আর্বোভাইরাস ব্যান্ডের সকল অজানা তথ্য জানতে অবশ্যই পড়ুন ।
আরবোভাইরাস" হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় হার্ড রক ব্যান্ড। তারা তাদের গান দিয়ে এই সময়ের তরুন প্রজন্মের কাছে খুব ভালো ভাবেই পরিচিতি লাভ করেছে।আর্বোভাইরাসের বাংলা নামকরন হয় ব্লাডে। কমিক বই থেকে. যেখানে ভ্যাম্পায়ার এর লালা থেকে ভাইরাস মানুষে প্রবেশ করে.. যদিও সত্যিকার অর্থে এই আর্বোভাইরাস কিট পতঙ্গ (মশা মাছি) মাধ্যমে মানব দেহে প্রবেশ করে থাকে।
'' হারিয়ে যাও তুমি দূরে আরো দূরে ''
'' জ্বালো আগুন জ্বালো ''
'' তোমার নিশ্বাসে কিসের পাপ, তোমার বিশ্বাসে অমানুষের জয় ''
লাইনগুলো নিশ্চয় পরিচিত লাগছে তাই না। এইটা আর্বোভাইরাস এর একটি গান।আর্বোভাইরাস ব্যান্ডের মেম্বার হচ্ছে ৫ জন। অন্য ভাবে বলা যায় ৫ মাথার ব্যান্ড হচ্ছে আর্বোভাইরাস। এই ব্যান্ডের ৫ জন মেম্বারের মধ্যে ৪ জনই গান করে থাকে। যার ফলে আপনি এই ব্যান্ডের একেক গানে একেক রকম স্বাদ পাবেন। যা হয়তো খুবই কম ব্যান্ডে পাওয়া যায়। বিশেষ করে বাংলদেশী ব্যান্ড জগতে এইটা বিরল একটা ঘটনা।আর তাছাড়া ও এই ব্যান্ডটির আরো কিছু ভিন্নতা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম আর্বোভাইরাস ব্যান্ডের মেম্বাররা স্টেজে গান করার সময়ও অনেক বেশি এক্সাইটেড থাকে যারজন্য তারা স্টেজে পারফর্মেন্স করার সময় গিটার ভাঙার মত কাজও করেছেন এই ব্যান্ডের মেম্বাররা। কি অবাক হচ্ছেন,ব্যান্ডটি আসলেই অবাক হওয়ার মতোই।
আরবোভাইরাস ব্যান্ডটি মূলত বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে এবং মধ্য প্রাচ্যের শান্তি-পুর্নতার উপর ভিত্তি করে গানের কথা গুলো তারা লিপিবদ্ধ করে থাকে।তাদের মূল লক্ষই হচ্ছে মানবিকতা এবং আশাবাদির উপরে ভিক্তি করেই তারা তাদের গানের কথা গুলো বানান।
আরবোভাইরাস হচ্ছে ঢাকায় গড়ে উঠা একটি ব্যান্ড। আরবোভাইরাস ব্যান্ডটি যাত্রা শুরু করে ২০০২ সালের দিকে।এই ব্যান্ডটি গঠন করেন গিটারিস্ট সূহার্ত এবং আসিফ আজগর দুইজনে মিলে।যখন তারা দুইজন এই ব্যান্ডটি গঠন করেন তখন তারা কলেজে পড়তেন। ব্যান্ডটি গঠন করার পর ব্যান্ডে যোগদান করেন গিটারিস্ট ইশতিয়াক জিসান এবং ড্রামার ফারহান তানিম এবং ভোকালিষ্ট সুফি।তারা আর্বোভাইরাসের সাথে যোগদান করার পর ব্যান্ডটি আস্তে আস্তে পথ চলতে শুরু করে।
তারা যাত্রা শুরুর পর লাইভ স্কোয়ার দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন একোস্টিক -শো তে অংশগ্রহন করা শুরু করে। তারপর তারা ২০০৬ সালের দিকে কনসার্ট করা শুরু করে। তখনকার তাদের সব থেকে উল্লেখযোগ্য কনসার্ট ছিল ২৬ জানুয়ারি ২০০৬ আর্বোভাইরাস ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে সল্ট লেক স্টেডিয়াম -এ আর্টসেল, মেটাল-মজ়ে এবং ফসিল্স এর সাথে গান পরিবেশনা করে। তারপর তারা ১ অক্টোবর ২০১০-এ আর্মি স্টেডিয়ামে বামবা কনসার্ট ফর সুন্দরবন- এ আর্টসেল, মাইলস , L.R.বা , নেমেসিস্ এবং অন্যান্যদের সাথে গান পরিবেশনা করে। তাদের তখন এই কনসার্ট গুলো ছিল বিশাল প্রাপ্তির জায়গা।
