ভালোবাসার আরেক নাম আর্টসেল।
আজ আপনাদের একদল হার না মানা গান পাগল ছেলেদের গল্প বলবো।তারা কোথায় থেকে গানের জগতে এসেছে ,কিছু ভালো লাগার গান করেছে এবং আর সেই গান গুলোর মাধ্যমে কোটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। তাদের গানের মধ্যে এতটাই মধুরতা রয়েছে যা সকলকে করে তোলে মাতাল। তারা গান করে ভালো লাগা থেকে। আর তাই তো বন্ধুদের সাথে মিউজিক নিয়ে পাগলামি করেই হয়তো লিংকন, এরশাদরা ১৯৯৯ সালে তাদের এবং গান পাগলা ভক্তদের প্রাণের ব্যান্ড আর্টসেল গড়ে তোলে। আর এই আর্টসেল নাম তার মধ্যে এক অন্যরকম উন্মাদনা রয়েছে।
যার কারণেই হয়তো আর্টসেল নামটি শুনলে শরীরের মধ্যে কেমন জানি একটা শিহরণ সৃষ্টি হয়। গান পাগল ছেলেগুলো যখন চিন্তা করলো একটা ব্যান্ড তৈরী করার , আর সেই চিন্তা থেকেই তারা কাজে লেগে গেলো ব্যান্ড তৈরী করার সময়টা তখন ১৯৯৯ সাল।তাদের প্রথম থেকেই পছন্দের ছিল হার্ড রক আর মেটাল ধরনের গান। তাই তারা চিন্তা করলো তারা তাদের ব্যান্ডে হার্ড রক আর মেটাল ধরনের গানই করবে। আর সেই চিন্তা থেকেই পথ চলা আর্টসেলের।
আর্টসেল প্রথমের দিকে দেশের বাহিরের ব্যান্ডের ইংরেজি গান গুলো ট্রিবিউট করে গাইতো।তারা তাদের পছন্দের ব্যান্ড গুলো গানই বেশি গাইতো। তাদের মূল অনুপ্রেরণা ছিল বাহিরের কিছু ব্যান্ড যেমন মেটালিকা, ড্রিম থিয়েটার, পিংক ফ্লয়েড এদের প্রতি। আর তারা প্রথম দিকে এই ব্যান্ড গুলোর বিভিন্ন গান নিজেদের চিন্তা ধারণা, গুণাবলী ও যোগ্যতা দিয়ে নিজেদের মতো করে গাইতেন। আর এই গান গুলো নিজেদের মতো গেয়ে আর্টসেল প্রথম দিকেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল ব্যান্ড প্রেমীদের কাছে। আর তাদের জনপ্রিয়তা কিছুটা পবার পর তারা দেশের বিভিন্ন জায়গাতে কনসার্ট করতে শুরু করলো। এতে তারা ব্যান্ড প্রেমীদের মনে আরো ভালো ভাবে জায়গা করে নিতে পারলো। আর এই খানে থেকেই তাদের সফলতার পথচলা শুরু হলো।
তারপর তারা যখন বুজতে পারলো তাদের প্রতি ব্যান্ড প্রেমীদের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক তখনি তারা চিন্তা করলো তাদের অ্যালবাম বাহির করার। আর সেই চিন্তা থেকেই তারা তাদের প্রথম অ্যালবাম বাহির করলো ২০০২ সালে। তাদের সেই প্রথম অ্যালবাম টির নাম ছিল অন্য সময়। এই অ্যালবাম টা বাহির হওয়ার পর তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে অ্যালবামটি। এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো যার কারণেই হয়তো আর্টসেলের প্রথম অ্যালবাম অন্য সময় এখনো হাজারো ভক্তের মনে অন্য রকম সারা ফেলে রেখেছে। যা হয়তো কখনোই হারাবার নয়।আর্টসেলের প্রথম অ্যালবাম অন্য সময় এর গান গুলো লিখছিলো রুম্মান, লিংকন এবং সাজু তিনজনে। তাদের লিখা এই গান গুলো হাজারো ভক্তের রক্তে মিশে গিয়েছে। তার তাই হয়তো আজ ও ভক্তদের অন্য সময় অ্যালবাম এর গান গুলো শুনে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। এই গান গুলো জেনো সুরে সুরে বলে দেয় জীবনের মানে।
