ব্রেক করব নাকি ধরব?

আমার লেখার আজকের বিষয়বস্তু ব্রেক ধরা/ব্যবহারের বিভিন্ন উপায় এবং চাকা লক আপ হয়ে যাওয়া এবং ধপাস! পড়াশুনা খানিকটা অনলাইন এবং খানিকটা অফলাইন অর্থাৎ এক্সপিরিয়েন্স এর উপরে লিখছি। কাজেই একেবারে অ্যাপ্লাইড ফিজিক্সের লেকচারের মত প্রিসাইস হবে না আবার একেবারে আষাঢ়ে গল্পও হবে না।
ফার্স্ট থিংস ফার্স্ট, ব্রেক হল সেই মেকানিজম যা আপনার গতিকে কমাতে সাহায্য করে এবং আপনার ফার্স্ট লাইন অফ সেইফটি। অনেকেই ব্রেক বলতে খালি হাইড্রলিক আর ব্রেক প্যাড বুঝে আসলে ব্রেক লিভার, ব্রেক লিকুইড ব্রেক ডিস্ক, ব্রেক পিস্টন, ক্যালিপার্স ব্রেক প্যাড এবং ব্রেক কেবল এ সবকিছু (কিছু বাদ পড়ে গেলো কি?) ব্রেকিং দুই রকমেরঃ
১। অ্যাক্টিভ যা আপনি ব্রেক লিভার চেপে ধরে শুরু করেন।
২। প্যাসিভ ব্রেকিং বা ইঞ্জিন ব্রেকিং যা ইঞ্জিন থেকে হয় যা থ্রটল/ এক্সিলারেটর ছেড়ে দিলেই আপনাআপনি শুরু হয়ে যায়। ব্রেক চাপার প্রয়োজন হয় না।
৩। স্পেশাল টাইপ অফ ব্রেকিংঃ ইমার্জেন্সি ব্রেকিং যা আমরা জীবন মরণ সমস্যা হিসেবে জানি যেখানে বাইক থামানোই মূল উদ্দেশ্য সেটা যেভাবেই হোক না কেন। ইমার্জেন্সি ব্রেকিং এর কিছু স্টাইল আছে যা আমি পরে আলোচনা করবো এই পোস্টের শেষে।
প্রথমেই আসি অ্যাক্টিভ ব্রেকিং এর কথায়। সোজা বাংলায় ডান হাত আর ডান পা এর কাজ তবে এই কাজে যদি আর্টিস্ট না হন তাহলে রাইডার হিসেবে আপনার স্কিল মাত্র ৫০% কারণ বাইক এ স্পীড তোলা যেমন আর্ট সেটাকে পিন পয়েন্টে থামানোও সমানভাবে আর্টের পর্যায়ে পড়ে। যদি মোটরসাইকেল রেসিং এর হিস্ট্রি দেখেন তাহলে দেখবেন সমস্ত গ্রেট রাইডাররা (নাম নিয়ে লিস্ট লম্বা করার দরকার নাই) তাদের ব্রেকিং স্কিলের জন্য স্পেশালি পরিচিত। বাঘ যেমন চেনা যায় ডোরাকাটা দাগ দেখে, তেমনি জাত রাইডার চেনা যায় ব্রেকিং স্কিল দেখে। অ্যাক্টিভ ব্রেকিং এর মূল অংশ তিনটা ১। ইনিশিয়াল বাইট ২। প্রগ্রেশন ৩। স্টপিং পাওয়ার।
ব্রেক লিভার চাপার সাথে সাথে সামনের চাকা মাটি কামড়ে ধরার অংশকে বলে ইনিশিয়াল বাইট। প্রগ্রেশন হলো পরবর্তী কয়েক সেকেন্ডে এই বাইট কতটা জোরালো হয়। স্টপিং পাওয়ার ডিপেন্ড করে আপনার ব্রেকিং সিস্টেম কোন ধরনের এবং আপনার বাইকের ওজনের উপর। ড্রাম ব্রেকিং সিস্টেমের স্টপিং পাওয়ার হাইড্রলিক ব্রেকিং সিস্টেমের চেয়ে অনেক কম তাই যেসব বাইকের ওজন ১০০-১১০+ সেগুলোতে সেইফটি ফিচার হিসেবে হাইড্রলিক ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। ইনিশিয়াল বাইট অনেক বাইকেই থাকতে নাও পারে তবে যদি প্রগ্রেশন না থাকে তাহলে ঘটনা ঘটেছে দুই রকম ১। আপনার ব্রেক প্যাড ক্ষয়ে গেছে (দ্রুত নতুন প্যাড ইন্সটল করুন) ২। আপনার বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম আপনার বাইকের ওজন থামাইতে পারছে না (কেনার আগে ব্রেকিং সিস্টেম চেক না করলে ধরা আর কি)