বর্তমানে আর্বোভাইরাস ব্যান্ডের লাইন আপ দেয়া হলো
আর্বোভাইরাস ব্যান্ডে বেশ কয়েকবার লাইনআপ পরিবর্তন হয়েছে। ২০০৩ সালের দিকে আর্বোভাইরাস ব্যান্ড ছেড়ে শোভন, রাজিন & হিমেল তাদের পার্সোনাল কারন দেখিয়ে চলে যান। তখন আর্বোভাইরাস তাদের এই ঘাড়তি মেটানোর জন্য নতুন ভোকাল, ড্রামার এবং বেজ গিটারিস্ট খুঁজতে শুরু করেন। ২০০৩ সালের আগষ্ট মাসে আর্বোভাইরাস ব্যান্ডে যোগদান করেন বেজ গিটারিস্ট ইসতিয়াক জিসান এবং ড্রামার ফারহান তানিম। তারপর ব্যান্ডটি খুঁজতে থাকেন একজন ভোকাল। তার পর ব্যান্ডটি খোঁজ পান তাদের বর্তমান ভোকাল সুফিকে।সুফির সাথে রঞ্জনের প্রথম পরিচয় হয় বাসে। পরে সুফি রঞ্জনের বাসায় ইন্টারভিউ দিতে যান এবং তখন আর্বোভাইরাস এর অন্য সদস্যরা ও ঐখানে উপস্থিত ছিল। সুফির আর্বোভাইরাস ব্যান্ডের ভোকাল হওয়ার জন্য ইন্টারভিউ দিতে আসার আগে ব্যান্ডে গান করার সুফির কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই এইটা সুফির জন্য ছিল সম্পূর্ন নতুন অভিজ্ঞতা। তার সুফি ভোকাল হিসেবে যোগদান করার পর তারা তাদের ব্যান্ড নিয়ে কাজ আরো জোরালো ভাবে শুরু করে।তার পর ব্যান্ডটি ২০০৪ সালে তাদের প্রথম একক ''আর্তনাদ '' গানটি প্রকাশ করে বাজারে।এই গানটি প্রকাশ করার পর ২০০৬ সালে দিন বদল অ্যালবাম এ ''অভিশাপ এবং সপ্ন দৃষ্ট'' নাম আরো দুইটি একক গান প্ৰকাশ করেন ব্যান্ডটি।আর্বোভাইরাস তাদের ৩ টি একক গান প্রকাশ এর পর কিছু সময় বিরতি দিয়ে তাদের ডেব্যু অ্যালবাম এর কাজ শুরু করে। তাদের প্রথম অ্যালবাম (64m 53sec )এর গান গুলো ও তখন রেকর্ড করা শুরু করে। এই অ্যালবামটির কাজ করার সময় তারা সম্পুন্ন নতুন কিছু অভিজ্ঞতা ছিল। তার কারণ হলো তাদের এইটাই ছিল প্রথম অ্যালবাম। তাদের এই অ্যালবাম টি রেকর্ড করা হয়েছিল Studio বস এবং ওরক্যাম ডেস্ক '' এ। এবং অ্যালবাম টির মিক্সিং ও মাস্টেরিং করা হয়েছিলো '' নট অফ দিস এয়ার্থে (Not of this Earth )।এবং তাদের অ্যালবাম এর কভার করা হয়েছিলো গড়ুঙ্গে(Grunge ) এবং হার্ড রক থেকে সাইকেডেলিক রক রীতিতে।
আর্বোভাইরাস এর প্রথম অ্যালবাম এ ৩টি গান বাদে বাকি গান গুলো লিখেছিলো আসিফ আসগর রঞ্জন। এবং তারা তাদের প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম (64 min 53s) ২০০৬ সালে জি-সিরিজ এর ব্যানারে বাজারে রিলিজ দেয়।
