বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় হেভি মেটাল ব্যান্ড মেকানিক্স।
ব্যান্ড মিউজিক ফ্যানকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, বাংলাদেশের একটা হেভী মেটাল ব্যান্ডের নাম বলেন তো? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উত্তর আসবে 'মেকানিক্স'। বাংলা হেভী মেটাল জনরায় শতকরা ৮০ ভাগ মেটাল লাভার এর প্রথম পছন্দের হেভী মেটাল ব্যান্ড হল 'মেকানিক্স'। আজ তাদের নিয়ে আমার এই লেখা-
'মেকানিক্স' নামটার মাঝেই অন্যরকম একটা ফিল আছে। হেভী মেটাল ব্যান্ডটির জন্ম ২০০৬ সালে।
ত্রিদিব(ভোকাল), রুশো(বেজ), রিয়াজ(ড্রামস) আর তামজিদ(গিটার) এই চারজনের হাত ধরে শুরু হয় মেকানিক্সের বাংলা ব্যান্ডের জগতে পথচলা। মেকানিক্স আরেকজন গিটারিস্টের প্রয়োজন ছিল যা পূরণ করেন প্রিজনারস এর ফর্মার লিড গিটারিস্ট ইমরান। এটা ছিল তাদের প্রথম লাইন আপ।
মেকানিক্সের গানে পদচারণার শুরু বিভিন্ন ব্যান্ডের গান কাভার করে। বিভিন্ন লাইভ কন্সার্টে তারা মেটালিকা, মেগাডেথ এর মত ব্যান্ডের গান কাভার করত, নতুন একটা ব্যান্ডের জন্য যা ছিল অসম্ভবরকম কঠিন আর চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু মেকানিক্স সেটা করেছিল সফল ভাবেই যার প্রমাণ ছিল অডিয়েন্সের উল্লাসিত চিৎকার। ব্যান্ড গঠনের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন লাইভ কন্সার্টে ছোট বড় অসংখ্য মঞ্চ কাঁপিয়ে এসেছে মেকানিক্স। তাদের প্রথম স্টেজ পারফর্মেন্স ছিল আরসিসি (রাশিয়ান কালচার সেন্টার) তে। তাদের পছন্দের ভেন্যু গুলোর মধ্যেও আরসিসি প্রথমে। মেকানিক্সকে সবচেয়ে পাবলিসিটি এনে দেয় ডি'রকস্টার ২। সেরা ব্যান্ড নির্বাচনের এই কম্পিটিশনের সিজন ২ এ মেকানিক্স ছিল সেমি ফাইনালিস্ট। এখানে তারা দেশের সেরা কিছু ব্যান্ড মিউজিসিয়ান এর সাথে কাজ করার সুযোগ পায়। মেটালিক ব্যান্ড হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বড় অবদানই ছিল এই কম্পিটিশনটির। ডি'রকস্টার ২ এ সেরা ড্রামার নির্বাচিত হন মেকানিক্সের ড্রামার রিয়াজ ভাই। লাইনআপ:
মেকানিক্সের লাইনআপে কয়েকবার পরিবর্তন আসে। ভোকালে ছিলেন ত্রিদিব ভাই আর ড্রামে রিয়াজ ভাই এই লাইনআপ কখনো পরিবর্তিত হয় নি। ♦ বর্তমান লাইনআপ:
আফতাবুজ্জামান ত্রিদিব (ভোকাল) এসকে. রিয়াজ (ড্রামস) নাদী ওয়ালিদ (বেজ) এ কে রাহুল (গিটার) (গেস্ট) রুশো খান (বেজ) তামজিদ খান (গিটার) উপরের দুজন ব্যান্ডের মেম্বার কিন্তু এখন ওনারা পারফর্ম করছেন না। রুশো ভাই ব্যান্ডের ফাউন্ডিং মেম্বার। ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে উনি ব্যান্ডে সেভাবে সময় দিতে পারেন না বিধায় বেজের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু উনি ব্যান্ডের সাথে সবসময় আছেন এবং থাকবেন। ♦ লিরিকস রাইটার:
Doyeedt Annahal ইরফান রাফি ফর্মার মেম্বার্স: ইমরান আহমেদ (গিটার) তালহা তাহের (বেজ) বেজকিং পাভেল (বেজ) জেহিন আহমেদ (গিটার) শাহেদ আহমেদ (গিটার) ২০০৮ সালে ইমরান আহমেদ ব্যান্ড লিভ করলে তার জায়গায় মেকানিক্সে আসেন জেহিন আহমেদ। ২০১০ সালে রুশো খান বেজিস্ট এর পদ ছেড়ে দিলে নাদী ওয়ালিদ বেজিস্ট হিসেবে ব্যান্ডে জয়েন করেন।২০১২ এর দিকে নাদী ওয়ালিদ ভাই নিজের সমস্যার কারণে ব্যান্ড লিভ করলে তার জায়গায় আসেন বেজকিং পাভেল। ২০১৫ সালে নাদী ওয়ালিদ ভাই আবার ব্যান্ডে ফিরে আসেন। ♦ ♦ ডিস্কোগ্রাফি: এ পর্যন্ত মেকানিক্সের একটি একক এলবাম, ৬টি মিক্সড এলবাম এবং দুইটি মিউজিক ভিডিও রিলিজ করেছে। একক এলবামে আছে ১০ টি ট্র্যাক, ৬টি মিক্সড এলবামে আছে ৪ টি ট্র্যাক। ♦ একক এলবাম - অপরাজেয়:
৩০ জুলাই, ২০১১ তে মেকানিক্স DLM(Dead Line Music) এর ব্যানারে তাদের প্রথম একক এলবাম 'অপরাজেয়' রিলিজ করে। প্রথম এলবামে ফ্যানদের কাছে থেকে অসাধারণ সাড়া পায় মেকানিক্স। ট্র্যাক লিস্ট: ১. কালো বিক্ষোভ ২. ভ্রান্ত স্বপ্ন ৩. বিস্ময় ৪. বোধ ৫. প্রতিপক্ষ ৬. হাওয়ার নামে ৭. পৃথিবী ২০১১ ৮. গৃহপালিত সভ্যতা ৯. পতাকাটা ১০. অপরাজেয় এলবামটির প্রতিটি গানই একেকটা মাস্টারপিস। প্রতিটা গান নিয়ে রিভিউ লিখতে গেলে পোস্ট বিশাল বড় হয়ে যাবে। ছোট খাট কয়েকটা কথা বলি। বেশির ভাগ লিসেনার এর কাছে কালো বিক্ষোভটা সবচেয়ে ভাল লেগেছে। এক্সট্রিম ড্রামিং, এগ্রেসিভ ভয়েস, স্ক্রিমিং, গিটার সোলো সব কিছু গানটাকে একটা অনন্য রুপ দিয়েছে। গানটার সম্পর্কে কটা বাক্যে বলা যায়, হেডব্যাং দিতে চাইলে কালো বিক্ষোভের সাথে দাও। এলবামের আরেকটা অনন্য সুন্দর গান হল বিস্ময়। সফট একটা ট্র্যাক, একটা সম্মোহনী শক্তি আছে গানটার। সর্বোপরি এলবাম নিয়ে একটা কথা, এই এলবামটা মিস করলে অনেক বড় কিছু একটা মিস করে যাবেন। ♦ মিক্সড এলবাম: ছয়টি মিক্স এলবামে মেকানিক্সের চারটি গান আছে। ১. ধুবস্বর: বেশির ভাগ ফ্যানের কাছে এই গানটি মেকানিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান। গানটি ২০০৯ সালে জি সিরিজের ব্যানারে ইকবাল আসিফ জুয়েলের (মাইলস) করা মিক্সড এলবাম "রক ২০২" এবং "রক ৩০৩" এই দুইটি মিক্সড এলবামে রিলিজ হয়। ২. ইতিহাস ৭১: গানটি মেকানিক্স মুক্তিযুদ্ধের প্রতি উৎসর্গ করে। এই গানটি ইকবাল আসিফ জুয়েলের করা 'রক ৪০৪' এবং 'রক ৫০৫' এই দুইটি মিক্সড এলবামে রিলিজ হয়। ৩. স্বপ্নের কোরাস: এটি বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে উৎসাহিত করার জন্য তৈরি