তাদের অ্যালবাম অন্য সময় যখন খুব জনপ্রিয়তা লাভ করে তখন তারা বেশি বেশি লাইভ কন্সার্ট করতে থাকে যাতে সকল ভক্তের কাছে খুব সহজে পৌঁছাতে পারে এই আশায়। আর তাই তারা পুরোদমে কন্সার্ট করতে থাকে। আর তার ফলেই আস্তে আস্তে তরুণ সমাজের রক্তে মিশে যেতে থাকে আর্টসেল। আর সেই জন্যই তখন তাদের উপর শ্রোতাদের কোনো ভুল ধারণার জন্ম নেই নি বরং সেইদিন খুব বেশি ভালোবাসা জন্মাতে শুরু করেছিল তরুণ ভক্তদের মনে আর্টসেল এর প্রতি। আর্টসেল এই অ্যালবাম এর মাধ্যমে বিশাল ভক্তকুল তৈরী করে নিয়েছিল।যা হয়তো আর্টসেল ও তখন ভেবে দেখে নি।
তাদের প্রথম অ্যালবাম শ্রোতাদের খুব ভালো লাগার কারণে তারা চিন্তা করতে থাকে ভক্তদের জন্য আরো একটি অ্যালবাম বাহির করা।যেমন চিন্তা ঠিক তেমনি কাজ করলো আর্টসেল তারা নতুন অ্যালবাম এর কাজ শুরু করলো।
আর তাদের অ্যালবাম এর কাজ শেষ হওয়ার পর ২০১৬ সালে ভক্তদের উপহার দিলো তাদের নতুন অ্যালবাম অনিকেত প্রান্তর”।তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম টি বাহির হওয়ার পর আর্টসেল ভক্তদের মধ্যে তুমুল সাড়া পরে গেলো।সকলে অ্যালবাম কিনতে ছুটোছুটি শুরু করলো। আর্টসেলের দ্বিতীয় অ্যালবাম অনিকেত প্রান্তর এতটাই জনপ্রিয়তা পেলো যা প্রথম অ্যালবাম এর দ্বিগুন জনপ্রিয়তা হয়েছিল।
এই অ্যালবাম এ ভক্তদের জন্য আর্টসেল একটি ১৬ মিনিট ২২ সেকেন্ডের গান তৈরী করেছিল। সেই গানটি হচ্ছে অ্যালবাম এর টাইটেল সং অনিকেত প্রান্তর।এই গানটা ভক্তদের মনে ব্যাপক সারা ফেলে দেয়। আর সকলেই প্রশংসা করতে থাকে আর্টসেল এর এই গানের। এছাড়া ও এই অ্যালবামটি তে রয়েছে লীন, ধূসর সময় গন্তব্যহীন,তোমাকে,শহীদ সরণির মতো গান গুলো। তবে এই অ্যালবাম এর সব থেকে বড় উপহার ছিল সেই ১৬ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ওই অনিকেত প্রান্তর গানটি।
আর সকলের মন ছুঁয়ে যাওয়া এই গানটির লিরিক্স লিখেছিলো রুম্মান আহমেদ। আর এই গানের কথা গুলো ছিল খুবই অসাধারণ সাথে কম্পোজ করা হয়েছিল মন মাতানো। যা মিলে হয়েছিল এক অনবদ্য গান। আর্টসেলের যাত্রা শুরুর পর চলে গিয়েছে প্রায় ১৮ টি বছর। আর এত লম্বা পথ পারি দিয়েও আর্টসেল তার ভক্তদের দিয়েছে মাত্র ২ টি অ্যালবাম।
