্পর্কে তুলে ধরে ধরার চেষ্টা করুন। আপনি কি দিচ্ছেন, নতুন কি আছে আপনার বিজনেসে এটাকে হাইলাইট করুন সবার সামনে। এছাড়া ইভেন্টগুলোতে চেষ্টা করুন ফ্রী কিছু গিফট দেওয়ার দেওয়ার, অথবা আপনার বিজনেস এর ব্রুশিয়ার সবার হাতে দিয়ে দিন। তাহলে কিউরিসিটি হয়ে মানুষ আপনার সাইটে ভিজিট করবে। তবে সে যদি লোকাল মার্কেট থেকে ভালো সার্ভিস আপনার কাছ থেকে পায় তবে সে একজন আপনার গোল্ডেন কাস্টমার। স্থানীয় পত্রিকাই-কমার্স বিজনেসকে যদি খুব ভালো অবস্থানে নিতে হয় তবে আমি মনে করি প্রিন্ট মিডিয়াকেও মার্কেটিং এর জন্য বাছাই করা উচিৎ। তবে মনে রাখবেন এমন কিছু রাখবেন যাতে করে মানুষ হাঁসে অথবা আশ্চর্য হয়। তাহলে আপনার বিজনেসকে মনে রাখবে। বিলবোর্ড বিজ্ঞাপনএটা নির্ভর করে আপনার মার্কেটিং বাজেটের উপর। তবে যদি চান যে আপনি বিলবোর্ড অ্যাডভারটাইজিং করবেন সেক্ষেত্রে মাথায় রাখবেন যেন গতানুগতিক বিলবোর্ডগুলোর মত না হয়। তাহলে মানুষ আপনার বিজনেসকে মনে রাখবে না। সুতরাং ব্যতিক্রম কিছু যেন থাকে সেটা মাথায় রাখতে হবে।যাইহোক অনেক আলোচনা করলাম বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিভাবে একটা ই-কমার্স বিজনেসকে সফলতার মুখ দেখানো যায় মার্কেটিং মাধ্যমে সেইসব বিষয় নিয়ে। একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্ট করেছি সমস্ত ধরনের আইডিয়া দিয়ে।আমি মনে করি এই বিষয়গুলো যদি লক্ষ্য করে মার্কেটিং করা যায় তবে সাফল্য আসবেই। এখন সিদ্ধান্ত আপনার !!এছাড়া আমি আরও একটি সাজেশন দিয়ে রাখব সেটা হল, বাংলাদেশের ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসে যেসব ই-কমার্স বিজনেসগুলোর দাপটের সাথে রয়েছে তাদের বিজনেস আইডিয়াগুলো বের করার চেষ্টা করুন সেইসাথে সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে এটাও মনে রাখবেন সবগুলো মার্কেটিং পদ্ধতি যে আপনার কাজে দিবে সেটা ভাবাও কিন্তু বোকামি। তবে চেষ্টা করতে সবগুলোকে স্পর্শ করে যাওয়া। সেক্ষেত্রে প্রিয়ডট কম কে ফলো করতে পারেন। তাদের কিছু কিছু গেরিলা মার্কেটিং পদ্ধতি আপনার ই-কমার্স বিজনেসকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।খুজে বের করুন প্রিয়শপ ডট কম কি করছে ? কিভাবে সার্ভিস দিচ্ছে ? কেন কাস্টমার তাদের প্রতি আকর্ষিত হচ্ছে ? এইগুলো বের করলেই আশা করি পেয়ে যাবেন।তো এই ছিল ই-কমার্স মার্কেটিং গাইডলাইন নিয়ে আমার লেখা। আশা করি এই এই গেরিলা মার্কেটিং পদ্ধতি আপনার ই-কমার্স বিজনেসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না। আপনার বিজনেস যেন আরও ভালো হয়, সেই কামনা রেখে আজকের মত এখানে সমাপ্তি।
লেখকঃ @Tafser Ahmed

Comments

Popular posts from this blog

শাবনূরের লাইফস্টাইল অজানা অনেক তথ্য I আসল নাম | উচ্চতা I ওজন I শারীরিক পরিমাপ | বয়স | পড়ালেখা | স্বামী | ক্যারিয়ারের অর্জন | বাড়ি | জীবনী এবং উল্লেখযোগ্য সিনেমায় ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্ককে জানতে অবশ্যই পড়ুন

বাংলাদেশী ব্যান্ডের আন্ডাররেটেড গান সমূহের তালিকা দেয়া হলো । নতুন কিছু গানের স্বাদ পেতে অবশ্যই পড়ুন।

পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ২০ টি বস্তু, যা এতটাই দামী আপনি শুনে অবাক না হয়ে পারবেন না,জানতে অবশ্যই পড়ুন।