ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজ সম্পর্ককে জানতে অবশ্যই পড়ুন।

"ডেবিড লুইজ দ্যা গোল্ডেন ডিফেন্ডার"


পূর্ণ নাম: দাভিদ লুইজ মরেইরা মারিনিয়ো.
জন্ম: ২২ এপ্রিল ১৯৮৭ (বয়স ২৭).
জন্ম স্থান: জিয়াদেমা, ব্রাজিল.
উচ্চতা: ১.৮৯ মি (৬ ফু ২ ইঞ্চি).
মাঠে অবস্থান: ডিফেন্ডার / ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার.
জার্সি নম্বর: ৩২.
বর্তমান ক্লাব: পি.এস.জি.
তারূণ্যের কর্মজীবন:
সাঁউ পাউলু- (১৯৯৯–২০০১)
ভিতরিয়া- (২০০১–২০০৫)
বলিষ্ঠ কর্মজীবন*
ভিতরিয়া- (২০০৬–২০০৭) ২৬ (১)
বেনফিকা (ধার)- (২০০৭) ১০ (০)
বেনফিকা- (২০০৭–২০১১) ৭২ (৪)
চেলসি- (২০১১–২০১৪) ৮১ (৬)
পি.এস.জি- (২০১৪-২০১৫) ১৬ (১)
জাতীয় দল‡
ব্রাজিল অনূর্ধ্ব ২০- (২০০৭) ২ (০)
ব্রাজিল- (২০১০-২০১৪) ৪৭ (৩)

সাধারণত সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে খেললেও, তিনি ফুল ব্যাক এবং ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবেও খেলতে পারেন। তিনি বর্তমানে ব্রাজিল জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক।

ভিতরিয়াতে কর্মজীবন শুরু করলেও লুইজ মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বেনফিকায় পাড়ি জমান। ২০১১ সালের জানুয়ারীতে, তিনি চেলসিতে যোগ দেন এবং পরের মৌসুমেই চ্যাম্পিয়নস লীগ ও এফএ কাপ শিরোপা জিতেন।

২০১৪ এর জুন মাসের ট্রান্সফারে চেলসি থেকে পি এস জি. তে যোগ দেন.
পি এস জি'র হয়ে ভালোই খেলছেন এই গোল্ডেন ডিফেন্ডার
তাই তো এইবার ফিফার বেস্ট ইলেভেন এ জায়গা করে নিয়েছেন এই গোল্ডেন ডিফেন্ডার.
ডিফেন্ডারদেরকে ঐতিহ্যগতভাবে যোদ্ধা, সাহসী এবং নির্ভীক
হতে দেখা যায় ।

কিন্তু আপনাকে অবশ্যই
নেস্তা ,মালদিনি ,টেরি ,ভিদিক,কার্লোস এবং পিওল এর মত
ডিফেন্ডারদেরকে প্রশংসা করতে হবে যারা ডিফেন্ডার
হিসাবে খেলেও দর্শকদের মন জয় করেছে ।
যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে ভদ্র
এবং সেরা ডিফেন্ডার কে ?

আপনি অবশ্যই মাইকন অথবা রবার্তো কার্লোসের নাম বলবেন।
কিন্তু বর্তমান জেনারেশনে এই গোল্ডেন ডিফেন্ডার তাদের একজন.....
তিনি শুধু মাঠেই না সামাজিক নেটওয়ার্কেও
ভক্তদের মন জয় করেছেন তিনি।তিনি ভক্তদের
সাথে আন্তরিকভাবে কথা বলতে কখনও দ্বিধাবোধ করেননি ।

শুধুমাত্র তার ডিফেন্সিভ ক্ষমতার জন্যইতাকে অন্যান্য ডিফেন্ডারদের
থেকে এগিয়ে রাখা হয় না বরং তার আক্রমানত্মক
ভঙ্গি ,লং ফ্লাইং পাসেস,ড্রপিং টেকনিকের মাধ্যমে গোল
করা তাকে অন্য সবার থেকে এগিয়ে রেখেছে ।
সাধারনত ফ্রী কিকের জন্যেও তাকে ডাকা হয় ।

ব্রাজিল বিশ্বকাপ ২০১৪ তে কলম্বিয়ার বিপক্ষে তার ফ্রী কিক
থেকে করা গোলিটি রবার্তো কার্লোস এর "ব্যানেনা কিক" এর মত ছিল.....
সে একজন ডিফেন্ডার হয়েও মাঝে মধ্যে তাকে স্ট্রাইকারের
ভুমিকা পালন করতে দেখা যায় যা সত্যি অবিশ্বাস্য ।
একজন মানুষ হিসেবে তার শিশুসুলভ আচারনের খুবই সুপরিচিত ।
দানের ক্ষেত্রেও তার অবদান কম নয় ,ভক্তদের সাথে সময় ব্যায়
করতেও তিনি পছন্দ এবং একটি সুন্দর হাসি যা শুধু মেয়ে ফ্যানদেরই
না বরং ছেলে ফ্যানদেরও মন জয় করেছে ।

মাঠেও তিনি তার মহত্ত্বের পরিচয় দিয়েছেন ।বেহায়ার মত
তিনি সরাসরি ব্রেটেনফোর্ড এর ইয়ংস্টার জ্যাক রিভেসের
কাছে তার নিজের কর্কশ ট্যাকলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ।
রাইভাল টিমের স্ট্রাইকার সার্জিও এগুয়েরা ড্রিবলিং এর
সময় লুইজের পায়ে আঘাত করে এবং পরে ক্ষমা প্রার্থনা করলে লুইজ
তা সাদোরে গ্রহন করেছে ।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় তিনি একজন ডিফেন্ডার হয়েও আজ
পর্যন্ত কোন লাল কার্ড পান নাই । আর এইসব কারনেই
ভক্তরা তাকে অনেক অনেক বেশি ভালবাসে ।

Comments

Popular posts from this blog

শাবনূরের লাইফস্টাইল অজানা অনেক তথ্য I আসল নাম | উচ্চতা I ওজন I শারীরিক পরিমাপ | বয়স | পড়ালেখা | স্বামী | ক্যারিয়ারের অর্জন | বাড়ি | জীবনী এবং উল্লেখযোগ্য সিনেমায় ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্ককে জানতে অবশ্যই পড়ুন

বাংলাদেশী ব্যান্ডের আন্ডাররেটেড গান সমূহের তালিকা দেয়া হলো । নতুন কিছু গানের স্বাদ পেতে অবশ্যই পড়ুন।

পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ২০ টি বস্তু, যা এতটাই দামী আপনি শুনে অবাক না হয়ে পারবেন না,জানতে অবশ্যই পড়ুন।