প্যাসিভ ব্রেকিং বা ইঞ্জিন ব্রেকিং হল জাস্ট থ্রটল ছেড়ে দিলে বাইক নিজের ওজনের উপরে যে স্লো হয়ে যায়। এটা যে কোন গিয়ারে করা যায় তবে ১ আর ২ নাম্বার গিয়ারে করার চেয়ে না করাই ভালো কারণ লো গিয়ারে পাওয়ার ব্যান্ড এত কম থাকে যে ইঞ্জিন ব্রেকিং ইউস করলে ধুপুস করে আরপিএম ড্রপ করে এতে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে ট্রাফিক এর ভিতরে (নতুন রাইডাররা এইটা ভালো করেই বুঝেন হাহাহা কাজেই লো গিয়ারে সুন্দর করে ক্লাচ ধরে প্লাস থ্রটল ক্লোজ করে ব্রেক করুন।
হাই গিয়ারে অর্থাৎ ৫ম বা ৬ষ্ঠ (যাদের যেইটা আছে) ৭০-৮০ বা তার চেয়ে বেশী স্পীড থাকলে যদি হালকা স্পীড কমানো দরকার পড়ে তাহলে জাস্ট থ্রটল ক্লোজ করে স্পীড নামিয়ে বা একটা গিয়ার কমাইলেই বাইক অনেকটা ইজি হয়ে যায় কন্ট্রোল করা। কখনো কখনো দুইটা গিয়ার কমানোর দরকার পড়ে। অনেকেই বলে ইঞ্জিন ব্রেকিং পিস্টনের আর ক্লাচের জন্য ক্ষতিকর তবে এক্ষেত্রে আমার মতামত হইল আমি এইটা মনে করিনা কারণ প্যাসিভ ব্রেকিং একটা ন্যাচারাল ম্যানুভার। নিজের ওজনের উপর স্লো হয়ে যাওয়ার জন্য পাওয়ার সিস্টেমের উপর চাপ পড়ে কথা সত্য কিন্তু সেটা নগণ্য। এর চেয়ে বাইক রাফ হ্যান্ডেল করলে পিস্টনের উপরে অনেক বেশী প্রেশার পড়ে। সঠিক লুব, ভালো আরও এন ফুয়েল এবং ঠিকমত ক্লাচ এর যত্ন না নিলে না থাকবে টান , না পাবেন চালিয়ে শান্তি। উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই আপনি অনেক জোরে দৌড়ালে আপনার হার্টের পালস রেইট যেভাবে বাড়বে এবং সেটার এফেক্ট শরীরের উপর যেরকম প্রেশার দেয় সেই তুলনায় যখন আপনি দৌড় থেকে থেমে যেতে থাকবেন তখন হাঁটুর টেন্ডনের উপর পড়া প্রেশার অত্যন্ত নগণ্য কারণ আপনার বডি ওয়েট আপনার পা সারাদিন নিয়ে চলাফেরা করে কাজেই এইটা ন্যাচারাল ব্যাপার।
তবে মনে রাখবেন আপনার ব্রেকের ক্ষমতা ইঞ্জিন ব্রেকিং এর চেয়ে সবসময় বেশী তাই জেনারেল ব্রেকিং হবে লিভার অ্যাপ্লাই করে। এক্ষেত্রে থামানোর সময়ে থ্রটল ক্লোজ করুন ক্লাচ কখন ধরবেন সেটা আপনার অভ্যাসের উপর ডিপেন্ড করে। অনেকে থ্রটল ক্লোজ করার সাথে সাথে ক্লাচ ধরেন আবার অনেকে একটু সময় নিয়ে ইঞ্জিন ব্রেকিং দিয়ে স্লো করে তারপর ক্লাচ ধরে পাওয়ার ব্যান্ড অ্যাডজাস্ট করে ক্লাচ ধরে গিয়ার কমান। সো আমি এটা নিয়ে কোন ধরনের আলোচনায় যাবো না। এটা আপনাদের পারসোনাল চয়েসের ব্যাপার।
এইবার স্টার অফ দ্যা শো ইমার্জেন্সি ব্রেকিং নিয়ে কিছু কথা বলব। আমাদের দেশে এইটা অনেক জরুরী কারণ রাস্তার ভেতরে যখন তখন যা ইচ্ছা চলে আসতে পারে। এমনকে যদি কোনওদিন দেখি বাংলাদেশের রাস্তার ভেতরে আস্ত একটা বোয়িং ৭৪৭ ল্যান্ড করেছে তাতেও আমি অবাক হব না যাই হোক কুকুর ,বিড়া্‌ বাচ্চা কাচ্চা শিয়াল , ফোনে প্রেমালাপরত আপু বা ভাইয়া, কানে কম শোনা আঙ্কেল , এক্সট্রা কুল ডুড উইথ ইয়ারফোন , সিটি কর্পোরেশনের গিফট বিশাল গর্ত এবং সারপ্রাইজ স্পীড ব্রেকার যেগুলো রাতারাতি বানানো হয়ে থাকে, ইলেক্ট্রিক পোল থেকে ছিঁড়ে পড়া তার এইসব আমাদের নিত্যসংগী (কোন এলিমেন্ট বাদ পড়ে গেলে আপনার ফেইস করা সবচে বাজে ইমার্জেন্সি ব্রেকিং এর সিনারি কমেন্টে শেয়ার করুন)
ইমার্জেন্সি ব্রেকিং এর ক্ষেত্রে সবচে বাজে দিক হল দুইটা
১। সামনের চাকা লক আপ হয়ে আছড়ে পড়া ।
২। অর্ধেক রাস্তা ক্রস করে কারো উল্টা দিকে দৌড় দেওয়া।
