পাখি কেনার সময় অবশ্যই যে বিষয় গুলো ভালোভাবে দেখা উচিত সেই বিষয় গুলো সম্পর্ককে জেনে নিন।
পাখি কেনার সময় অনেক গুলো বিষয় খুব ভালো ভাবে দেখে কিনতে হয় সেই গুলো নিচে দেয়া হলো :
১I পাখি কখনো না দেখে কিনবেন না। অবশ্যই পাখি কিনার সময় সামনাসামনি না দেখে সেই পাখি টা নেয়ার কথা ভাববেন না। যদি আপনার দেখে কিনতে সমস্যা হয় অথবা দেখে কিনার সময় পাচ্ছেন না তাহলে পাখি ভালো মন্দ চিনে এমন কাউকে দেখে কিনার দায়িত্ব দিতে পারেন। পাখি হয়তো আপনি কোনো জানা শোনা ব্রিডারের কাছ থেকে নিচ্ছেন তবুও পুরো পুরি কাউকে বিশ্বাস করে পাখি না কিনাই ভালো কারণ সুযোগ পেলে আপনার পরিচিত মানুষটিও আপনাকে ঠকাতে পারে। যা হয়তো আপনি কল্পনাই করছেন না। আর এই জন্যই যার কাছে থেকেই কিনেন না কেন পাখি টা ভালো ভাবে দেখে নেয়া টাই ভালো।
২I আপনি যদি পাখি কিনতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে অবশ্যই পাখি কিনতে সকালে যান। কারণ সকাল বেলা পাখি কিনার জন্য সব থেকে উপযুক্ত সময়।তার কারণ সকাল বেলায় সুস্থ পাখিরা খুব বেশি নড়াচড়া করে। তার কারণ পাখি রাতে ঘুমানোর ফলে দিনের শুরুতে বেশি উৎফুল্ল থাকে। আর সকাল এর সময় সুস্থ পাখি গুলো হাটাচলা, ওড়াউড়ি, ডাকাডাকি, খাওয়া-দাওয়া, গোসল, ঝগড়া, মারামারি খুব বেশি পরিমানে করতে থাকে। যার ফলে তখন ভালো পাখি খুঁজে পাওয়া অনেক বেশি সহজ হয়.তবে কোনো কোনো সময় পাখির খাঁচার সামনে লাইট জ্বালানো থাকলে পাখির ঘুম যদি ভালোমতো না হয় তাহলে সকালে পাখি ঝিমাতে ও পারে। আর পাখিকে ঝিমাতে দেখলে অবশ্যই এই বিষয়ে পাকির মালিকের কাছে থেকে ভালো ভাবে জেনে নিন। আর তাছাড়া পাখি বিকালের দিকে ও মোটামুটি অনেক বেশি হাটাচলা, ওড়াউড়ি, ডাকাডাকি, খাওয়া-দাওয়া, গোসল, ঝগড়া, মারামারি করে থাকে।
৩I আপনি যে পাখিটা নিতে চাচ্ছেন অবশ্যই পাখি টি নেয়ার আগে পাখি টি হাতে ধরে কিছু জিনিস ভালো ভাবে লক্ষ্য করে দেখুন। তার মধ্যে সর্বপ্রথম দেখুন আপনি যে পাখি টি পছন্দ করেছেন সেই পাখির ভেন্ট বা মলদ্বারে পুপ্স লেগে আছে কি না,পাখির ডানার শেষের দিকে পালকে রক্ত লেগে আছে কিনা,পাখির শরীরের কোনো অংশে পালক অনেক বেশি এলোমেলো আছে কিনা ,পাখিটির শরীরে কোনো আঘাত বা চোট আছে কিনা ,পাখির শরীরের তুলনায় বুক অনেক বেশি চিকন কিনা। আর এই লক্ষণ গুলোর কোনো একটি যদি পাখির মধ্যে আপনার নজরে পরে তাহলে সেই পাখিটা না নিয়ে অনেক ভালো। এই রকম পাখি কিনা থেকে বিরত থাকুন।
