বার্সেলোনা এবং স্পেনের সেরা মিডফিল্ডার জাভি তার সম্পর্ককে জানতে পড়ুন।

পাজল গেম কখনো খেলেছেন ।পাজলগুলোকে মুভ করানো হয় এখান থেকে ওখানে । ওখান থেকে সেখানে ।যারা দেখবে ,তারা মনে করবে .ওরে ভাই,কি বোরিং খেলারে !! কিন্তু যে খেলে সেই বলতে পারে প্রতিটা মুভমেন্টের পিছনে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য আছে ।উদ্দ্যেশ্য স্পেস খুজে বের করে,পাজলগুলোকে সঠিক স্থানে মুভ করিয়ে পাজলটাকে মিলানো ।
ঠিক তেমনি পাসকিং জাভিকে দেখে মনে হবে ।এই বেটা খালি পাস আর পাস দেয়। উদ্দেশ্যহীনতা ,স্লো মুভমেন্ট কি বোরিংটাই না লাগে । কিন্তু জাভির প্রত্যেকটা টাচ প্রতিপক্ষের জন্য এক একটা স্লো পয়জন । স্পেস খুজে বের করে প্রতিপক্ষের সেটাপ ভেঙে দেয়া । আল্টিমেটলি একটা পাস গিয়ে পড়বে ডেডলি পজিশনে যেটা চান্স ক্রিয়েট করে ।
জাভিকে দেখে হবে মনে হবে ,সে 3D ভার্সন এ মাঠের মধ্যে থেকেই খেলছে । নাহলে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের পজিশন তার মাথায় আটকে থাকতো না । সে একটা পাস দেয়ার আগে ২ ৩ পাস পরে কি হবে সে চিন্তাও করতে পারতো না । কোন পুরাতন ফিফা খেলোয়াড় যেমন রাডার দেখেই বলতে পারে কে কোন পজিশনে আছে ,ঠিক তেমনি জাভিও ।আবার মনে করতে পারেন জাভি হল বার্সার মাঠের মাথা এবং বাকী খেলোয়াড়গুলো হল বার্সার মাঠের স্নায়ু । শরীরে যেমন কোন কিছু হলে মাথায় গিয়ে বার্তা পৌছায়,ঠিক তেমনি কোন খেলোয়াড় রান দিলে ,কোন খেলোয়াড়ের পজিশনের বার্তাও তার কাছে পৌছে যায়।
কি এমন আছে ? তার মাথার মধ্যে ।যদি ঢুকে দেখা যেত !! তাকে দেখে মনে হবে ,এই পাস দিচ্ছে ,নিচ্ছে ,, যেন পাসিং প্রেকটিস করছে আর কি !! কিন্তু ভাই এই কাজটা যে কত কঠিন আর কতটা এফেক্টিভ তার কথা শুনলেই বুঝা যায়,,,“That’s what I do: look for spaces,” . “All day. I’m always looking. All day, all day. [Xavi starts gesturing as if he is looking around, swinging his head]. Here? No. There? No. People who haven’t played don’t always realise how hard that is. Space, space, space. It’s like being on the PlayStation. I think shit, the defender’s here, play it there. I see the space and pass. That’s what I do.” ।। সবথেকে মজার জিনিস হলো ,তার শরীরের মধ্যে ,বডি মুভমেন্ট ,এটিটিউট কোন কিছুতেই খেলোয়াড় সুলভ ভাব খুজে পাবেন না । বাইরে দেখলে মনে হবে যেনো এক ইংলিশ প্রফেসর ।কিন্তু ঐ মানুষটা যে পায়ের তালে কত মানুষকে নাচিয়েছে ,নাচাচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই ।