আর্বোভাইরাস এর প্রথম অ্যালবাম এ যে গান গুলো ছিল তার তালিকা দেয়া হলো :
* স্বীকারোক্তি
* উত্তরাধিকার
* যা ইচ্ছে তা
* মুকুট ছাড়া রাজা
* আধার ও ঈশ্বর
* পৃথিবীর শেষ প্রান্তে
* আমাদের গান
* অমানুষ
* ছায়ামানুষ
* কর্পোরেট এন্থেম
* শেকড়
* স্বর্গের শিশুরা
তাদের প্রথম অ্যালবাম টি বাজারে ভালো সাড়া পায়।তাদের অ্যালবামটি সেই সময়ের তরুণদের কাছে ভালো একটা সাড়া পে। যার ফলে তাদের জনপ্রিয়তা ও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। কিন্তু অ্যালবামটি রিলিজ হওয়ার ২ বছর পর ২০০৮ সালের দিকে ব্যান্ডটি আবার একটি ধাক্কা খায়।তাদের বেজ গিটারিস্ট জিসান কোনো কারণ না দেখিয়ে ব্যান্ড থেকে বের হয়ে যায়। তবে ব্যান্ড বেজ গিটারিস্ট জিসান এর জায়গায় বেজ গিটারিস্ট আদনান আলমকে নেয়। এরপর ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই ব্যান্ডের ড্রামার তানিম পড়ালেখা করার জন্য দেশের বাহিরে চলে যায়। ব্যান্ড থেকে ড্রামার চলে যাবার পর অনেকটা সমস্যার মধ্যে পড়ে যায় ব্যান্ডটি। তবে এই ঘাড়তি পূরণ করতে তাদের কিছু সময় লেগে যায়। প্রায় এক বছর পর ড্রামার মুনতাসির মামুন শুভকে ব্যান্ড খুঁজে পায় এবং টিকে ব্যান্ডে যোগদান করানো হয়। প্রায় ২ বছর আর্বোভাইরাস ব্যান্ডে থাকার পর মুনতাসির মামুন শুভ ও ২০১২ সালের দিকে অস্ট্রেলিয়া চলে যায়। তবে মুনতাসির মামুন শুভ চলে যাবার পর শূন্যস্থান পূরন করতে ব্যান্ডটি নাফিস আল আমিন ড্রামার হিসাবে নেয়।এত বাধা আসার পর ও ব্যান্ডটি থেমে না থেকে তারা এগিয়ে যাবার লক্ষে কাজ করতে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে তারা ২০১৩ সালের মাঝখানের দিকে তারা তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম এর কাজ শুরু করে। তখন তারা তাদের অ্যালবাম এর কাজ করেন একোস্টিক আর্টজ ( Acoustic Artz) , পিহি স্টুডিও(Phi Studio ) এবং কুমার বিশ্বজিৎ এর পার্সোনাল স্টুডিওতে। তারপর তারা তাদের অ্যালবাম এর কাজ শেষে ২০১৩ সালের ৫ জুলাই দ্বিতীয় অ্যালবাম বাজারে রিলিজ দেয়। তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম এর নাম ছিল (মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ).তার এই অ্যালবাম টি বাজারে রিলিজ দেবার পাশাপাশি অনলাইনে ফ্রি ডাউনলোডের জন্য ও দেওয়া হয়।
আর্বোভাইরাস এর দ্বিতীয় অ্যালবাম এ যে গান গুলো ছিল তার তালিকা দেয়া হলো :
* জ্বালো আগুন জ্বালো
* রোদের কিনারায়
* হারিয়ে যাও
* আও
* দূরত্ব
* স্বার্থপর
* প্রলাপ
* বদলে গেছে