৪I আপনি পাখি কিনার সময় যে পাখি গুলো নিচ্ছেন তার পুপ্স বা টয়লেট খুব ভালো ভাবে লক্ষ্য করুন। আর আপনি যদি একটি পাখি নিতে চান কিন্তু প্যাকটি অনেক গুলো এক সাথে রয়েছে তাহলে যে পাখিটি আপনি নিতে চাচ্ছেন সেই পাখি আলাদা খাঁচায় নিয়ে খুব ভালো ভাবে পুপ্স বা টয়লেট পর্যবেক্ষণ করুন।পাখির পুপ্স সাধারণত খুব বেশি পাতলা হয় না। পাখির যদি পুপ্স বা টয়লেট যদি সবুজ রং এর হয় বা ধবধবে সাদা রং এর হয় তাহলে তা হচ্ছে পাখিটির পেট খারাপের ইঙ্গিত এইটা।তবে যখন পাখি শাকসবজি খায় তখন আবার সাধারণ ভাবেই পুপ্স বা টয়লেট সবুজ রং এর হয়। আর এই বিষয় টি যদি এমন হয় তাহলে লক্ষ্য করুন পাখিটি তার মাথা পালক এর মধ্যে গুজে বসে আছে কি না। আর তার সাথে যদি ভেন্ট বা মলদ্বারে পুপ্স লেগে থাকে। তাহলে পাখি অনেক বেশি রোগাক্রান্ত তাই এইরকম লক্ষণ দেখলে অবশ্যই সেই পাখি কিনা থেকে বিরত থাকুন।
৫I আপনি পাখি কিনার সময় যে পাখি পছন্দ করেছেন সেই পাখির ওড়াউড়ি খুব ভালো ভাবে লক্ষ্য করুন। দেখুন পাখিটি ভালো ভাবে উড়তে পারছে কিনা।কারণ অনেকে পাখির ডানার শেষ প্রান্তের পালকগুলো কেটে দিয়ে থাকে যার ফলে পাখি উড়তে পারে না। যে পাখিটা কিনবেন সেই পাখিটা যদি খাঁচার গ্রিল ধরে শুধু বেয়ে ওঠানামার চেষ্টা করে তাহলে অবশ্যই পাখিটা দুর্বল বা শারীরিক দূর্বলতা জনিত কোনো সমস্যা ভুগছে। তাই এই সকল পাখি কিনার সময় ভালো ভাবে লক্ষ্য করে কিনুন। যদি এমন কোনো লক্ষণ দেখেন তাহলে অবশ্যই সেই পাখি কিনা থেকে বিরত থাকুন।
৬I আপনি পাখি কিনার সময় যে পাখিটি কিনবেন সেই পাখিটির উঠা বসা ভালো ভাবে লক্ষ্য করুন। পাখিটি বসার সময় ডাল কি সব গুলো আঙ্গুল দিয়ে ভালো ভাবে ধরছে কিনা। তা লক্ষ্য করুন। কারণ পাখিটি যদি ভালো ভাবে ডাল আঙ্গুল দিয়ে ধরতে না পারে তাহলে সহজেই বুঝা নিতে হবে পাখিটি প্যারালাইসড হয়েছে। এই সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে অনেকেই অসাধু ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পড়ে প্যারালাইসিসড পাখি কিনে নিয়ে আসে.তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকলে এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
৭I পাখি কিনার সময় আমরা বেশির ভাগ সময় এ্যাড দেখি "Breeding Pair বা Running Pair For Sale", যার মানে হচ্ছে পাখির জোড়াটি আগেও ব্রিড করেছে।আর এই ক্ষেত্রে সত্যতা বুঝার জন্য পাখি জোড়ার মালিককে ব্রিডিং সেশনের ফটো, অর্থাৎ ডিম নিয়ে বা বাচ্চা নিয়ে বসে থাকার ছবি দেখাতে বলুন। কারণ অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এই কথা বলে পাখি দ্বিগুন দামে বিক্রয় করে থাকে। তাই দাম যখন দ্বিগুন নিবে তাহলে তাকে এটুকু প্রমাণও দেখতে হবে।