করা হয়। গানটি 'গর্জে ওঠো বাংলাদেশ' এলবামে প্রকাশিত হয়। ৪. Elegy: এটি 'রক ৯০৯' এ রিলিজ হয়। মেকানিক্সের করা প্রথম ট্র্যাক ছিল যোদ্ধা যেটি রিলিজ পায় ২০০৭ সালে ইব্রাহীম আহমেদ কমল ভাইয়ের করা জি সিরিজের ব্যানারে মিক্সড এলবাম "Underground 2" এ। এই গানটির সুর, কথা, কম্পোজ সবই করেন ওই সময়ে ব্যান্ডের গিটারিস্ট ইমরান আহমেদ। এর কিছুদিন পর ইমরান আহমেদ ব্যাক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে ব্যান্ড লিভ নেন। ইমরানের কাছে গানটির কপিরাইট থাকায় তিনি তার গানটি ফিরিয়ে নেন এবং এই গানের সাথে মেকানিক্সের আর কোন সম্পর্ক নাই। ♦ মিউজিক ভিডিও: মেকানিক্সের দুইটি মিউজিক ভিডিও রিলিজ হয়েছে। দুটি ভিডিওই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ১. বিস্ময়: এটি 'অপরাজেয়' এলবামের বিস্ময় গানের অফিশিয়াল মিউজিক ভিডিও। একটা অন্যরকম ওয়েস্টার্ন ফিল আছে ভিডিও টার মাঝে। চমৎকার এই ভিডিওটি মিস করলে বিশাল লস হয়ে যাবে। ২. Enemy Within: এটি একটি ইংলিশ হেভী মেটাল ট্র্যাক। ভিডিওটার মাঝে অন্যরকম একটা ভালোবাসাযুক্ত ক্রোধের অনুভুতি আছে। ত্রিদিব ভাইয়ের এগ্রেসিভ ভয়েস আর এটিচিউড সত্যিই ভিডিওটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। যেকোনো নতুন ব্যান্ডের কাছেই মেকানিক্স অনুকরণীয় আদর্শ। কিভাবে লোকের মন জয় করতে হয়, নিজের অবস্থান কিভাবে অর্জন করতে হয় তা সত্যিই মেকানিক্স অসাধারণভাবে করে দেখিয়েছে। শুরু থেকেই তাদের কোন কাজ দেখে কখনো মনে হয় নি যে তারা নতুন। আরও সুন্দর সুন্দর কাজ উপহার দিয়ে মেকানিক্স বাংলা হেভী মেটালকে বিশ্বের কাছে সুপরিচিত করবে এটা এখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
POST CREDIT :কে এম রেজওয়ান আহমেদ
মেকানিক্সের গানে পদচারণার শুরু বিভিন্ন ব্যান্ডের গান কাভার করে। বিভিন্ন লাইভ কন্সার্টে তারা মেটালিকা, মেগাডেথ এর মত ব্যান্ডের গান কাভার করত, নতুন একটা ব্যান্ডের জন্য যা ছিল অসম্ভবরকম কঠিন আর চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু মেকানিক্স সেটা করেছিল সফল ভাবেই যার প্রমাণ ছিল অডিয়েন্সের উল্লাসিত চিৎকার। ব্যান্ড গঠনের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন লাইভ কন্সার্টে ছোট বড় অসংখ্য মঞ্চ কাঁপিয়ে এসেছে মেকানিক্স। তাদের প্রথম স্টেজ পারফর্মেন্স ছিল আরসিসি (রাশিয়ান কালচার সেন্টার) তে। তাদের পছন্দের ভেন্যু গুলোর মধ্যেও আরসিসি প্রথমে। মেকানিক্সকে সবচেয়ে পাবলিসিটি এনে দেয় ডি'রকস্টার ২। সেরা ব্যান্ড নির্বাচনের এই কম্পিটিশনের সিজন ২ এ মেকানিক্স ছিল সেমি ফাইনালিস্ট। এখানে তারা দেশের সেরা কিছু ব্যান্ড মিউজিসিয়ান এর সাথে কাজ করার সুযোগ পায়। মেটালিক ব্যান্ড হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বড় অবদানই ছিল এই কম্পিটিশনটির। ডি'রকস্টার ২ এ সেরা ড্রামার নির্বাচিত হন মেকানিক্সের ড্রামার রিয়াজ ভাই। লাইনআপ:
মেকানিক্সের লাইনআপে কয়েকবার পরিবর্তন আসে। ভোকালে ছিলেন ত্রিদিব ভাই আর ড্রামে রিয়াজ ভাই এই লাইনআপ কখনো পরিবর্তিত হয় নি। ♦ বর্তমান লাইনআপ:
আফতাবুজ্জামান ত্রিদিব (ভোকাল) এসকে. রিয়াজ (ড্রামস) নাদী ওয়ালিদ (বেজ) এ কে রাহুল (গিটার) (গেস্ট) রুশো খান (বেজ) তামজিদ খান (গিটার) উপরের দুজন ব্যান্ডের মেম্বার কিন্তু এখন ওনারা পারফর্ম করছেন না। রুশো ভাই ব্যান্ডের ফাউন্ডিং মেম্বার। ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে উনি ব্যান্ডে সেভাবে সময় দিতে পারেন না বিধায় বেজের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু উনি ব্যান্ডের সাথে সবসময় আছেন এবং থাকবেন। ♦ লিরিকস রাইটার:
Doyeedt Annahal ইরফান রাফি ফর্মার মেম্বার্স: ইমরান আহমেদ (গিটার) তালহা তাহের (বেজ) বেজকিং পাভেল (বেজ) জেহিন আহমেদ (গিটার) শাহেদ আহমেদ (গিটার) ২০০৮ সালে ইমরান আহমেদ ব্যান্ড লিভ করলে তার জায়গায় মেকানিক্সে আসেন জেহিন আহমেদ। ২০১০ সালে রুশো খান বেজিস্ট এর পদ ছেড়ে দিলে নাদী ওয়ালিদ বেজিস্ট হিসেবে ব্যান্ডে জয়েন করেন।২০১২ এর দিকে নাদী ওয়ালিদ ভাই নিজের সমস্যার কারণে ব্যান্ড লিভ করলে তার জায়গায় আসেন বেজকিং পাভেল। ২০১৫ সালে নাদী ওয়ালিদ ভাই আবার ব্যান্ডে ফিরে আসেন। ♦ ♦ ডিস্কোগ্রাফি: এ পর্যন্ত মেকানিক্সের একটি একক এলবাম, ৬টি মিক্সড এলবাম এবং দুইটি মিউজিক ভিডিও রিলিজ করেছে। একক এলবামে আছে ১০ টি ট্র্যাক, ৬টি মিক্সড এলবামে আছে ৪ টি ট্র্যাক। ♦ একক এলবাম - অপরাজেয়:
৩০ জুলাই, ২০১১ তে মেকানিক্স DLM(Dead Line Music) এর ব্যানারে তাদের প্রথম একক এলবাম 'অপরাজেয়' রিলিজ করে। প্রথম এলবামে ফ্যানদের কাছে থেকে অসাধারণ সাড়া পায় মেকানিক্স। ট্র্যাক লিস্ট: ১. কালো বিক্ষোভ ২. ভ্রান্ত স্বপ্ন ৩. বিস্ময় ৪. বোধ ৫. প্রতিপক্ষ ৬. হাওয়ার নামে ৭. পৃথিবী ২০১১ ৮. গৃহপালিত সভ্যতা ৯. পতাকাটা ১০. অপরাজেয় এলবামটির প্রতিটি গানই একেকটা মাস্টারপিস। প্রতিটা গান নিয়ে রিভিউ লিখতে গেলে পোস্ট বিশাল বড় হয়ে যাবে। ছোট খাট কয়েকটা কথা বলি। বেশির ভাগ লিসেনার এর কাছে কালো বিক্ষোভটা সবচেয়ে ভাল লেগেছে। এক্সট্রিম ড্রামিং, এগ্রেসিভ ভয়েস, স্ক্রিমিং, গিটার সোলো সব কিছু গানটাকে একটা অনন্য রুপ দিয়েছে। গানটার সম্পর্কে কটা বাক্যে বলা যায়, হেডব্যাং দিতে চাইলে কালো বিক্ষোভের সাথে দাও। এলবামের আরেকটা অনন্য সুন্দর