সামনের চাকা লক আপ সম্ভবত বাইকারের জন্য সবচে বড় দুঃস্বপ্ন। পিছনের চাকা লক হয়ে গেলেও থ্রটল দিয়ে স্কিড কন্ট্রোল করা যায় কিন্তু সামনের চাকা লক আপ হয়ে গেলে কিচ্ছু করার নাই। ইমার্জেন্সি ব্রেকিং এর ক্ষেত্রে সময় খুব কম পাওয়া যায় ম্যাক্সিমাম ২ সেকেন্ড। কাজেই আপনার রি অ্যাকশন হইতে হবে রেজর শার্প। প্রশ্ন হচ্ছে লক আপ কেন হয়। উত্তর হচ্ছে বাইক যখন রানিং এ থাকে তখন দুই চাকা সমানে ঘুরতে থাকে। বাইক এর চেইন/শ্যাফট যেহেতু পেছনের চাকায় তাই বাইক রিয়ার হুইল ড্রাইভ। তাই পেছনের চাকার রোটেশন ক্যাপাসিটি বেশী অর্থাৎ থ্রটল অন করলেই পেছনের চাকা চালু। সামনের চাকায় আপনি যখন অতিরিক্ত পরিমাণ ব্রেক প্রেশার দেন তখন সামনের চাকা স্লো হতে থাকে কিন্তু সেই তুলনায় পেছনের চাকার রোটেশন (ঘূর্ণন গতি) সেই হারে কমে না কারণ পেছনের ব্রেক অ্যাপ্লাই করা হয়নি। তাই গতিজড়তা (ক্লাস নাইনের পদার্থবিদ্যা বই খুলে দেখেন র জন্য বাইকের পেছনের অংশ সামনে চলে আসতে চায়। রিয়ার হুইল স্কিড করার আদর্শ উদাহরণ হইলো অ্যাপাচি। যারা চালায় তারা এইসব ব্যাপারে অভ্যস্ত। কাজেই নতুন কেউ অ্যাপাচি চালাইতে গেলে কমপ্লেইন একটা "ভাই কন্ট্রোলিং ভালো না" আসল কথা হচ্ছে অ্যাপাচির সামনের ব্রেক টু পাওয়ারফুল আর সেই তুলনায় অ্যাপাচির পেছনের অংশে তেমন কোন ওজন নাই বং হুইলবেইস লং তাই এইরকম হয় (ডিজাইনিং এরর)। তবে দুইজন বা তিনজন নিয়ে চালালে দেখবেন এই সমস্যা হচ্ছে না। (তিনজন নিয়ে চালানো আইনত দন্ডনীয় ) সামনের চাকা লক হয় ইনিশিয়াল বাইট আর স্টপিং পাওয়ার না থাকলে। ৯০% সময়ে আমরা সামনের ব্রেক প্যাড / শু চেঞ্জ করতে ভুলে যাই, ক্ষয়ে যাওয়া টায়ার রিপ্লেস করি না বা ব্রেক জিনিসটাকে ইগনোর করি তাই সামনের চাকা লক হয় যায়।
ইমার্জেন্সি ব্রেকিং টেকনিকঃ আমার নিজের এক্সপিরিয়েন্স থেকে লিখবো কারণ এক এক জনের ব্রেকিং স্টাইল এক এক রকম। আমার চেয়ে ভালো রাইডার যারা তারা আপনাদেরকে আরও ডিটেইল এ বলতে পারবেন আমার এক্সপেরিমেন্ট এবং রিয়াল এক্সাম্পল থেকে কিছু স্টাইল শেয়ার করবো। আশাকরি হেল্পফুল হবে। মনে রাখবেন ইমার্জেন্সিতে মূল লক্ষ্য হল বাইক থামানো কাজেই " এইভাবে ব্রেক করলে তো ইঞ্জিনের ক্ষতি হবে ভাই" এই কোয়েশ্চেন পুরাপুরি ইনভ্যালিড।
***** ডিসক্লেইমারঃ ধরনের ম্যানুভার শুধু মাত্র ইমার্জেন্সিতে প্রযোজ্য এবং শুকনো রাস্তা , বৃষ্টির ভেতরে, বালি বা অফরোড কন্ডিশন এইসব ফ্যাক্টর বিবেচনা করতে হবে। কাজেই আমার স্টাইল যদি আপনার কাজে না আসে সেজন্য আমি দায়ী নই।। ******
স্টাইল ১ঃ সামনের ব্রেক এ হার্ড পুশ করে রাখা অবস্থায় দুইটা বা তিনটা গিয়ার ফেলে দিন। পেছনের চাকা সামনে আসতে চাইবে তাই গিয়ার ডাউন করতে করতে পেছনের ব্রেক অ্যাপ্লাই করুন। এইটা সাধারণত ৬০+ স্পীডে কাজে দেয়। শুকনো রাস্তায় খুব ফাস্ট স্পীড কমে। ভুলেও ক্লাচ ধরার চিন্তা করবেন না। কারণ ক্লাচ আপনার পেছনের চাকাকে ট্রান্সমিশন থেকে ফ্রি করে দেবে কাজেই গতি কমার বদলে উলটা বেড়ে যাবে। স্কীড করবেন কিছু বোঝার আগেই।