কোনো প্রমান না দেখে কথা শুনে দাম বেশি দিয়ে পাখি না কিনাই ভালো। যদি সে তা করতে অপরাগ হয় তাহলে সেই পাখি না নেওয়াই উত্তম এবং বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৮I পাখি কিনার সময় পাখির মালিক অনেক মন গলানো কথাই বলবে তাদের কথায় পাত্তা দিবেন তো তাহলেই ঠকবেন। পাখির মালিক এমন কিছু কথা বলবে যেমন এই পাখির জোড়া টা নেন,এই পাখির জোড়া আমার ফার্মের সেরা জোড়া ,এই পাখির জোড়া থেকে আমারমাসে ১০ হাজার টাকা আয় আসে। এই পাখির জোড়া ১০ টা ডিম পাড়ে ,আর ১০ ডিম তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায়। আমার ফার্মের সবচেয়ে দামী মিউটেশন,এই রকম জোড়া বাংলাদেশে একটাই আছে এই রকম আরো অনেক কথা বলবে। তাই পাখির মালিক যাই বলুক না কেন তার কথায় কান না দিয়ে নিজের কাছে যেইটা ভালো লাগে সেইটাই নেন। আপনার সকল কিছু ভালো ভাবে দেখার পর যেইটা পারফেক্ট & নরমাল মনে হবে সেইটাই নেয়া ভালো।
৯। ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। অনেকে আছেন পাখি কিনে এনে তারপর অনেক জাকজমক সহকারে পোষ্ট করেন "আমার নতুন ব্রিডিং পেয়ার, ২ হাজার টাকা নিয়েছে, কেমন হলো বন্ধুরা ??" একটু পর দেখা যায় সেখানে কোনো এক্সপার্টের কমেন্ট "ভাই এরা তো ২ মাসের বাচ্চা এবং দুটোই ছেলে। দাম সর্বোচ্চ ৬ শ টাকা" ! ইদানিং রেইনবো বাজ্রিগার নিয়ে এই কাহিনী টা বেশি ঘটছে। নরমাল মিউটেশন ধরিয়ে দিয়ে রেইনবোর দাম নিচ্ছে। ইংলিশ বাজির নামে দিচ্ছে বেংলিশ। পার্ল ককাটিলের নামে নরমাল গ্রে ! বেঙ্গলি ফিঞ্চের বদলে দেশি মুনিয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই কেনার পরে পোষ্ট না করে, কেনার আগে করুন। পাখিটার মিউটেশন, জেন্ডার, বয়স, দাম ইত্যাদি জেনে তারপর কিনুন।
১০। আরো এক ধরণের এ্যাড আমরা দেখি, সেটা হলো সদ্য চোখ ফোটা বাচ্চার ছবি দিয়ে "Perfect Age For Taming" ! টেমিং /পোষ মানানোর জন্যেই হোক বা অন্য কোনো কারণেই হোক, হ্যান্ডফিডিং সাইজের বাচ্চা কেনার থেকে দূরে থাকুন। এই "বাচ্চা" শব্দটা ব্যবহার করে আপনাকে যে কত রকম ভাবে ঠকাতে পারে তা হয়ত ধারণার বাইরে। বাচ্চা পাখি দাঁড়াতে পারেনা, শব্দ করতে পারেনা, উড়তে পারেনা, বসতে পারেনা, পাতলা পুপ্স করে, সারাদিন ঝিমায় আরো কত কি ! বিশ্বাস করে কিনে এনে কয়েক মাস পর হয়ত দেখবেন পাখি যেমন ছিল তেমনই আছে। পাশাপাশি এসব বাচ্চা বাঁচানোও অনেক কষ্ট, বিশেষ করে যদি আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকে। টেমিং এর জন্য হ্যান্ডফিডিং কখনোই বাধ্যতামূলক নয়, যদি আপনি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেন। তাই বাড়তি ঝামেলা করে বাচ্চাটার জীবন কেন ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন ?
