পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ১০ টি ঘড়ি যা দেখলে এবং ঘড়ির দাম শুনলে অবাক না হয়ে পারবেন না I

মানুষের ঘড়ির প্রতি বিলাসিতা অনেক আগে থেকেই। অনেক মানুষ ঘড়ির  প্রতি এতটাই আকৃষ্ট যে তারা সেই ঘড়ির জন্য দামের চিন্তা করেন না। আর এই কারণেই পৃথিবীতে তৈরী হচ্ছে অনেক দামি দামি ঘড়ি। বাহারি ডিজাইনের এই ঘড়ি গুলোর প্রতি অনেকে আকৃষ্ট হয়ে কিনছেন অনেকেই। আর আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিবো এমনি কিছু দামি ঘড়ির সাথে।  যে ঘড়িগুলোর দাম শুনলে আপনি হয়তো এতটাই অবাক হবেন যে কারণে আপনার হয়তো মেনে নিয়ে ও কষ্ট হবে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ১০ টি ঘড়ি সম্পর্কে। 


সব থেকে দামি ১০ টি ঘড়ির তালিকা দেয়া হলো :
১০) ব্রেকেট পকেট ওয়াচ 1970 বি.এ / 1২  (Brequet Pocket Watch 1970 BA/12)

০৯) ব্ল্যান্সপাইন ১৭৩৫ গ্রান্দে কমপ্লিকেশন (Blancpain 1735 Grande Complication )

০৮) লুই  মাইনেট ম্যাজিস্ট্রালিস (Louis Moinet Magistralis)

০৭) হুব্লোট ব্ল্যাক ক্যাভিয়ার বাং (Hublot Black Caviar Bang)

০৬) চপার্ড  সুপার  আইস  কিউব (Chopard Super Ice Cube)

০৫) পাটেক ফিলিপ্পে স্কাই মুন তৌরবিলন (Patek Philippe Sky Moon Tourbillon)

০৪) ব্যাচেরণ কনস্টাটিন টুর  (Vacheron Constatin Tour)

০৩) পাটেক ফিলিপ্পে প্ল্যাটিনাম ওয়ার্ল্ড টাইম (Patek Philippe Platinum World Time)

০২) পাটেক ফিলিপ্পে সুপার কমপ্লিকেশন (Patek Philippe Super Complication)

০১) চপার্ড ২১০ ক্যারাট  (Chopard 210 Karat )



১০) ব্রেকেট পকেট ওয়াচ 1970 বি.এ / 1২  (Brequet Pocket Watch 1970 BA/12)


এই ঘড়িটি এতটাই সুন্দর যে একবার যে কেউ দেখলে এর প্রেমে পড়তে সে বাধ্য। এই ঘড়িটি তৈরী করতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ। ঘড়িটির চেইন এবং কভার সম্পূর্ণ সোনা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং অন্য অংশ গুলো সম্পূর্ণ রুপা দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। যার কারণে এই ঘড়িটি আগ্রহের শীর্ষে স্থান পেয়েছে। তবে এই ঘড়িটির সুন্দর্যের জন্য এবং ঘড়িটি তৈরিতে সোনা ও রুপা ব্যবহার করায়। এই ঘড়িটি ব্যবহারকারীকে গুনতে হবে অনেক গুলো টাকা। কারণ এই ঘড়িটির বাজার মূল্য ৭,৩৪০০০ ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৬,০১৮৮, ০০০ টাকা ।

০৯) ব্ল্যান্সপাইন ১৭৩৫ গ্রান্দে কমপ্লিকেশন (Blancpain 1735 Grande Complication )

এই ঘড়িটি বেশ স্টাইলিশ এবং পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল উপাদান দিয়ে তৈরি ঘড়িগুলোর মধ্যে একটি। এই ঘড়িটি তৈরী করতে ব্যবহার করা হয়েছে দুষ্প্রাপ্য জিনিস।যা ঘড়ি তৈরিতে সাধারণত তেমন একটা ব্যবহার করা হয় না। আর এইটাই এই ঘড়ির প্রধান আকর্ষণ। এই ঘড়িটির বাক্স তৈরী করা হয়েছে প্লাটিনাম দিয়ে। এবং এই ঘড়িটির ফিতা তৈরী করা হয়েছে কুমিরের চামড়া দিয়ে এবং এই ঘড়ির ইঞ্জিন এর অংশ তৈরী করা হয়েছে সম্পূর্ণ হাতে যাতে ব্যবহার করা হয়েছে ৭৪০ টি উপাদান। এই জটিল উপাদান গুলোর জন্যই এই ঘড়িটির দাম অনেক এবং সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দ্রে রয়েছে এই ঘড়িটি। তবে এই ঘড়িটি ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীকে গুনতে হবে অনেক গুলো টাকা। এই ঘড়িটির বাজারমূল্য ৮ লক্ষ ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৬ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা।