স্টাইল ২ঃ যদি কর্নার বা হেলানো অবস্থা থেকে ব্রেক করার দরকার হয় তবে অবশ্যই বাইক সোজা করে (আপরাইট পজিশন) নিয়ে ফ্রন্ট ব্রেক অ্যাপ্লাই করবেন এবং একটু দাঁড়িয়ে পা দিয়ে ফুটপেগের উপরে নিচের দিকে চাপ প্রয়োগ করুন এক্সট্রা ট্র্যাকশন তৈরি করার জন্য। (বাজাজ প্ল্যাটিনা আগের মডেলে যেইটাতে সামনে ডিস্ক নাই ওটাতে একবার বৃষ্টির মধ্যে এইভাবে সেভ হয়েছিল। পড়লে মারা যাইতাম কারণ পেছনে ট্রাক ছিলো) । এই স্টাইল মোটামুটি ৩০-৪৫ স্পিডে এফেক্টিভ।
যদি দেখেন যে সংঘর্ষ অনিবার্য, তাহলে পেছনের চাকাকে স্লাইড করিয়ে সামনে আনতে হবে তাই পড়ে যাওয়ার ডিরেকশন হবে বাইক সামনে আপনি পেছনে। এতে আপনি প্রাইমারি ইম্প্যাক্ট থেকে বাচতেও পারেন। আর কখনোই পড়ে গেলে বাইক ধরে থাকবেন না। বাইক যেদিকে ইচ্ছা যাক আপনি বাইক ছেড়ে দিবেন। প্রাথমিক টার্গেট হল মাথা বাঁচানো কাজেই খুব ভালো ফুল ফেইস হেলমেট ব্যবহার করুন। এবং ইম্প্যাক্ট এর আগে দুই হাত দিয়ে মাথা ধরে থাকুন যাতে ব্রেইন এ মিনিমাম আঘাত লাগে। কর্নারিং অবস্থায় যদি বাইক থেকে পড়ে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী হয় তাহলে বাইকটাকে দুই পায়ের গ্যাপ থেকে ছেড়ে দিন। বাইকের সাথে যাবেন না।
অনেক বড় নোট লিখে ফেললাম। যাইহোক সব কথার শেষ কথা " এমন কোন স্পীড তুলবেন না বাইক নিয়ে যা আপনার হ্যান্ডেল করার এবিলিটি নাই।"
হতে পারে আপনার ব্রেকও ভালো, বাইকও টপ ক্লাস। কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে স্পীড কন্ট্রোল করতে হয়। আমার তরফ থেকে কিছু টিপসঃ
* সবসময়ে আশেপাশের এলাকা সম্পর্কে অ্যালার্ট থাকুন। যেমন যদি জনবসতি বা ঘনবসতি হয় তাহলে অনেক বড় চান্স থাকে যে ছোট বাচ্চা কাচ্চা রাস্তা ক্রস করতে পারে। কাজেই গতি কমান। বা পটহোল বা ঢাকনাখোলা ম্যানহোল থাকতে পারে। কাজেই চোখ কান খোলা রাখুন।
* সবসময়ে সিগন্যাল দিন এবং সামনের গাড়ি বা বাইক বা ট্রাকের মতিগতি না বুঝে ওভারটেক করতে যাবে না।
* নিজের বাইকের স্টপিং ডিস্টেন্স ভালো ভাবে জেনে রাখুন যে আপনার বাইক ৭০-৮০ কিমি/ঘন্টা থেকে ফুল ব্রেক ধরা অবস্থায় কত মিটার বা কত গজের মধ্যে পুরোপুরি থেমে যায়। সামনের গাড়ীর সাথে সেই ডিস্টেন্সটুকু বজায় রাখুন হাইওয়েতে। সিটিতে চলার সময়ে.৪০ কিমি থেকে ব্রেকিং ডিসটেন্সের হিসাব মাথায় ভালো করে রাখুন।
*বাইকে আউল ফাউল মড না লাগিইয়ে ভালো কোয়ালিটির ব্রেক এর পেছনে ইনভেস্ট করুন। কাজে লাগবে। রেগুলার সার্ভিসিং এ ব্রেকিং পারফরমেন্স চেক করে তারপর মেকানিককে টাকা দিয়ে লগ আউট করুন।
যাই হোক ফোকস, আজকের জন্য এতটুকুই। আশাকরি আমার লেখা আপনাদের একটু আধটু উপকার করলেও করতে পারে। সামনে আর কি কি টপিকে লেখা দেখতে চান সেটা জানিয়ে দিন আমাদের টীম বাইকবিডিকে। রাইড সেইফ, অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার ক্রুন এবং কিপ ইওর ব্রেকস হেলদি। আবারও দেখা হবে নতুন কোন টপিক নিয়ে। বাইকবিডির সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফিজ। কমেন্টে একটা ভিডিওর লিঙ্ক দিলাম। দেখে নিজে ডিসিশন নিন যে কতটা গতিতে চালাবেন। হ্যাপি রাইডিং ।