১I পাখি কখনো না দেখে কিনবেন না। অবশ্যই পাখি কিনার সময় সামনাসামনি না দেখে সেই পাখি টা নেয়ার কথা ভাববেন না। যদি আপনার দেখে কিনতে সমস্যা হয় অথবা দেখে কিনার সময় পাচ্ছেন না তাহলে পাখি ভালো মন্দ চিনে এমন কাউকে দেখে কিনার দায়িত্ব দিতে পারেন। পাখি হয়তো আপনি কোনো জানা শোনা ব্রিডারের কাছ থেকে নিচ্ছেন তবুও পুরো পুরি কাউকে বিশ্বাস করে পাখি না কিনাই ভালো কারণ সুযোগ পেলে আপনার পরিচিত মানুষটিও আপনাকে ঠকাতে পারে। যা হয়তো আপনি কল্পনাই করছেন না। আর এই জন্যই যার কাছে থেকেই কিনেন না কেন পাখি টা ভালো ভাবে দেখে নেয়া টাই ভালো।
২I আপনি যদি পাখি কিনতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে অবশ্যই পাখি কিনতে সকালে যান। কারণ সকাল বেলা পাখি কিনার জন্য সব থেকে উপযুক্ত সময়।তার কারণ সকাল বেলায় সুস্থ পাখিরা খুব বেশি নড়াচড়া করে। তার কারণ পাখি রাতে ঘুমানোর ফলে দিনের শুরুতে বেশি উৎফুল্ল থাকে। আর সকাল এর সময় সুস্থ পাখি গুলো হাটাচলা, ওড়াউড়ি, ডাকাডাকি, খাওয়া-দাওয়া, গোসল, ঝগড়া, মারামারি খুব বেশি পরিমানে করতে থাকে। যার ফলে তখন ভালো পাখি খুঁজে পাওয়া অনেক বেশি সহজ হয়.তবে কোনো কোনো সময় পাখির খাঁচার সামনে লাইট জ্বালানো থাকলে পাখির ঘুম যদি ভালোমতো না হয় তাহলে সকালে পাখি ঝিমাতে ও পারে। আর পাখিকে ঝিমাতে দেখলে অবশ্যই এই বিষয়ে পাকির মালিকের কাছে থেকে ভালো ভাবে জেনে নিন। আর তাছাড়া পাখি বিকালের দিকে ও মোটামুটি অনেক বেশি হাটাচলা, ওড়াউড়ি, ডাকাডাকি, খাওয়া-দাওয়া, গোসল, ঝগড়া, মারামারি করে থাকে।
৩I আপনি যে পাখিটা নিতে চাচ্ছেন অবশ্যই পাখি টি নেয়ার আগে পাখি টি হাতে ধরে কিছু জিনিস ভালো ভাবে লক্ষ্য করে দেখুন। তার মধ্যে সর্বপ্রথম দেখুন আপনি যে পাখি টি পছন্দ করেছেন সেই পাখির ভেন্ট বা মলদ্বারে পুপ্স লেগে আছে কি না,পাখির ডানার শেষের দিকে পালকে রক্ত লেগে আছে কিনা,পাখির শরীরের কোনো অংশে পালক অনেক বেশি এলোমেলো আছে কিনা ,পাখিটির শরীরে কোনো আঘাত বা চোট আছে কিনা ,পাখির শরীরের তুলনায় বুক অনেক বেশি চিকন কিনা। আর এই লক্ষণ গুলোর কোনো একটি যদি পাখির মধ্যে আপনার নজরে পরে তাহলে সেই পাখিটা না নিয়ে অনেক ভালো। এই রকম পাখি কিনা থেকে বিরত থাকুন।
