একটি অ্যালবাম দিয়ে যে একটি ব্যান্ড তুমুল জনপ্রিয়তা পেতে পারে তার অন্যতম উদাহরণ হলো ইন্দালো ব্যান্ড।
যদি রাত দুপুরে, ঘুম ভাংগে আমি পাশে নাই
ভয় পাবে কি ??
বাংলাদেশের কোন ব্যান্ড মিউজিক ফ্যানকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে এই গানটি শুনেছে কিনা ,তাহলে তার উত্তরটা নিঃসন্দেহে আসবে অবশ্যই হ্যা। আর আজ এই জনপ্রিয় গানটি যে ব্যান্ডের তাদের সম্পর্ককেই আজ কথা বলবো। হয়তো সবাই বুঝে গিয়েছেন কোন ব্যান্ডের কথা বলছি।হুম আপনি ঠিক ধরেছেন আজ কথা বলবো বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ইন্দালো সম্পর্কে।
২০১২ সালের প্রথমের দিকে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ব্ল্যাক ছেড়ে চলে আসেন ব্যান্ডের ভোকাল এবং গিটারিস্ট জন কবির। তার ব্ল্যাক ব্যান্ড ছেড়ে আসার প্রধান কারণ ছিল তার মিউজিক ক্যারিয়ার কে তিনি চেয়েছিলেন অন্যভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।তবে যত কিছুই হোক না কেন গানের মানুষ কি আর গান ছাড়া বেশি দিন থাকতে পারে? অবশ্যই পারেনা।
জন কবির ব্ল্যাক ব্যান্ড থেকে বাহির হয়ে যাবার কিছু দিন পর তার সাথে পরিচয় হয় "আসর্" ব্যান্ড এর গিটারিস্ট জুবায়ের সাথে এবং পরিচয় হবার পর তারা দুইজনে মিলে এক সাথে জ্যাম করতে থাকেন।তাদের জ্যাম করা চলতে থাকে এই ভাবে কিছু দিন যাবার পর তাদের সাথে যোগদান করে ব্ল্যাক এর এক্স বেজিস্ট টিটু এবং ড্রামার হিসেবে তারা তাদের সাথে যোগদান করার জন্য আমন্ত্রণ জানান বাংলা রক ইতিহাসের এর অন্যতম প্রতিভাবান ড্র্যামার ডিও হক কে।
এরপর তারা এই চার জন মিলে প্রতি সপ্তাহশেষে এক সাথে একদিন জ্যাম করতেন। প্রথম অবস্থায় তাদের কোনো প্রকার চিন্তা বা ইচ্ছা ছিল না ফুল টাইম একটা ব্যান্ড করার।কিন্তু তারা কিছুদিন পার করতে না করতেই তাদের আগের সির্দ্ধান্ত পরিবর্তন করার জন্য তারা চিন্তা ভাবনা শুরু করেন। এবং তারা তাদের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি ব্যান্ড তৈরি করেন এবং ব্যান্ডটির নাম রাখেন “ইন্দালো”।আর মাধ্যমেই ২০১২ সালের শেষের দিকে “ইন্দালো” ব্যান্ডটি যাত্রা শুরু করে।
"ইন্দালো” ব্যান্ডের বর্তমান লাইনআপঃ
"ইন্দালো” ব্যান্ডের পুরোনো মেম্বারঃ
ব্যান্ডটি যাত্রা শুরুর কিছু দিন পরেই ২০১৩ সালে তারা তাদের প্রথম আই এস ডি গানের মিউজিক ভিডিও রিলিজ করে। তাদের এই গানটি রিলিজ করার পর দারুন জনপ্রিয়তা পায়। আর তাদের এই প্রথম গান গানের মিউজিক ভিডিও জনপ্রিয়তার সাথে তাদের ব্যান্ড ইন্দালো ও তখন আলোচনার শীর্ষে চলে আসে।
এরপর "ইন্দালো” ব্যান্ডটি বিভিন্ন আন্ডারগ্রাউন্ড শোতে পারফর্ম করতে শুরু করে। এবং শোতে পারফর্ম করার মাধ্যমে তাদের জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে।"ইন্দালো” ব্যান্ডের ইতিহাসের সব থেকে বড় ব্যাপার টা ছিলো লাইভস্কয়ারের সাথে কনসার্ট সম্পর্ন করা।আর এই কনসার্টটাই ছিল ইন্দালোর প্রথম কোনো বড় কনসার্ট এ অংশ নেয়া।