০৮) লুই  মাইনেট ম্যাজিস্ট্রালিস (Louis Moinet Magistralis)

এখন যে ঘড়িটির কথা বলছি এই ঘড়িটি পৃথিবীর অনন্য ঘড়িগুলোর মধ্যে একটি।তার একটি বিশাল কারণ ও রয়েছে। কারণ এই ঘড়িটি বানাতে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে চাঁদ থেকে কুড়িয়ে আনা উল্কাপিন্ড। আর চাঁদ থেকে কুড়িয়ে আনা এই উল্কাপিণ্ডের জন্যই এই ঘড়িটি এতটা দামি। আর এর কারণেই সকল ঘড়ি প্রেমীদের কাছে এইটা পছন্দের তালিকায় শীর্ষের দিকে রয়েছে। এই ঘড়িটির বাজার মূল্য ৮৬০০০০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৭০৫২০০০০ টাকা।


০৭) হুব্লোট ব্ল্যাক ক্যাভিয়ার বাং (Hublot Black Caviar Bang)


এই  ঘড়িটি যখন বাজারে আসে তখন বেশ সারা ফেলে দিয়েছিলো সবার কাছে। এই ঘড়িটি বাজারে এসেছিলো ২০০৯ সালে। তখন এই ঘড়িটি সকল ঘড়ির শীর্ষে ছিল। এই ঘড়িটি তৈরী করতে ব্যবহার করা হয়েছে, বাগুইয়ে কাটা ব্ল্যাক ডায়মন্ড এবং এর সাথে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ক্যারেট সাদা স্বর্ণ। এই উপাদান গুলোর জন্যই এই ঘড়িটির মূল্য ও অনেক। এই ঘড়িটি কিনতে খরচ করতে হবে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।


০৬) চপার্ড  সুপার  আইস  কিউব (Chopard Super Ice Cube)


এই ঘড়িটি মূলত তৈরী করা হয় সুইজারল্যান্ডে। এই ঘড়িটি তৈরী করতে উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় ৬০ ক্যারেটের ডায়মন্ড। এই ঘড়িটি অনেক বিলাসবহুল একটি ঘড়ি। এই ঘড়িটির বিশেষ কিছু গুনাগুন রয়েছে।এই ঘড়ির সব থেকে আকর্ষনীয় বিষয় হচ্ছে এই ঘড়িটি ১০০ ফিট পর্যন্ত ওয়াটার  প্রুফ এবং এটি স্ক্রাচ  রেসিস্টেন্ট এই গুন্ গুলো ঘড়িটি কে করেছে  অন্যন। ঘড়িতে ব্যবহার করতে হলে ব্যবহারকারীকে গুনতে হবে মোটা অংকের টাকা। কারণ    ঘড়িটির বাজার মূল্য প্রায়  ১.১ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮২৮২০০০০ টাকা।

০৫) পাটেক ফিলিপ্পে স্কাই মুন তৌরবিলন (Patek Philippe Sky Moon Tourbillon)


পাটেক ফিলিপ্পে কোম্পানির তৈরী করা সব থেকে আকর্ষণীয় ঘড়ি হচ্ছে পাটেক ফিলিপ্পে স্কাই মুন তৌরবিলন। এই ঘড়িতে রয়েছে আধুনিক ডিজাইনের বিশেষ কাজ।এই ঘড়িটা শুধু টাইম দেখা ছাড়াও এই ঘড়ির  রয়েছে অসাধারণ একটা  ক্ষমতা তা হলো এইটি মুন ফাসিস ও দেখায়।এই ঘড়িটি ব্যবহারের জন্য ব্যবহার কারীকে খরচ করতে হবে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১০৬৬০০০০০ টাকা।