কিন্তু সংখ্যাই যত কমই হোক না কেন এই ২ টি অ্যালবাম এর গান বাংলা ব্যান্ড এর গান কে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে যা হয়তো ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। আর এই গান গুলো কখনো হারানোর নয় বা ভোলার মত নয়। আর্টসেল এর গান মানেই থাকবে প্রতিবাদের ভাষা ,তাদের গান গুলো তাই প্রমান করেছে। আর্টসেল এর গান মানেই হচ্ছে লিরিক্সের ভরা গান।
তার প্রমান স্বরূপ একটা গানের নাম বললেই যথেষ্ট আর গান টি হচ্ছে অনিকেত প্রান্তর। আর অবশ্যই সকলকেই স্বীকার করতে হবে আর্টসেল এর গান মানেই হার্ড রক আর মেটাল গানে সংমিশ্রণ। আর এইটা স্বীকার করতে সবাই বাধ্য হার্ড রক আর মেটাল গানে আর্টসেল এর অবদান এর ব্যাপারে। আর্টসেল এর গান গুলোর মধ্যে থাকে গভীর চেতনার চিন্তা ধারার কথা। আর আর্টসেল এর গান গুলি লিখা ও হয়তো হয়েছিল অনেক চিন্তা ধারা থেকেই। আর্টসেল এর প্রতিটা গানেই থাকে নতুন ভাবে জেগে উঠার কথা। প্রতিবাদের অনুপ্রেরণা যোগান কথা।
এখনো আর্টসেল এর কনসার্ট এ যখন লিংকন ভাই গীটার হাতে নিয়ে হুংকার দিয়ে ওঠেন তখন কেউ আর বসে থাকতে পারে না শরীর শিহরিত হয়ে উঠে। গীটারের যাদুকরী লিড তা তো আছে এরশাদ ভাই হাতে যা আর্টসেল এর গান কে করে তুলো আরো বেশি অর্থবহ। একজন ব্যান্ড ভক্তের জন্য এর থেকে আর বেশি কি বা প্রয়োজন হয়। সকল ভক্তের মনে বাজে একই সুর তা হলো আর্টসেল থাকতে মন ভালো করার জন্য আর কিছুর প্রয়োজন নেই। ভালোবাসি আর্টসেল কে ভালোবাসি আর্টসেল এর সকলকে ভালোবাসি আর্টসেল এর গান কে।
তবে একজন আর্টসেল ভক্তের কাছে অবশ্যই অবাক করা একটি বিষয় হবে যদি কেউ বলে সে কখনো অনিকেত প্রান্তর কিংবা দুঃখ বিলাস শুনে নি। আর তার থেকে ও আরো বেশি অবাক করা বিষয় হবে যদি কেউ বলে আর্টসেল কি বা আর্টসেল কি করে। এই কথা শুনার পর অবাক হয়ে একটা কোথায় মনের অজান্তে আর্টসেল ভক্ত বলে ফেলবে আর্টসেল মানে ব্লাড সেল। কারণ আর্টসেল যে মিশে আছে প্রতি ভক্তের রক্তের সাথে।তাই আর্টসেল কে এর থেকে সহজ ভাবে বুঝানোর কিছু নেই।
আর্টসেল ব্যান্ড প্রথম যাত্রা শুরু করে ১৯৯৯ সালে। আর্টসেল ব্যান্ডে শুরু থেকেই রয়েছে লিংকন, এরশাদ, সেজান ও সাজু আর তাদের হাত ধরেই আর্টসেলের পথচলা। ব্যান্ডের ভোকাল আর গিটার এ আছে লিংকন। লিড গীটারে গিটার এ রয়েছে এরশাদ। বেজ আর ব্যাক ভোকালে ছিল সেজান। আর ড্রামসে রয়েছে সাজু। আর তাদের বেশিরভাগ লিরিক্সই লিখতো রুপক এবং রুম্মান।আর তারা এই ফরমেশন দিয়ে অসাধারণ কম্পোজিশনের মাধ্যমে ভক্তদের উপহার দিয়েছে দুইটা অসাধারণ অ্যালবাম। আর্টসেলের প্রায় সব গান গুলোই কম্পোজিশন করে ব্যান্ড এর সকলে মিলে।