তারপর "ইন্দালো” ব্যান্ডের পথচলায় একটা ভাঙ্গনের দেখা দেয়।২০১৩ সালের দিকে "ইন্দালো” ব্যান্ড ছেড়ে চলে যায় বেজ গিটারিস্ট টিটু।তারপর "ইন্দালো" ব্যান্ডে বেজ গিটারিস্ট হিসেবে যোগদান করে “বার্ট নন্দিত"।এরপর ব্যান্ডটি এই লাইনআপ নিয়েই এখন পর্যন্ত সক্রিয় আছে।তাদের ব্যান্ডের মধ্যে এর পর আর কোনো ভাঙ্গনের মতো কোনো কিছু হয় নি।আর এরপর থেকে "ইন্দালো” ব্যান্ডের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তারা তারপর থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে নিয়মিত কনসার্ট করছে এবং এর পাশাপাশি রেডিও স্বাধীনে একটা ফুল আনপ্ল্যাগড কনসার্ট করে থাকে ব্যান্ডটি।
"ইন্দালো” ব্যান্ডে তাদের প্রথম অ্যালবাম রিলিজ করে ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।তাদের প্রথম অ্যালবাম এর নাম ছিল “কখন কিভাবে এখানে কে জানে”। "ইন্দালো” ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম কখন কিভাবে এখানে কে জানে এই অ্যালবামটির প্রমো ভিডিও অনেক প্রশংসিত হয়।
তাদের প্রথম অ্যালবাম “কখন কিভাবে এখানে কে জানে” অ্যালবাম এ সর্বমোট গান ছিল ১৩ টি । তাদের অ্যালবাম এর ট্র্যাক লিস্ট দেয়া হলো :
১.আন্তনগর
২.ক্যানভাস
৩.দেয়াল ঘড়ি
৪.আই এস ডি
৫.অবশেষে
৬.অলীক
৭.অস্ফুট
৮.পাথরের আড়ালের ফুল
৯.প্ল্যাস্টিক
১০.পৌনঃপুনিক
১১.সেক
১২.তোমার সকাল
১৩.কে শুনবে
তাদের প্রথম অ্যালবাম “কখন কিভাবে এখানে কে জানে” অ্যালবাম টি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে।তারপর ইন্দালো ব্যান্ড তাদের এই অ্যালবাম টির গান গুলো নিয়ে লাইভে ব্যাস্ত হয়ে যায়। ইন্দালো ব্যান্ডটি পুরো ২০১৫ সাল জুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে এক্যুস্টিক সেশনে পারফর্ম করতে থাকে। তবে এর পর ইন্দালো ব্যান্ডটি বিভিন্ন কনসার্ট এর পাশাপাশি স্টুডিও তেও কাজ করছেন তবে এখনো কোনো নতুন অ্যালবাম বাহির করার কোনো ঘোষনা আসেনি ব্যান্ডটির পক্ষ থেকে।
এখন পর্যন্ত ইন্দালো ব্যান্ডের তিনটি অফিসিয়াল মিউজিক ভিডিও রিলিজ পেয়েছে সেই গুলো হলো :
*আই এস ডি
*আন্তঃনগর
*অবশেষে
তবে ইন্দালো বাংলাদেশের এমন একটি ব্যান্ড যারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে,এদেশের ব্যান্ড মিউজিক শ্রোতাদের কাছে খুব ভালো ভাবে জায়গা করে নিয়েছে। তাদের ব্যান্ডের করা ইউনিক সাউন্ড,কম্বিনেশন,টীম ওয়ার্ক, কেমিস্ট্রি থাকার কারণেই তারা আজ এই জায়গায় আস্তে পেরেছে মন জয় করে নিতে পেরেছে লাখো মিউজিক শ্রোতাদের মন।আর অবশ্যই যখন একটি ব্যান্ড তাদের প্রথম অ্যালবাম এর গান দিয়ে এত সাড়া ফেলে দিতে পারে। সেই ব্যান্ডের কাছে তো রক মিউজিক ফ্যানদের প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকবেই।সামনে অবশ্যই নতুন কোনো অ্যালবাম এর মাধ্যমে আবার রক মিউজিক ফ্যানদের নতুন ভাবে মাতিয়ে তুলবে এই আশায় করি।
ভয় পাবে কি ??