৪I আপনি পাখি কিনার সময় যে পাখি গুলো নিচ্ছেন তার পুপ্স বা টয়লেট খুব ভালো ভাবে লক্ষ্য করুন। আর আপনি যদি একটি পাখি নিতে চান কিন্তু প্যাকটি অনেক গুলো এক সাথে রয়েছে তাহলে যে পাখিটি আপনি নিতে চাচ্ছেন সেই পাখি আলাদা খাঁচায় নিয়ে খুব ভালো ভাবে পুপ্স বা টয়লেট পর্যবেক্ষণ করুন।পাখির পুপ্স সাধারণত খুব বেশি পাতলা হয় না। পাখির যদি পুপ্স বা টয়লেট যদি সবুজ রং এর হয় বা ধবধবে সাদা রং এর হয় তাহলে তা হচ্ছে পাখিটির পেট খারাপের ইঙ্গিত এইটা।তবে যখন পাখি শাকসবজি খায় তখন আবার সাধারণ ভাবেই পুপ্স বা টয়লেট সবুজ রং এর হয়। আর এই বিষয় টি যদি এমন হয় তাহলে লক্ষ্য করুন পাখিটি তার মাথা পালক এর মধ্যে গুজে বসে আছে কি না। আর তার সাথে যদি ভেন্ট বা মলদ্বারে পুপ্স লেগে থাকে। তাহলে পাখি অনেক বেশি রোগাক্রান্ত তাই এইরকম লক্ষণ দেখলে অবশ্যই সেই পাখি কিনা থেকে বিরত থাকুন।
৫I আপনি পাখি কিনার সময় যে পাখি পছন্দ করেছেন সেই পাখির ওড়াউড়ি খুব ভালো ভাবে লক্ষ্য করুন। দেখুন পাখিটি ভালো ভাবে উড়তে পারছে কিনা।কারণ অনেকে পাখির ডানার শেষ প্রান্তের পালকগুলো কেটে দিয়ে থাকে যার ফলে পাখি উড়তে পারে না। যে পাখিটা কিনবেন সেই পাখিটা যদি খাঁচার গ্রিল ধরে শুধু বেয়ে ওঠানামার চেষ্টা করে তাহলে অবশ্যই পাখিটা দুর্বল বা শারীরিক দূর্বলতা জনিত কোনো সমস্যা ভুগছে। তাই এই সকল পাখি কিনার সময় ভালো ভাবে লক্ষ্য করে কিনুন। যদি এমন কোনো লক্ষণ দেখেন তাহলে অবশ্যই সেই পাখি কিনা থেকে বিরত থাকুন।
৬I আপনি পাখি কিনার সময় যে পাখিটি কিনবেন সেই পাখিটির উঠা বসা ভালো ভাবে লক্ষ্য করুন। পাখিটি বসার সময় ডাল কি সব গুলো আঙ্গুল দিয়ে ভালো ভাবে ধরছে কিনা। তা লক্ষ্য করুন। কারণ পাখিটি যদি ভালো ভাবে ডাল আঙ্গুল দিয়ে ধরতে না পারে তাহলে সহজেই বুঝা নিতে হবে পাখিটি প্যারালাইসড হয়েছে। এই সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে অনেকেই অসাধু ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পড়ে প্যারালাইসিসড পাখি কিনে নিয়ে আসে.তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকলে এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
৭I পাখি কিনার সময় আমরা বেশির ভাগ সময় এ্যাড দেখি "Breeding Pair বা Running Pair For Sale", যার মানে হচ্ছে পাখির জোড়াটি আগেও ব্রিড করেছে।আর এই ক্ষেত্রে সত্যতা বুঝার জন্য পাখি জোড়ার মালিককে ব্রিডিং সেশনের ফটো, অর্থাৎ ডিম নিয়ে বা বাচ্চা নিয়ে বসে থাকার ছবি দেখাতে বলুন। কারণ অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এই কথা বলে পাখি দ্বিগুন দামে বিক্রয় করে থাকে। তাই দাম যখন দ্বিগুন নিবে তাহলে তাকে এটুকু প্রমাণও দেখতে হবে।