২০০৬ সালের পর কেটে গিয়েছে প্রায় অনেক গুলো বছর। কিন্তু আর্টসেল এর ভক্তদের অপেক্ষার পালা এখনো শেষ হয় নি। তবে সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আসার আলো দেখিয়েছিলো ২০১৬ ব্যান্ডটি। তারা ঘোষণা দিয়েছিলো তাদের তৃতীয় অ্যালবাম রিলিজ করবে ২০১৬ সালে তবে। ঘোষণা দিয়েও রাখেন নি কথা।ভক্তদের অপেক্ষার অবসান ও হলো না। কিছু দিন পর ব্যান্ড জানালো তাদের ব্যান্ডের মধ্যে জামেলার কারণে তারা তাদের নতুন অ্যালবাম রিলিজ করছে না। আর এতে কোটি ভক্তের মনে আসার আলো দেখিয়ে আবার সেই আলো নিভিয়ে দিলো ব্যান্ডটি। তবে ভক্তদের মন ধারণা জেগেছে ব্যান্ড টা আর আগের মত নেই।আর সেই ধারণাকে আরো ধারালো করে বর্তমানে প্রায় সকল কনসার্ট এ লিংকন এর সাথে সম্পূর্ণ নতুন মেম্বারদের দেখা যাচ্ছে যা আগে কখনো হয় নি। আর এতে ব্যান্ড এর ভক্তদের মনে হানা দিয়েছে হতাশ। কারণ ভক্তরা তাদের প্রাণের ব্যান্ড কে এমন কখনোই দেখতে চান নি তাই ভক্তদের আশা আবার তাদের প্রিয় ব্যান্ড ফিরে আসবে সেই আগের চিরচেনা রূপে। ভক্তদের উপহার দিবেন আরো অনেক গান।
আর্টসেল মানুষের মনে নয় জায়গা করে নিয়েছে রক্তে ,আর তাই মানুষের রক্তের সাথে মিশে হয়তো পথ চলতে থাকবে আরো বহু বছর। হয়তো থেকে যাবে গান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। হয়তো আর্টসেল হয়ে থাকবে সব সময় এক ভালোবাসার নাম।
যার কারণেই হয়তো আর্টসেল নামটি শুনলে শরীরের মধ্যে কেমন জানি একটা শিহরণ সৃষ্টি হয়। গান পাগল ছেলেগুলো যখন চিন্তা করলো একটা ব্যান্ড তৈরী করার , আর সেই চিন্তা থেকেই তারা কাজে লেগে গেলো ব্যান্ড তৈরী করার সময়টা তখন ১৯৯৯ সাল।তাদের প্রথম থেকেই পছন্দের ছিল হার্ড রক আর মেটাল ধরনের গান। তাই তারা চিন্তা করলো তারা তাদের ব্যান্ডে হার্ড রক আর মেটাল ধরনের গানই করবে। আর সেই চিন্তা থেকেই পথ চলা আর্টসেলের।
আর্টসেল প্রথমের দিকে দেশের বাহিরের ব্যান্ডের ইংরেজি গান গুলো ট্রিবিউট করে গাইতো।তারা তাদের পছন্দের ব্যান্ড গুলো গানই বেশি গাইতো। তাদের মূল অনুপ্রেরণা ছিল বাহিরের কিছু ব্যান্ড যেমন মেটালিকা, ড্রিম থিয়েটার, পিংক ফ্লয়েড এদের প্রতি। আর তারা প্রথম দিকে এই ব্যান্ড গুলোর বিভিন্ন গান নিজেদের চিন্তা ধারণা, গুণাবলী ও যোগ্যতা দিয়ে নিজেদের মতো করে গাইতেন। আর এই গান গুলো নিজেদের মতো গেয়ে আর্টসেল প্রথম দিকেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল ব্যান্ড প্রেমীদের কাছে। আর তাদের জনপ্রিয়তা কিছুটা পবার পর তারা দেশের বিভিন্ন জায়গাতে কনসার্ট করতে শুরু করলো। এতে তারা ব্যান্ড প্রেমীদের মনে আরো ভালো ভাবে জায়গা করে নিতে পারলো। আর এই খানে থেকেই তাদের সফলতার পথচলা শুরু হলো।