বাংলাদেশের কোন ব্যান্ড মিউজিক ফ্যানকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে এই গানটি শুনেছে কিনা ,তাহলে তার উত্তরটা নিঃসন্দেহে আসবে অবশ্যই হ্যা। আর আজ এই জনপ্রিয় গানটি যে ব্যান্ডের তাদের সম্পর্ককেই আজ কথা বলবো। হয়তো সবাই বুঝে গিয়েছেন কোন ব্যান্ডের কথা বলছি।হুম আপনি ঠিক ধরেছেন আজ কথা বলবো বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ইন্দালো সম্পর্কে।
২০১২ সালের প্রথমের দিকে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ব্ল্যাক ছেড়ে চলে আসেন ব্যান্ডের ভোকাল এবং গিটারিস্ট জন কবির। তার ব্ল্যাক ব্যান্ড ছেড়ে আসার প্রধান কারণ ছিল তার মিউজিক ক্যারিয়ার কে তিনি চেয়েছিলেন অন্যভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।তবে যত কিছুই হোক না কেন গানের মানুষ কি আর গান ছাড়া বেশি দিন থাকতে পারে? অবশ্যই পারেনা।
জন কবির ব্ল্যাক ব্যান্ড থেকে বাহির হয়ে যাবার কিছু দিন পর তার সাথে পরিচয় হয় "আসর্" ব্যান্ড এর গিটারিস্ট জুবায়ের সাথে এবং পরিচয় হবার পর তারা দুইজনে মিলে এক সাথে জ্যাম করতে থাকেন।তাদের জ্যাম করা চলতে থাকে এই ভাবে কিছু দিন যাবার পর তাদের সাথে যোগদান করে ব্ল্যাক এর এক্স বেজিস্ট টিটু এবং ড্রামার হিসেবে তারা তাদের সাথে যোগদান করার জন্য আমন্ত্রণ জানান বাংলা রক ইতিহাসের এর অন্যতম প্রতিভাবান ড্র্যামার ডিও হক কে।
এরপর তারা এই চার জন মিলে প্রতি সপ্তাহশেষে এক সাথে একদিন জ্যাম করতেন। প্রথম অবস্থায় তাদের কোনো প্রকার চিন্তা বা ইচ্ছা ছিল না ফুল টাইম একটা ব্যান্ড করার।কিন্তু তারা কিছুদিন পার করতে না করতেই তাদের আগের সির্দ্ধান্ত পরিবর্তন করার জন্য তারা চিন্তা ভাবনা শুরু করেন। এবং তারা তাদের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি ব্যান্ড তৈরি করেন এবং ব্যান্ডটির নাম রাখেন “ইন্দালো”।আর মাধ্যমেই ২০১২ সালের শেষের দিকে “ইন্দালো” ব্যান্ডটি যাত্রা শুরু করে।
"ইন্দালো” ব্যান্ডের বর্তমান লাইনআপঃ
- জন কবির -- ভোকাল/গিটার
- জুবায়ের হাসান --গিটার/ভোকাল
- বার্ট নন্দিত আরেং-- বেজ গিটার
- ডিও হক--ড্রামস
"ইন্দালো” ব্যান্ডের পুরোনো মেম্বারঃ
- বেজ-টিটু (এক্স ব্ল্যাক)
ব্যান্ডটি যাত্রা শুরুর কিছু দিন পরেই ২০১৩ সালে তারা তাদের প্রথম আই এস ডি গানের মিউজিক ভিডিও রিলিজ করে। তাদের এই গানটি রিলিজ করার পর দারুন জনপ্রিয়তা পায়। আর তাদের এই প্রথম গান গানের মিউজিক ভিডিও জনপ্রিয়তার সাথে তাদের ব্যান্ড ইন্দালো ও তখন আলোচনার শীর্ষে চলে আসে।
এরপর "ইন্দালো” ব্যান্ডটি বিভিন্ন আন্ডারগ্রাউন্ড শোতে পারফর্ম করতে শুরু করে। এবং শোতে পারফর্ম করার মাধ্যমে তাদের জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে।"ইন্দালো” ব্যান্ডের ইতিহাসের সব থেকে বড় ব্যাপার টা ছিলো লাইভস্কয়ারের সাথে কনসার্ট সম্পর্ন করা।আর এই কনসার্টটাই ছিল ইন্দালোর প্রথম কোনো বড় কনসার্ট এ অংশ নেয়া।