যদি কমপ্লিট কোন মিডফিল্ডার সাথে এচিভমেন্টের কথা বলতে যায় স্কোলস এর নাম চলে আসে । কিন্তু জাভিকে যেটা স্পেশাল করে সেটা হল ক্লাব এচিভমেন্টের সাথে জাতীয় দলের এচিভমেন্ট । যেটা স্কোলস এর ছিলো না । জাভি কিন্তু জাতীয় দল এবং ক্লাব দুটারই আর্কেস্ট্রেটর ,দুটারই ফালক্রাম । হতে পারে জাতীয় দলে ইউরো তে মার্কোস সেনা সেরা ছিলো ,পরে ভিয়া সেরা ছিলো বিশ্বকাপে ,ক্লাবে মেসি কিন্তু তাদের পিছনের বেসটা কিন্তু জাভিই সেট করেছে । দ্যটস হোয়াট মেকস হিম স্পেশাল ফ্রম আদারস ।
তার এচিভমেন্টের লিস্টটা আপনি ঘেটে দেখলেই বুঝবেন হোয়াট হি ডাস ইন ফুটবল ফিল্ড । কি পাস ,পাস রেট ,পাস কোয়ান্টিটি এসিস্ট এন্ড মোর ওভার হিস একুরেসি । যে দেখবে তার চোখটা ছানাবড়া হবে নিশ্চিত । সে কোন ট্রিকারি করে না ,রোনালদিনহোর মত স্কিল এর ফুলঝুরি ছোটায় না ,তার ম্যাকলেলের মত শরীর নেয়,কিংবা সে চোখধাধানো কোন ড্রিবলও করেনা ,কিন্তু মাঠে সে তার থেকেও এফেক্টিভ । , সে বার্সা এবং স্পেন সেটাপের সবথেকে গুরুত্বপূর্ন খেলোয়াড় ছিলো উইথ ০% ডাউট । কাউন্টার এটাকে ৩টা জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ন , ট্রান্জিশনাল প্লে ,অফ দ্য বল মুভমেন্ট আর কুইক ডিসিশন টেকিং । চোখ বন্ধ করলে একটা খেলোয়াড় চোখে ভাসবে । সাদা ড্রেস পড়া রোনালদো । আর টিকিটাকা বেসড ফুটবলে ৩টা জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ন মোর দ্যন প্রিসাইস পাসিং ,এক্সিলেন্ট ভিশন ,হাই প্রেসিং ,হাই মোবিলিটি ইন ওপেন স্পেসেস ,ক্যাপাবলিটি অফ কিপিং দ্য বল আন্ডার প্রেসিং । এন্ড গেস হোয়াট ? অল ইন ওয়ান পার্ফেক্টলি প্লেসড ইন জাভিস গেমপ্লে । মাস্টার অফ ডুয়িং দ্যট । যার কারনে বার্সা এবং স্পেন আনটাচেবল ছিলো কয়েক বছর । এখন তার অনুপস্থিতিতে ,তার ফর্ম ড্রাউটে বোঝা যাচ্ছে দু দলেরই অবস্থা ।
সবসময় জাভিকে দেখে মনে হবে ,হি হার্ডলি রানস । দুর মশাই । ১১ এর চ্যাম্পিয়নস লীগ ম্যাচে ১২ কিমি আর ১০ এর বিশ্বকাপ ফাইনালে ১৫ কিমি ডিস্টেন্স কাভার কি আপনি করে আসছেন !! একটা সফল দলে তিন ধরনের খেলোয়াড় থাকে। এক মাস্টারমাইন্ড দুই ওয়ার্কহর্স তিন লিথাল ফিনিশার । নো ডাউট , জাভি মাস্টারমাইন্ড । প্রভাবলি বেস্ট মাস্টারমাইন্ড অফ দ্য গেম । কিন্তু সাথে সাথে সে ওয়ার্কহর্স ও । তার ডিস্টেন্স কাভার ,ডিফেন্স টু এটাক জাংশনিং সবকিছু হিসাব করলে নির্দিধায় জাভি ওয়ার্কহর্স ।হি মেকস এভরিওয়ান রান ,হি মেকস স্পেন এন্ড বার্সা রোটেট । এজন্যই এতটা সফল তিনি । প্রভাবলি মডার্ন এরা ,একচুয়ালি সব এরার বেস্ট কন্ট্রোলার মে বি জাভি । অনেকটা মিউজিক্যাল কনসোল বোর্ডের মতই এফেক্টিভ ফুটবল ফিল্ডে ।
কেন তিনি এত সফল ??