তারপর তারা যখন বুজতে পারলো তাদের প্রতি ব্যান্ড প্রেমীদের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক তখনি তারা চিন্তা করলো তাদের অ্যালবাম বাহির করার। আর সেই চিন্তা থেকেই তারা তাদের প্রথম অ্যালবাম বাহির করলো ২০০২ সালে। তাদের সেই প্রথম অ্যালবাম টির নাম ছিল অন্য সময়। এই অ্যালবাম টা বাহির হওয়ার পর তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে অ্যালবামটি। এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো যার কারণেই হয়তো আর্টসেলের প্রথম অ্যালবাম অন্য সময় এখনো হাজারো ভক্তের মনে অন্য রকম সারা ফেলে রেখেছে। যা হয়তো কখনোই হারাবার নয়।আর্টসেলের প্রথম অ্যালবাম অন্য সময় এর গান গুলো লিখছিলো রুম্মান, লিংকন এবং সাজু তিনজনে। তাদের লিখা এই গান গুলো হাজারো ভক্তের রক্তে মিশে গিয়েছে। তার তাই হয়তো আজ ও ভক্তদের অন্য সময় অ্যালবাম এর গান গুলো শুনে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। এই গান গুলো জেনো সুরে সুরে বলে দেয় জীবনের মানে।
তাদের অ্যালবাম অন্য সময় যখন খুব জনপ্রিয়তা লাভ করে তখন তারা বেশি বেশি লাইভ কন্সার্ট করতে থাকে যাতে সকল ভক্তের কাছে খুব সহজে পৌঁছাতে পারে এই আশায়। আর তাই তারা পুরোদমে কন্সার্ট করতে থাকে। আর তার ফলেই আস্তে আস্তে তরুণ সমাজের রক্তে মিশে যেতে থাকে আর্টসেল। আর সেই জন্যই তখন তাদের উপর শ্রোতাদের কোনো ভুল ধারণার জন্ম নেই নি বরং সেইদিন খুব বেশি ভালোবাসা জন্মাতে শুরু করেছিল তরুণ ভক্তদের মনে আর্টসেল এর প্রতি। আর্টসেল এই অ্যালবাম এর মাধ্যমে বিশাল ভক্তকুল তৈরী করে নিয়েছিল।যা হয়তো আর্টসেল ও তখন ভেবে দেখে নি।
তাদের প্রথম অ্যালবাম শ্রোতাদের খুব ভালো লাগার কারণে তারা চিন্তা করতে থাকে ভক্তদের জন্য আরো একটি অ্যালবাম বাহির করা।যেমন চিন্তা ঠিক তেমনি কাজ করলো আর্টসেল তারা নতুন অ্যালবাম এর কাজ শুরু করলো।
আর তাদের অ্যালবাম এর কাজ শেষ হওয়ার পর ২০১৬ সালে ভক্তদের উপহার দিলো তাদের নতুন অ্যালবাম অনিকেত প্রান্তর”।তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম টি বাহির হওয়ার পর আর্টসেল ভক্তদের মধ্যে তুমুল সাড়া পরে গেলো।সকলে অ্যালবাম কিনতে ছুটোছুটি শুরু করলো। আর্টসেলের দ্বিতীয় অ্যালবাম অনিকেত প্রান্তর এতটাই জনপ্রিয়তা পেলো যা প্রথম অ্যালবাম এর দ্বিগুন জনপ্রিয়তা হয়েছিল।