তারপর "ইন্দালো” ব্যান্ডের পথচলায় একটা ভাঙ্গনের দেখা দেয়।২০১৩ সালের দিকে "ইন্দালো” ব্যান্ড ছেড়ে চলে যায় বেজ গিটারিস্ট টিটু।তারপর "ইন্দালো" ব্যান্ডে বেজ গিটারিস্ট হিসেবে যোগদান করে “বার্ট নন্দিত"।এরপর ব্যান্ডটি এই লাইনআপ নিয়েই এখন পর্যন্ত সক্রিয় আছে।তাদের ব্যান্ডের মধ্যে এর পর আর কোনো ভাঙ্গনের মতো কোনো কিছু হয় নি।আর এরপর থেকে "ইন্দালো” ব্যান্ডের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তারা তারপর থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে নিয়মিত কনসার্ট করছে এবং এর পাশাপাশি রেডিও স্বাধীনে একটা ফুল আনপ্ল্যাগড কনসার্ট করে থাকে ব্যান্ডটি।
"ইন্দালো” ব্যান্ডে তাদের প্রথম অ্যালবাম রিলিজ করে ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।তাদের প্রথম অ্যালবাম এর নাম ছিল “কখন কিভাবে এখানে কে জানে”। "ইন্দালো” ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম কখন কিভাবে এখানে কে জানে এই অ্যালবামটির প্রমো ভিডিও অনেক প্রশংসিত হয়।
তাদের প্রথম অ্যালবাম “কখন কিভাবে এখানে কে জানে” অ্যালবাম এ সর্বমোট গান ছিল ১৩ টি । তাদের অ্যালবাম এর ট্র্যাক লিস্ট দেয়া হলো :
১.আন্তনগর
২.ক্যানভাস
৩.দেয়াল ঘড়ি
৪.আই এস ডি
৫.অবশেষে
৬.অলীক
৭.অস্ফুট
৮.পাথরের আড়ালের ফুল
৯.প্ল্যাস্টিক
১০.পৌনঃপুনিক
১১.সেক
১২.তোমার সকাল
১৩.কে শুনবে
তাদের প্রথম অ্যালবাম “কখন কিভাবে এখানে কে জানে” অ্যালবাম টি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে।তারপর ইন্দালো ব্যান্ড তাদের এই অ্যালবাম টির গান গুলো নিয়ে লাইভে ব্যাস্ত হয়ে যায়। ইন্দালো ব্যান্ডটি পুরো ২০১৫ সাল জুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে এক্যুস্টিক সেশনে পারফর্ম করতে থাকে। তবে এর পর ইন্দালো ব্যান্ডটি বিভিন্ন কনসার্ট এর পাশাপাশি স্টুডিও তেও কাজ করছেন তবে এখনো কোনো নতুন অ্যালবাম বাহির করার কোনো ঘোষনা আসেনি ব্যান্ডটির পক্ষ থেকে।
এখন পর্যন্ত ইন্দালো ব্যান্ডের তিনটি অফিসিয়াল মিউজিক ভিডিও রিলিজ পেয়েছে সেই গুলো হলো :
*আই এস ডি
*আন্তঃনগর
*অবশেষে
তবে ইন্দালো বাংলাদেশের এমন একটি ব্যান্ড যারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে,এদেশের ব্যান্ড মিউজিক শ্রোতাদের কাছে খুব ভালো ভাবে জায়গা করে নিয়েছে। তাদের ব্যান্ডের করা ইউনিক সাউন্ড,কম্বিনেশন,টীম ওয়ার্ক, কেমিস্ট্রি থাকার কারণেই তারা আজ এই জায়গায় আস্তে পেরেছে মন জয় করে নিতে পেরেছে লাখো মিউজিক শ্রোতাদের মন।আর অবশ্যই যখন একটি ব্যান্ড তাদের প্রথম অ্যালবাম এর গান দিয়ে এত সাড়া ফেলে দিতে পারে। সেই ব্যান্ডের কাছে তো রক মিউজিক ফ্যানদের প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকবেই।সামনে অবশ্যই নতুন কোনো অ্যালবাম এর মাধ্যমে আবার রক মিউজিক ফ্যানদের নতুন ভাবে মাতিয়ে তুলবে এই আশায় করি।
Comments
Post a Comment