০৪) ব্যাচেরণ কনস্টাটিন টুর  (Vacheron Constatin Tour)

সুইস কোম্পানি ব্যাচেরণ কনস্টান্টিন এর  অসাধারণ একটি ঘড়ি হচ্ছে ব্যাচেরণ কনস্টাটিন টুর। এই কোম্পানি এই ঘড়িটি রিলিজ করেন ২৫০ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২০০৫ সালে।  তখন এই ঘড়িটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলো এই ঘড়িটি। এই ঘড়িটি তৈরী করতে উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ক্যারেট এর স্বর্ন  সাথে আরো ব্যবহার করা হয়েছে দামি উপাদান নীল নীলকান্তমণি এবং অপ্রতিফলিত গ্লাস যার কারণে এই ঘড়িটি হয়েছে এত আকষণীয়। এই ঘড়িটির বাজার মূল্য ১.৫ মিলিয়ন ডলার বা  বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।

০৩) পাটেক ফিলিপ্পে প্ল্যাটিনাম ওয়ার্ল্ড টাইম (Patek Philippe Platinum World Time)


এই ঘড়িটি তৈরী করে জনপ্রিয় কোম্পানি পাটেক ফিলিপ্পে। তারা এই ঘড়িটি মাত্র একটি বানিয়েছিলেন। এই ঘড়িটি কোম্পানি নিলামে ২০০২ সালে ৪ মিলিয়ন ডলারে বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকায় বিক্রয় করেছিল।২০০২ সালে এই ঘড়িটি ছিল সব থেকে দামি ঘড়ি। তাই তখন এই ঘড়িটি সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।   

০২) পাটেক ফিলিপ্পে সুপার কমপ্লিকেশন (Patek Philippe Super Complication)


এই ঘড়িটি তৈরী হয়েছিল ১৯৩৩ সালে। এই ঘড়িটি তৈরী করতে সময় লেগেছিলো প্রায় ৫ বছর। ঘড়িটি তৈরী করা হয়েছিল ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে।এই ঘড়িটি সেই সময় নিলামে বিক্রয় করা হয়েছিল। এই ঘড়িটা আজ পর্যন্ত নিলামে বিক্রয় করা সব থেকে বেশি দামের ঘড়ি। এই ঘড়িটি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়ে এই ঘড়িটি  নিলামে প্রায় ১১ মিলিয়ন ডলারে যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯০ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে বিক্রয় হয়েছিল। 

০১) চপার্ড ২১০ ক্যারাট  (Chopard 210 Karat )


পৃথিবার সব থেকে দামি ঘড়ি হচ্ছে এইটি। এই ঘড়িটি অনেক ব্যয়বহুল একটি ঘড়ি।  এই ঘড়িটি তৈরী করতে ব্যবহার করা হয়েছে ২০১ ক্যারেটের বিভিন্ন রঙিন ডায়মন্ড। এই ঘড়িটা দেখতে অনেকটা ফুলের তৈরি ব্রেসলেট এর মতো দেখা যায়। এই ঘড়িটি দেখতে  সাধারণ লাগলে ও অবিশ্বাস্য দামে বিক্রয় হয়েছিল ঘড়িটি। এই ঘড়িটির বিক্রয় মূল্য ছিল প্রায় ২৬ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশী টাকায়  প্রায় ২১৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।

Comments

Popular posts from this blog

শাবনূরের লাইফস্টাইল অজানা অনেক তথ্য I আসল নাম | উচ্চতা I ওজন I শারীরিক পরিমাপ | বয়স | পড়ালেখা | স্বামী | ক্যারিয়ারের অর্জন | বাড়ি | জীবনী এবং উল্লেখযোগ্য সিনেমায় ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্ককে জানতে অবশ্যই পড়ুন

বাংলাদেশী ব্যান্ডের আন্ডাররেটেড গান সমূহের তালিকা দেয়া হলো । নতুন কিছু গানের স্বাদ পেতে অবশ্যই পড়ুন।

পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ২০ টি বস্তু, যা এতটাই দামী আপনি শুনে অবাক না হয়ে পারবেন না,জানতে অবশ্যই পড়ুন।