এই অ্যালবাম এ ভক্তদের জন্য আর্টসেল একটি ১৬ মিনিট ২২ সেকেন্ডের গান তৈরী করেছিল। সেই গানটি হচ্ছে অ্যালবাম এর টাইটেল সং অনিকেত প্রান্তর।এই গানটা ভক্তদের মনে ব্যাপক সারা ফেলে দেয়। আর সকলেই প্রশংসা করতে থাকে আর্টসেল এর এই গানের। এছাড়া ও এই অ্যালবামটি তে রয়েছে লীন, ধূসর সময় গন্তব্যহীন,তোমাকে,শহীদ সরণির মতো গান গুলো। তবে এই অ্যালবাম এর সব থেকে বড় উপহার ছিল সেই ১৬ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ওই অনিকেত প্রান্তর গানটি।
আর সকলের মন ছুঁয়ে যাওয়া এই গানটির লিরিক্স লিখেছিলো রুম্মান আহমেদ। আর এই গানের কথা গুলো ছিল খুবই অসাধারণ সাথে কম্পোজ করা হয়েছিল মন মাতানো। যা মিলে হয়েছিল এক অনবদ্য গান। আর্টসেলের যাত্রা শুরুর পর চলে গিয়েছে প্রায় ১৮ টি বছর। আর এত লম্বা পথ পারি দিয়েও আর্টসেল তার ভক্তদের দিয়েছে মাত্র ২ টি অ্যালবাম।
কিন্তু সংখ্যাই যত কমই হোক না কেন এই ২ টি অ্যালবাম এর গান বাংলা ব্যান্ড এর গান কে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে যা হয়তো ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। আর এই গান গুলো কখনো হারানোর নয় বা ভোলার মত নয়। আর্টসেল এর গান মানেই থাকবে প্রতিবাদের ভাষা ,তাদের গান গুলো তাই প্রমান করেছে। আর্টসেল এর গান মানেই হচ্ছে লিরিক্সের ভরা গান।
তার প্রমান স্বরূপ একটা গানের নাম বললেই যথেষ্ট আর গান টি হচ্ছে অনিকেত প্রান্তর। আর অবশ্যই সকলকেই স্বীকার করতে হবে আর্টসেল এর গান মানেই হার্ড রক আর মেটাল গানে সংমিশ্রণ। আর এইটা স্বীকার করতে সবাই বাধ্য হার্ড রক আর মেটাল গানে আর্টসেল এর অবদান এর ব্যাপারে। আর্টসেল এর গান গুলোর মধ্যে থাকে গভীর চেতনার চিন্তা ধারার কথা। আর আর্টসেল এর গান গুলি লিখা ও হয়তো হয়েছিল অনেক চিন্তা ধারা থেকেই। আর্টসেল এর প্রতিটা গানেই থাকে নতুন ভাবে জেগে উঠার কথা। প্রতিবাদের অনুপ্রেরণা যোগান কথা।
এখনো আর্টসেল এর কনসার্ট এ যখন লিংকন ভাই গীটার হাতে নিয়ে হুংকার দিয়ে ওঠেন তখন কেউ আর বসে থাকতে পারে না শরীর শিহরিত হয়ে উঠে। গীটারের যাদুকরী লিড তা তো আছে এরশাদ ভাই হাতে যা আর্টসেল এর গান কে করে তুলো আরো বেশি অর্থবহ। একজন ব্যান্ড ভক্তের জন্য এর থেকে আর বেশি কি বা প্রয়োজন হয়। সকল ভক্তের মনে বাজে একই সুর তা হলো আর্টসেল থাকতে মন ভালো করার জন্য আর কিছুর প্রয়োজন নেই। ভালোবাসি আর্টসেল কে ভালোবাসি আর্টসেল এর সকলকে ভালোবাসি আর্টসেল এর গান কে।
তবে একজন আর্টসেল ভক্তের কাছে অবশ্যই অবাক করা একটি বিষয় হবে যদি কেউ বলে সে কখনো অনিকেত প্রান্তর কিংবা দুঃখ বিলাস শুনে নি। আর তার থেকে ও আরো বেশি অবাক করা বিষয় হবে যদি কেউ বলে আর্টসেল কি বা আর্টসেল কি করে। এই কথা শুনার পর অবাক হয়ে একটা কোথায় মনের অজান্তে আর্টসেল ভক্ত বলে ফেলবে আর্টসেল মানে ব্লাড সেল। কারণ আর্টসেল যে মিশে আছে প্রতি ভক্তের রক্তের সাথে।তাই আর্টসেল কে এর থেকে সহজ ভাবে বুঝানোর কিছু নেই।