POST CREDIT :OMAR FERDAUS

Comments

  1. 20 কেজি ওজন কমানোর উপায় সেরা এমন কিছু ব্যায়াম

    ভাই আপনার আটিক্যালে পড়ে অনেক ভালো লাগল ধন্নবাদ আপনাকে

    আপনি হয়তো অনেক বার ওজন কমানোর জন্য চেষ্টা করেছেন কিন্তু আপনি এই ব্যস্ত সময়ে বারবার অসফল হয়ে ফিরে এসেছেন তাই আমি আজ এমন কিছু সেরা টিপস এবং ব্যায়াম এবং খাদ্য তালিকা শেয়ার করব যা থেকে আপনার ফিটনেস ধরে রাখার জন্য এক আশ্চর্য জনক চমক হবে আরও পড়ুন

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

শাবনূরের লাইফস্টাইল অজানা অনেক তথ্য I আসল নাম | উচ্চতা I ওজন I শারীরিক পরিমাপ | বয়স | পড়ালেখা | স্বামী | ক্যারিয়ারের অর্জন | বাড়ি | জীবনী এবং উল্লেখযোগ্য সিনেমায় ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্ককে জানতে অবশ্যই পড়ুন

বাংলাদেশী ব্যান্ডের আন্ডাররেটেড গান সমূহের তালিকা দেয়া হলো । নতুন কিছু গানের স্বাদ পেতে অবশ্যই পড়ুন।

পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ২০ টি বস্তু, যা এতটাই দামী আপনি শুনে অবাক না হয়ে পারবেন না,জানতে অবশ্যই পড়ুন।