বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় রকব্যান্ড আইকন্স এর সম্পর্ককে জানতে পড়ুন।
আজকে যে ব্যান্ডটির নাম বলবো তারা হলো বাংলাদেশের আন্ডারগ্রাউন্ড রেভুলেশনের অন্যতম পথিকৃৎ। এই ব্যান্ডটি যখন তাদের নাম ঠিক করছিলো তখন তারা এই ভেবে ঠিক করছিলো যেন তারা ব্যান্ড মিউজিকের রোল মডেল হতে পারে।আসলে কিন্তু তাই হলো। এখন তারা হাজার হাজার তরুণদের রোল মডেল,আইডল,আইকন।
আর কারো কথা বলছিনা বলছি জনপ্রিয় রকব্যান্ড "আইকন্স" এর কথা।
ব্যান্ড মেম্বার্স :
১/ অমিত মুনতাসির- বেজ গীটার
২/ ঔসি ওমর - ড্রামস
৩/শওকত আহমেদ সিদ্দিকী - গীটার
৪/ মুনতাসির হুসেইন- ভোকাল ও গীটার
৫/ ফয়সাল আকরা ইথার - লিরিসিস্ট
জন্রা : অল্টারনেটিভ /গ্রাঞ্জ/ নিউ এইজ
ইতিহাস : ব্যান্ডটি যাত্রা শুরু করে ২০০১ সালে।তাদের প্রথম দিকের ইনফরমাল জ্যামিং লাইনআপ ছিলো রিজু ভোকাল ও গীটারে।লিরিসিস্ট ইথার বেজ গীটারে। ড্রামসে নিটন।ব্যান্ডটি অবশ্য পুরাদস্তুর যাত্রা শুরু করে যখন ব্যান্ডের গীটারিস্ট জয়তী জয়েন করে।
এর মধ্যে অবশ্য ব্যান্ডের লিরিসিস্ট ইথার ফুলটাইম লিরিসিস্ট হয়ে যায়।যার ফলে বেজিস্ট হিসেবে জয়েন করেন অমিত।আইকন্স অবশ্য প্রথমদিকে মেইনস্ট্রীম শো করতে থাকে।তাদের আন্ডারগ্রাউন্ড সিনে প্রথম আত্বপ্রকাশ ঘটে ২১ নভেম্বর ২০০৩ সালে।এরপর থেকে তারা নিয়মিত আন্ডারগ্রাউন্ডে পারফর্ম করতে থাকে এবং অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
২০০৩ সালে তাদের প্রথম সিংগেল "নিষ্পাপ অপরাধ"
রিলিজ পায় ঈসা খান দূরে প্রযোজিত মিক্সড এ্যালবাম "দিনবদল" এ।এই গানটি রিলিজের পর আইকন্স অনেক প্রশংসিত হয়।এই গানটিতে ফিমেল ভোকালিস্ট ছিলেন আরমিন মূসা।
এরপর অবশ্য ব্যান্ডে কিছুটা পরিবর্তন ঘটে।ব্যান্ডের গীটারিস্ট জয়তী ও ড্রামার নিটন ব্যান্ড লিভ নেয়।
জয়তীর জায়গাতে গীটারিস্ট হিসেবে জয়েন করেন শওকত। নিটনের জায়গায় প্রথমে স্কেয়ারক্রোর ড্রামার রবিন কিছুদিন গেস্ট ড্রামার হিসেবে ছিলেন।পরবর্তীতে ড্রামার হিসেবে জয়েন করে ঔশী।তাছাড়া ব্যান্ডে দ্বিতীয় ভোকালিস্ট এবং কিবোর্ডিস্ট হিসেবে জয়েন করেন টোনা।
২০০৪ সালে আইকন্স রিলিজ দেয় তাদের দ্বিতীয় সিংগেল "অহংকার"।এটি রিলিজ পায় মিক্সড এ্যালবাম "লোকায়ত "তে।এই গানটি দিয়ে একদম বাজিমাত করে দেয় তারা।যাকে বলে একদম স্টার্স থেকে সুপারস্টার্স। গানটার মাধ্যমে একদম লাইম লাইটে চলে আসে তারা।২০০৪ সালে তাদের তৃতীয় সিংগেল "কল্পনা" রিলিজ পায় "স্বপ্নচূড়া" এ্যালবামে।
কল্পনা গানটিতে ভোকাল ছিলেন টোনা
এরপর আবার টোনা ব্যান্ড লিভ নেয়।
আইকন্স তাদের উচ্চতার মাইলফককে আরেক উচ্চতায় নিয়ে যায় ২০০৫ সালে তাদের হিট সিংগেল "অবিনয়" রিলিজের মাধ্যমে
যেটি রিলিজ পায় বেজবাবা সুমন প্রযোজিত এ্যালবাম "আগন্তুক ৩" এ
তাদের সিংগেল গুলোর জনপ্রিয়তাকে কেন্দ্র করে ২০০৫ সালে জি-সিরিজের ব্যানারে তাদের প্রথম ও একমাত্র এ্যালবাম "ঈশ্বরণীয়" রিলিজ পায়।
এই এ্যালবামটা নিয়ে যতোই বলি ততোই কম হবে।এই এ্যালবামটার প্রতিটা গান এক একটা মাস্টারপিস। বাংলা ব্যান্ড মিউজিক হিস্ট্রির ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট এ্যালবামস"
২০০৮-০৯ পর্যন্ত আন্ডারগ্রাউন্ডে তারা এ্যাকটিভ ছিলো।কিন্তু এরপর থেকে তারা আর লাইভে অং নেয় নি।প্রফেশনাল লাইফের ব্যস্ততায় তারা লাইভ পারফরমেন্স থেকে দূরে সরে যায়।
যদিও ২০১২ সালে তাদের ৫ম সিংগেল রিলিজ পায় হাতিয়ার এ্যালবামে।
কিন্তু আমি এখনো স্বপ্ন দেখি আইকন্স আবারো ফিরে আসবে।আন্ডারগ্রাউন্ড আবারো মাতিয়ে তুলবে।স্বপ্ন দেখতে তো দোষ নেই।
ডিস্কোগ্রাফি :
অ্যালবাম : "ঈশ্বরণীয়"
১/ ঈশ্বরণীয় ( ২০০৫)
১/ বৃষ্টিহত
২/ সত্যয়
৩/ অপরাহ্ণ
৪/নিও
৫/ঈশ্বরণীয়
৬/ [অ]সম্পূর্ণ
৭/ উৎসর্গ
৮/অসম
৯/ স্পর্শ
১০/ মৃত
১১/ স্নাত
বোনাস ট্রাক : অবিনয়
সিংগেল ট্র্যাক সমূহ :
১/ নিষ্পাপ অপরাধ - দিনবদল ( ২০০৩)
২/ অহংকার - লোকায়ত ( ২০০৪)
৩/ কল্পনা - স্বপ্নচূড়া ( ২০০৪)
৪/ অবিনয় - আগন্তুক ৩ ( ২০০৫)
৪/অবশেষে - হাতিয়ার ডিস্ক -১ (২০১২)
Comments
Post a Comment