আর্বোভাইরাস দ্বিতীয় অ্যালবাম টি ও অনেক জনপ্রিয়তা পায়। এই অ্যালবাম এরপর তারা আর কোনো অ্যালবাম বাহির করে নি প্রায় ৪ বছর। তারপর ব্যান্ডটি ঘোষণা দেয় তাদের তৃতীয় অ্যালবাম বাহির করার কথা। তারপর তারা কথা অনুযায়ী এলবামের কাজ শুরু করে ২০১৬ এর মাঝে মাঝি সময়ে। তারা তাদের তৃতীয় অ্যালবামটি বাজারে রিলিজ করে ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসের ১৭ তারিখে। তাদের এই অ্যালবাম টি বাজারে বাহির হবার আগে থেকেই আলোচনায় ছিল। যার ফলে অ্যালবাম টি বাহির হবার পর জনপ্রিয়তা খুব সহজেই পেয়ে যায়। তাদের তৃতীয় অ্যালবাম এর নাম ছিল বিশেষ দ্রষ্টব্য।
আর্বোভাইরাস এর তৃতীয় অ্যালবাম এ যে গান গুলো ছিল তার তালিকা দেয়া হলো :
২০০২ সাল ২০১৭ সালের মধ্যে যে সকল মেম্বার আর্বোভাইরাস ব্যান্ড ছেড়ে চলে গিয়েছে তাদের তালিকা দেয়া হলো :
★ শোভন - ভোকাল
★রাজিন -বেজ গিটারিস্ট
★ হিমেল - ড্রামার
★ইসতিয়াক জিসান - বেজ গিটারিস্ট
★ হিমেল - ড্রামার
★ ফারহান তানিম - ড্রামার
★ মুনতাসির মামুন শুভ - ড্রামার ( এক্স অর্থহীন)
'' হারিয়ে যাও তুমি দূরে আরো দূরে ''
'' জ্বালো আগুন জ্বালো ''
'' তোমার নিশ্বাসে কিসের পাপ, তোমার বিশ্বাসে অমানুষের জয় ''
লাইনগুলো নিশ্চয় পরিচিত লাগছে তাই না। এইটা আর্বোভাইরাস এর একটি গান।আর্বোভাইরাস ব্যান্ডের মেম্বার হচ্ছে ৫ জন। অন্য ভাবে বলা যায় ৫ মাথার ব্যান্ড হচ্ছে আর্বোভাইরাস। এই ব্যান্ডের ৫ জন মেম্বারের মধ্যে ৪ জনই গান করে থাকে। যার ফলে আপনি এই ব্যান্ডের একেক গানে একেক রকম স্বাদ পাবেন। যা হয়তো খুবই কম ব্যান্ডে পাওয়া যায়। বিশেষ করে বাংলদেশী ব্যান্ড জগতে এইটা বিরল একটা ঘটনা।আর তাছাড়া ও এই ব্যান্ডটির আরো কিছু ভিন্নতা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম আর্বোভাইরাস ব্যান্ডের মেম্বাররা স্টেজে গান করার সময়ও অনেক বেশি এক্সাইটেড থাকে যারজন্য তারা স্টেজে পারফর্মেন্স করার সময় গিটার ভাঙার মত কাজও করেছেন এই ব্যান্ডের মেম্বাররা। কি অবাক হচ্ছেন,ব্যান্ডটি আসলেই অবাক হওয়ার মতোই।
আরবোভাইরাস ব্যান্ডটি মূলত বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে এবং মধ্য প্রাচ্যের শান্তি-পুর্নতার উপর ভিত্তি করে গানের কথা গুলো তারা লিপিবদ্ধ করে থাকে।তাদের মূল লক্ষই হচ্ছে মানবিকতা এবং আশাবাদির উপরে ভিক্তি করেই তারা তাদের গানের কথা গুলো বানান।
আরবোভাইরাস হচ্ছে ঢাকায় গড়ে উঠা একটি ব্যান্ড। আরবোভাইরাস ব্যান্ডটি যাত্রা শুরু করে ২০০২ সালের দিকে।এই ব্যান্ডটি গঠন করেন গিটারিস্ট সূহার্ত এবং আসিফ আজগর দুইজনে মিলে।যখন তারা দুইজন এই ব্যান্ডটি গঠন করেন তখন তারা কলেজে পড়তেন। ব্যান্ডটি গঠন করার পর ব্যান্ডে যোগদান করেন গিটারিস্ট ইশতিয়াক জিসান এবং ড্রামার ফারহান তানিম এবং ভোকালিষ্ট সুফি।তারা আর্বোভাইরাসের সাথে যোগদান করার পর ব্যান্ডটি আস্তে আস্তে পথ চলতে শুরু করে।