আর্টসেল ব্যান্ড প্রথম যাত্রা শুরু করে ১৯৯৯ সালে। আর্টসেল ব্যান্ডে শুরু থেকেই রয়েছে লিংকন, এরশাদ, সেজান ও সাজু আর তাদের হাত ধরেই আর্টসেলের পথচলা। ব্যান্ডের ভোকাল আর গিটার এ আছে লিংকন। লিড গীটারে গিটার এ রয়েছে এরশাদ। বেজ আর ব্যাক ভোকালে ছিল সেজান। আর ড্রামসে রয়েছে সাজু। আর তাদের বেশিরভাগ লিরিক্সই লিখতো রুপক এবং রুম্মান।আর তারা এই ফরমেশন দিয়ে অসাধারণ কম্পোজিশনের মাধ্যমে ভক্তদের উপহার দিয়েছে দুইটা অসাধারণ অ্যালবাম। আর্টসেলের প্রায় সব গান গুলোই কম্পোজিশন করে ব্যান্ড এর সকলে মিলে।
২০০৬ সালের পর কেটে গিয়েছে প্রায় অনেক গুলো বছর। কিন্তু আর্টসেল এর ভক্তদের অপেক্ষার পালা এখনো শেষ হয় নি। তবে সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আসার আলো দেখিয়েছিলো ২০১৬ ব্যান্ডটি। তারা ঘোষণা দিয়েছিলো তাদের তৃতীয় অ্যালবাম রিলিজ করবে ২০১৬ সালে তবে। ঘোষণা দিয়েও রাখেন নি কথা।ভক্তদের অপেক্ষার অবসান ও হলো না। কিছু দিন পর ব্যান্ড জানালো তাদের ব্যান্ডের মধ্যে জামেলার কারণে তারা তাদের নতুন অ্যালবাম রিলিজ করছে না। আর এতে কোটি ভক্তের মনে আসার আলো দেখিয়ে আবার সেই আলো নিভিয়ে দিলো ব্যান্ডটি। তবে ভক্তদের মন ধারণা জেগেছে ব্যান্ড টা আর আগের মত নেই।আর সেই ধারণাকে আরো ধারালো করে বর্তমানে প্রায় সকল কনসার্ট এ লিংকন এর সাথে সম্পূর্ণ নতুন মেম্বারদের দেখা যাচ্ছে যা আগে কখনো হয় নি। আর এতে ব্যান্ড এর ভক্তদের মনে হানা দিয়েছে হতাশ। কারণ ভক্তরা তাদের প্রাণের ব্যান্ড কে এমন কখনোই দেখতে চান নি তাই ভক্তদের আশা আবার তাদের প্রিয় ব্যান্ড ফিরে আসবে সেই আগের চিরচেনা রূপে। ভক্তদের উপহার দিবেন আরো অনেক গান।
আর্টসেল মানুষের মনে নয় জায়গা করে নিয়েছে রক্তে ,আর তাই মানুষের রক্তের সাথে মিশে হয়তো পথ চলতে থাকবে আরো বহু বছর। হয়তো থেকে যাবে গান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। হয়তো আর্টসেল হয়ে থাকবে সব সময় এক ভালোবাসার নাম।
প্রথম এলবামঃ অন্য সময়
গানঃ
১. অন্য সময়
২. ভুল জন্ম
৩. পথ চলা
৪. রূপক
৫. মুখোশ
৬. ইতিহাস
৭. কৃত্রিম মানুষ
৮. অবশ অনুভূতির দেয়াল
৯. রাহুর গ্রাস
১০. অলস সময়ের পাড়ে
২য় এলবামঃ অনিকেত প্রান্তর
গানঃ
১. লীন
২. স্মৃতিস্মারক
৩. ধূসর সময়
৪. পাথর বাগান
৫. শহীদ সরণি
৬. ছায়া নিনাদ
৭. ঘুণে খাওয়া রোদ
৮. তোমাকে
৯. গন্তব্যহীন
১০. অনিকেত প্রান্তর
Comments
Post a Comment