কোনো প্রমান না দেখে কথা শুনে দাম বেশি দিয়ে পাখি না কিনাই ভালো। যদি সে তা করতে অপরাগ হয় তাহলে সেই পাখি না নেওয়াই উত্তম এবং বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৮I পাখি কিনার সময় পাখির মালিক অনেক মন গলানো কথাই বলবে তাদের কথায় পাত্তা দিবেন তো তাহলেই ঠকবেন। পাখির মালিক এমন কিছু কথা বলবে যেমন এই পাখির জোড়া টা নেন,এই পাখির জোড়া আমার ফার্মের সেরা জোড়া ,এই পাখির জোড়া থেকে আমারমাসে ১০ হাজার টাকা আয় আসে। এই পাখির জোড়া ১০ টা ডিম পাড়ে ,আর ১০ ডিম তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায়। আমার ফার্মের সবচেয়ে দামী মিউটেশন,এই রকম জোড়া বাংলাদেশে একটাই আছে এই রকম আরো অনেক কথা বলবে। তাই পাখির মালিক যাই বলুক না কেন তার কথায় কান না দিয়ে নিজের কাছে যেইটা ভালো লাগে সেইটাই নেন। আপনার সকল কিছু ভালো ভাবে দেখার পর যেইটা পারফেক্ট & নরমাল মনে হবে সেইটাই নেয়া ভালো।
৯। ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। অনেকে আছেন পাখি কিনে এনে তারপর অনেক জাকজমক সহকারে পোষ্ট করেন "আমার নতুন ব্রিডিং পেয়ার, ২ হাজার টাকা নিয়েছে, কেমন হলো বন্ধুরা ??" একটু পর দেখা যায় সেখানে কোনো এক্সপার্টের কমেন্ট "ভাই এরা তো ২ মাসের বাচ্চা এবং দুটোই ছেলে। দাম সর্বোচ্চ ৬ শ টাকা" ! ইদানিং রেইনবো বাজ্রিগার নিয়ে এই কাহিনী টা বেশি ঘটছে। নরমাল মিউটেশন ধরিয়ে দিয়ে রেইনবোর দাম নিচ্ছে। ইংলিশ বাজির নামে দিচ্ছে বেংলিশ। পার্ল ককাটিলের নামে নরমাল গ্রে ! বেঙ্গলি ফিঞ্চের বদলে দেশি মুনিয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই কেনার পরে পোষ্ট না করে, কেনার আগে করুন। পাখিটার মিউটেশন, জেন্ডার, বয়স, দাম ইত্যাদি জেনে তারপর কিনুন।
১০। আরো এক ধরণের এ্যাড আমরা দেখি, সেটা হলো সদ্য চোখ ফোটা বাচ্চার ছবি দিয়ে "Perfect Age For Taming" ! টেমিং /পোষ মানানোর জন্যেই হোক বা অন্য কোনো কারণেই হোক, হ্যান্ডফিডিং সাইজের বাচ্চা কেনার থেকে দূরে থাকুন। এই "বাচ্চা" শব্দটা ব্যবহার করে আপনাকে যে কত রকম ভাবে ঠকাতে পারে তা হয়ত ধারণার বাইরে। বাচ্চা পাখি দাঁড়াতে পারেনা, শব্দ করতে পারেনা, উড়তে পারেনা, বসতে পারেনা, পাতলা পুপ্স করে, সারাদিন ঝিমায় আরো কত কি ! বিশ্বাস করে কিনে এনে কয়েক মাস পর হয়ত দেখবেন পাখি যেমন ছিল তেমনই আছে। পাশাপাশি এসব বাচ্চা বাঁচানোও অনেক কষ্ট, বিশেষ করে যদি আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকে। টেমিং এর জন্য হ্যান্ডফিডিং কখনোই বাধ্যতামূলক নয়, যদি আপনি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেন। তাই বাড়তি ঝামেলা করে বাচ্চাটার জীবন কেন ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন ?
Comments
Post a Comment