গান হল বিস্ময়। সফট একটা ট্র্যাক, একটা সম্মোহনী শক্তি আছে গানটার। সর্বোপরি এলবাম নিয়ে একটা কথা, এই এলবামটা মিস করলে অনেক বড় কিছু একটা মিস করে যাবেন। ♦ মিক্সড এলবাম: ছয়টি মিক্স এলবামে মেকানিক্সের চারটি গান আছে। ১. ধুবস্বর: বেশির ভাগ ফ্যানের কাছে এই গানটি মেকানিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান। গানটি ২০০৯ সালে জি সিরিজের ব্যানারে ইকবাল আসিফ জুয়েলের (মাইলস) করা মিক্সড এলবাম "রক ২০২" এবং "রক ৩০৩" এই দুইটি মিক্সড এলবামে রিলিজ হয়। ২. ইতিহাস ৭১: গানটি মেকানিক্স মুক্তিযুদ্ধের প্রতি উৎসর্গ করে। এই গানটি ইকবাল আসিফ জুয়েলের করা 'রক ৪০৪' এবং 'রক ৫০৫' এই দুইটি মিক্সড এলবামে রিলিজ হয়। ৩. স্বপ্নের কোরাস: এটি বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে উৎসাহিত করার জন্য তৈরি করা হয়। গানটি 'গর্জে ওঠো বাংলাদেশ' এলবামে প্রকাশিত হয়। ৪. Elegy: এটি 'রক ৯০৯' এ রিলিজ হয়। মেকানিক্সের করা প্রথম ট্র্যাক ছিল যোদ্ধা যেটি রিলিজ পায় ২০০৭ সালে ইব্রাহীম আহমেদ কমল ভাইয়ের করা জি সিরিজের ব্যানারে মিক্সড এলবাম "Underground 2" এ। এই গানটির সুর, কথা, কম্পোজ সবই করেন ওই সময়ে ব্যান্ডের গিটারিস্ট ইমরান আহমেদ। এর কিছুদিন পর ইমরান আহমেদ ব্যাক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে ব্যান্ড লিভ নেন। ইমরানের কাছে গানটির কপিরাইট থাকায় তিনি তার গানটি ফিরিয়ে নেন এবং এই গানের সাথে মেকানিক্সের আর কোন সম্পর্ক নাই। ♦ মিউজিক ভিডিও: মেকানিক্সের দুইটি মিউজিক ভিডিও রিলিজ হয়েছে। দুটি ভিডিওই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ১. বিস্ময়: এটি 'অপরাজেয়' এলবামের বিস্ময় গানের অফিশিয়াল মিউজিক ভিডিও। একটা অন্যরকম ওয়েস্টার্ন ফিল আছে ভিডিও টার মাঝে। চমৎকার এই ভিডিওটি মিস করলে বিশাল লস হয়ে যাবে। ২. Enemy Within: এটি একটি ইংলিশ হেভী মেটাল ট্র্যাক। ভিডিওটার মাঝে অন্যরকম একটা ভালোবাসাযুক্ত ক্রোধের অনুভুতি আছে। ত্রিদিব ভাইয়ের এগ্রেসিভ ভয়েস আর এটিচিউড সত্যিই ভিডিওটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। যেকোনো নতুন ব্যান্ডের কাছেই মেকানিক্স অনুকরণীয় আদর্শ। কিভাবে লোকের মন জয় করতে হয়, নিজের অবস্থান কিভাবে অর্জন করতে হয় তা সত্যিই মেকানিক্স অসাধারণভাবে করে দেখিয়েছে। শুরু থেকেই তাদের কোন কাজ দেখে কখনো মনে হয় নি যে তারা নতুন। আরও সুন্দর সুন্দর কাজ উপহার দিয়ে মেকানিক্স বাংলা হেভী মেটালকে বিশ্বের কাছে সুপরিচিত করবে এটা এখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
POST CREDIT :কে এম রেজওয়ান আহমেদ
Comments
Post a Comment