তারা যাত্রা শুরুর পর লাইভ স্কোয়ার দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন একোস্টিক -শো তে অংশগ্রহন করা শুরু করে। তারপর তারা ২০০৬ সালের দিকে কনসার্ট করা শুরু করে। তখনকার তাদের সব থেকে উল্লেখযোগ্য কনসার্ট ছিল ২৬ জানুয়ারি ২০০৬ আর্বোভাইরাস ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে সল্ট লেক স্টেডিয়াম -এ আর্টসেল, মেটাল-মজ়ে এবং ফসিল্স এর সাথে গান পরিবেশনা করে। তারপর তারা ১ অক্টোবর ২০১০-এ আর্মি স্টেডিয়ামে বামবা কনসার্ট ফর সুন্দরবন- এ আর্টসেল, মাইলস , L.R.বা , নেমেসিস্ এবং অন্যান্যদের সাথে গান পরিবেশনা করে। তাদের তখন এই কনসার্ট গুলো ছিল বিশাল প্রাপ্তির জায়গা।
বর্তমানে আর্বোভাইরাস ব্যান্ডের লাইন আপ দেয়া হলো
- সূহার্ত - গিটার
- নাফিজ - ড্রামস
- রঞ্জন - গিটার
- আদনান - বেজ
- সুফি - ভোকাল
আর্বোভাইরাস ব্যান্ডে বেশ কয়েকবার লাইনআপ পরিবর্তন হয়েছে। ২০০৩ সালের দিকে আর্বোভাইরাস ব্যান্ড ছেড়ে শোভন, রাজিন & হিমেল তাদের পার্সোনাল কারন দেখিয়ে চলে যান। তখন আর্বোভাইরাস তাদের এই ঘাড়তি মেটানোর জন্য নতুন ভোকাল, ড্রামার এবং বেজ গিটারিস্ট খুঁজতে শুরু করেন। ২০০৩ সালের আগষ্ট মাসে আর্বোভাইরাস ব্যান্ডে যোগদান করেন বেজ গিটারিস্ট ইসতিয়াক জিসান এবং ড্রামার ফারহান তানিম। তারপর ব্যান্ডটি খুঁজতে থাকেন একজন ভোকাল। তার পর ব্যান্ডটি খোঁজ পান তাদের বর্তমান ভোকাল সুফিকে।সুফির সাথে রঞ্জনের প্রথম পরিচয় হয় বাসে। পরে সুফি রঞ্জনের বাসায় ইন্টারভিউ দিতে যান এবং তখন আর্বোভাইরাস এর অন্য সদস্যরা ও ঐখানে উপস্থিত ছিল। সুফির আর্বোভাইরাস ব্যান্ডের ভোকাল হওয়ার জন্য ইন্টারভিউ দিতে আসার আগে ব্যান্ডে গান করার সুফির কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই এইটা সুফির জন্য ছিল সম্পূর্ন নতুন অভিজ্ঞতা। তার সুফি ভোকাল হিসেবে যোগদান করার পর তারা তাদের ব্যান্ড নিয়ে কাজ আরো জোরালো ভাবে শুরু করে।তার পর ব্যান্ডটি ২০০৪ সালে তাদের প্রথম একক ''আর্তনাদ '' গানটি প্রকাশ করে বাজারে।এই গানটি প্রকাশ করার পর ২০০৬ সালে দিন বদল অ্যালবাম এ ''অভিশাপ এবং সপ্ন দৃষ্ট'' নাম আরো দুইটি একক গান প্ৰকাশ করেন ব্যান্ডটি।আর্বোভাইরাস তাদের ৩ টি একক গান প্রকাশ এর পর কিছু সময় বিরতি দিয়ে তাদের ডেব্যু অ্যালবাম এর কাজ শুরু করে। তাদের প্রথম অ্যালবাম (64m 53sec )এর গান গুলো ও তখন রেকর্ড করা শুরু করে। এই অ্যালবামটির কাজ করার সময় তারা সম্পুন্ন নতুন কিছু অভিজ্ঞতা ছিল। তার কারণ হলো তাদের এইটাই ছিল প্রথম অ্যালবাম। তাদের এই অ্যালবাম টি রেকর্ড করা হয়েছিল Studio বস এবং ওরক্যাম ডেস্ক '' এ। এবং অ্যালবাম টির মিক্সিং ও মাস্টেরিং করা হয়েছিলো '' নট অফ দিস এয়ার্থে (Not of this Earth )।এবং তাদের অ্যালবাম এর কভার করা হয়েছিলো গড়ুঙ্গে(Grunge ) এবং হার্ড রক থেকে সাইকেডেলিক রক রীতিতে।