তিনি তিন চারটা জিনিস একটু ব্যাতিক্রমতার সাথে একচুয়ালি ইমপ্রুভাইজেশনের সাথে করে থাকে । সবাই প্রতিটা প্লেয়ারের ফাস্ট টাচ দেখে । জাভির বলের ফাস্ট টাচ অসাধারন নিসন্দেহে । কিন্তু তার ফাস্ট টাচ একটা আলাদা মাত্রা আছে । যেটা তাকে প্রেস করা বা মার্ক করা প্রতিপক্ষকে ছিটকে ফেলতে সাহায্য করে । ঐ মাত্রাটা হল ডিরেকশন । ফুটবলের ভাষায় টাচ ডিরেকশন বলতে পারেন । টাচের সাথে সাথে তার একটা গতিপথ নির্ধারন করা ।যার কারনে তার থেকে বল নেয়া অনেক কস্টের ।
ফেন্ড অফ দ্য অপোজিশন । এটা আবার কি? শুনতে ভালো লাগবেনা । হাত দিয়ে প্রতিপক্ষকে প্রতিরোধের চেষ্টা করে এক দু ইয়ার্ড এক্সিলারেট করা । যেটাকে ফেন্ড অফ দ্য অপোজিশন বলে । যার ফলে প্লেয়াররা তার থেকে এক দু ইয়ার্ড পিছনে পড়ে যায়।
চেন্জিং দ্য এংগেল অফ এন এটাক । ডিরেকশন চেন্জ এক কথায়। যেটা বেশিরভাগ প্লেয়ারই এটাক করতে ব্যবহার করে । কিন্তু জাভি পজিশন শিল্ডিং করতে এটা প্রায়শই ব্যবহার করে । প্রভাবলি এংগেল অফ এটাক চেন্জিং এ বেস্ট তিনিই ।
মাদার এন্ড ফাদার অফ এ কিলার পাসার । তার মত এরিয়ালি ,লবড ,ওয়ান টাচ ব্যাক হিলার থ্রু বল এ কিলার পাস এত সফলতার সাথে দিতে আমি খুব কম খেলোয়াড়কে দেখেছি ।
এ সবের জন্যই জাভি এত সফল মূলত । সাথে বাকি এট্রিবিউটসগুলোতো আছেই ।
হি ক্যান এটাক ,হি ক্যান কন্ট্রোল ,হি ক্যন ডিফেন্ড ইন এনি সিচুয়েশন অফ দ্য গেম ।
জীবনের ৩ যুগ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন । তাই হয়ত আর সে ধার নেই । বয়সের নির্মমতার সাথে কেউ পেরে উঠেন নি । তার সাথেও ব্যাতিক্রম নয়। সবাই যতই বলুক কোকে ,ফেব্রি,গুন্ডোগান ভেরাত্তি ,ক্রুস এরা জাভির মতন । ফ্র্যাংকলি স্পিকিং এটা আসলে ঐসব প্লেয়ারদের অনেক বড় পাওনা । কেউই তার ধারে কাছে নেই । তবে এটা স্বীকার করি দ্য আর এমং ওয়ান অফ দ্য বেস্ট মিডফিল্ডারস । এ যে জাভি যাচ্ছে , আর তার মত কাউকে পাওয়া যাবে না । তবে হ্যা এখনো সে যা প্রডিউস করে অনেক সেরাদের সেরাও তা দিতে পারবে না ।

Comments

Popular posts from this blog

শাবনূরের লাইফস্টাইল অজানা অনেক তথ্য I আসল নাম | উচ্চতা I ওজন I শারীরিক পরিমাপ | বয়স | পড়ালেখা | স্বামী | ক্যারিয়ারের অর্জন | বাড়ি | জীবনী এবং উল্লেখযোগ্য সিনেমায় ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্ককে জানতে অবশ্যই পড়ুন

বাংলাদেশী ব্যান্ডের আন্ডাররেটেড গান সমূহের তালিকা দেয়া হলো । নতুন কিছু গানের স্বাদ পেতে অবশ্যই পড়ুন।

পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ২০ টি বস্তু, যা এতটাই দামী আপনি শুনে অবাক না হয়ে পারবেন না,জানতে অবশ্যই পড়ুন।