আর্বোভাইরাস এর প্রথম অ্যালবাম এ ৩টি গান বাদে বাকি গান গুলো লিখেছিলো আসিফ আসগর রঞ্জন। এবং তারা তাদের প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম (64 min 53s) ২০০৬ সালে জি-সিরিজ এর ব্যানারে বাজারে রিলিজ দেয়।
আর্বোভাইরাস এর প্রথম অ্যালবাম এ যে গান গুলো ছিল তার তালিকা দেয়া হলো :
* স্বীকারোক্তি
* উত্তরাধিকার
* যা ইচ্ছে তা
* মুকুট ছাড়া রাজা
* আধার ও ঈশ্বর
* পৃথিবীর শেষ প্রান্তে
* আমাদের গান
* অমানুষ
* ছায়ামানুষ
* কর্পোরেট এন্থেম
* শেকড়
* স্বর্গের শিশুরা
তাদের প্রথম অ্যালবাম টি বাজারে ভালো সাড়া পায়।তাদের অ্যালবামটি সেই সময়ের তরুণদের কাছে ভালো একটা সাড়া পে। যার ফলে তাদের জনপ্রিয়তা ও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। কিন্তু অ্যালবামটি রিলিজ হওয়ার ২ বছর পর ২০০৮ সালের দিকে ব্যান্ডটি আবার একটি ধাক্কা খায়।তাদের বেজ গিটারিস্ট জিসান কোনো কারণ না দেখিয়ে ব্যান্ড থেকে বের হয়ে যায়। তবে ব্যান্ড বেজ গিটারিস্ট জিসান এর জায়গায় বেজ গিটারিস্ট আদনান আলমকে নেয়। এরপর ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই ব্যান্ডের ড্রামার তানিম পড়ালেখা করার জন্য দেশের বাহিরে চলে যায়। ব্যান্ড থেকে ড্রামার চলে যাবার পর অনেকটা সমস্যার মধ্যে পড়ে যায় ব্যান্ডটি। তবে এই ঘাড়তি পূরণ করতে তাদের কিছু সময় লেগে যায়। প্রায় এক বছর পর ড্রামার মুনতাসির মামুন শুভকে ব্যান্ড খুঁজে পায় এবং টিকে ব্যান্ডে যোগদান করানো হয়। প্রায় ২ বছর আর্বোভাইরাস ব্যান্ডে থাকার পর মুনতাসির মামুন শুভ ও ২০১২ সালের দিকে অস্ট্রেলিয়া চলে যায়। তবে মুনতাসির মামুন শুভ চলে যাবার পর শূন্যস্থান পূরন করতে ব্যান্ডটি নাফিস আল আমিন ড্রামার হিসাবে নেয়।এত বাধা আসার পর ও ব্যান্ডটি থেমে না থেকে তারা এগিয়ে যাবার লক্ষে কাজ করতে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে তারা ২০১৩ সালের মাঝখানের দিকে তারা তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম এর কাজ শুরু করে। তখন তারা তাদের অ্যালবাম এর কাজ করেন একোস্টিক আর্টজ ( Acoustic Artz) , পিহি স্টুডিও(Phi Studio ) এবং কুমার বিশ্বজিৎ এর পার্সোনাল স্টুডিওতে। তারপর তারা তাদের অ্যালবাম এর কাজ শেষে ২০১৩ সালের ৫ জুলাই দ্বিতীয় অ্যালবাম বাজারে রিলিজ দেয়। তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম এর নাম ছিল (মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ).তার এই অ্যালবাম টি বাজারে রিলিজ দেবার পাশাপাশি অনলাইনে ফ্রি ডাউনলোডের জন্য ও দেওয়া হয়।
আর্বোভাইরাস এর দ্বিতীয় অ্যালবাম এ যে গান গুলো ছিল তার তালিকা দেয়া হলো :
* জ্বালো আগুন জ্বালো
* রোদের কিনারায়
* হারিয়ে যাও
* আও
* দূরত্ব
* স্বার্থপর
* প্রলাপ
* বদলে গেছে
আর্বোভাইরাস দ্বিতীয় অ্যালবাম টি ও অনেক জনপ্রিয়তা পায়। এই অ্যালবাম এরপর তারা আর কোনো অ্যালবাম বাহির করে নি প্রায় ৪ বছর। তারপর ব্যান্ডটি ঘোষণা দেয় তাদের তৃতীয় অ্যালবাম বাহির করার কথা। তারপর তারা কথা অনুযায়ী এলবামের কাজ শুরু করে ২০১৬ এর মাঝে মাঝি সময়ে। তারা তাদের তৃতীয় অ্যালবামটি বাজারে রিলিজ করে ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসের ১৭ তারিখে। তাদের এই অ্যালবাম টি বাজারে বাহির হবার আগে থেকেই আলোচনায় ছিল। যার ফলে অ্যালবাম টি বাহির হবার পর জনপ্রিয়তা খুব সহজেই পেয়ে যায়। তাদের তৃতীয় অ্যালবাম এর নাম ছিল বিশেষ দ্রষ্টব্য।
আর্বোভাইরাস এর তৃতীয় অ্যালবাম এ যে গান গুলো ছিল তার তালিকা দেয়া হলো :
- মুখোশ
- সূর্য
- নিলাম
- তোমাদের সম্মানে
- ভেঙ্গে ফেলো
- স্কুল
- অসংলগ্নতা
- বন্ধুর লাশ
- তোমার গান
২০০২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে এই ১৫ বছরে ব্যান্ডটি ৩ টি স্টুডিও অ্যালবাম রিলিজ করেছে সেগুলো তালিকা ও দেয়া হলো :
1. 64m 53sec
2.মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন
3. বিশেষ দ্রষ্টব্য
আর্বোভাইরাস অ্যালবাম ছাড়া ও বিভিন্ন মিক্স অ্যালবাম এ তাদের বেশকিছু সিঙ্গেল ট্র্যাক রিলিজ করেছে সেগুলো হলো :
* আর্তনাদ - আগন্তুক 2 (২০০৩)
* অভিশাপ - দিন বদল (২০০৪)
* সপ্নদৃষ্ট - লোকায়তো (২০০৪)
* শহর - বোকা মানুষটা (ft বেজবাবা সুমন ) অর্থহীন (২০০৭)
* সূর্য সন্তান - লাইভ নাউ (২০০৭)
* প্রায়শ্চিত্ত - বন্য (FT ফুয়াদ আল-মুক্তাদির) (২০০৭)
* আদ্ধেক কথা - রক ১০১ (২০০৮)
* কেও কারো নয় - রক ২০২ (২০০৯)
* প্রার্থনা - রক ৫০৫ (২০১০)
* বাংলাদেশ গড়ি - গর্জে উঠ বাংলাদেশ (২০১১)
* আগন্তুক - রক ৬০৬ (২০১১)
* গোল - রক ৮০৮ (২০১৫)
* তোমাদের সম্মানে - জিপি মিউজিক স্টোরি (২০১৬)
এছাড়া আর্বোভাইরাসের কয়েকটি মিউজিক ভিডিও আছে তারমধ্যে অন্যতম :
★ অভিশাপ
★ আর্তনাদ
★ অমানুষ
★ হারিয়ে যাও
★ ছায়া মানুষ
২০০২ সাল ২০১৭ সালের মধ্যে যে সকল মেম্বার আর্বোভাইরাস ব্যান্ড ছেড়ে চলে গিয়েছে তাদের তালিকা দেয়া হলো :
★ শোভন - ভোকাল
★রাজিন -বেজ গিটারিস্ট
★ হিমেল - ড্রামার
★ইসতিয়াক জিসান - বেজ গিটারিস্ট
★ হিমেল - ড্রামার
★ ফারহান তানিম - ড্রামার
★ মুনতাসির মামুন শুভ - ড্রামার ( এক্স অর্থহীন)
Comments
Post a Comment