পয়জন গ্রীন হচ্ছে বাংলাদেশী থ্র্যাশ মেটাল যুগের সূচনাকারী।বাংলাদেশে থ্র্যাশ মেটালের গুরু ও বলা হয় এই ব্যান্ডকে।পয়জন গ্রীন ব্যান্ড সম্পর্কে জানতে অবশ্যই পড়ুন।
বাংলা থ্র্যাশ মেটাল জগতের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড হচ্ছে পয়জন গ্রীন। বাংলা থ্র্যাশ মেটাল এর নাম আসতেই সবার আগে আসবে যে ব্যান্ডের নাম সেই ব্যান্ড হচ্ছে পয়জন গ্রীন।মূলত বাংলাদেশে থ্র্যাশ মেটাল গানের যাত্রা শুরু করে এই পয়জন গ্রীন ব্যান্ডটি।তাই তাদেরকে থ্র্যাশ মেটাল গানের সূচনাকারী বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক ব্যান্ড থ্র্যাশ মেটাল গান করে থাকে। তার মধ্যে বর্তমানে উল্লেখযোগ্য ব্যান্ড হচ্ছে পাওয়ারসার্জ,সেন্ট মেন রিভোল্ট,গ্রীন আর্মির মতো থ্র্যাশ মেটাল ব্যান্ড রয়েছে বাংলাদেশে। তবুও সকলে থ্র্যাশ মেটালের গুরু হিসেবে পয়জন গ্রীনকেই মানতে হবে।
পয়জন গ্রীন ব্যান্ডটি ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর এর দিকে ঢাকায় যাত্রা শুরু করে। ব্যান্ডটি যাত্রা শুরু করে ভোকাল তানভীর, ড্রামার মল্লিক এবং গিটারিস্ট শিফা এই তিনজন বন্ধু মিলে। তারা তিনজন ছিলেন দীর্ঘ দিনের বন্ধু।এবং তাদের সকলের একই ভাবনা ছিল একটি থ্র্যাশ মেটাল ব্যান্ড করার। তাই তারা ১৯৯৮ সালে ব্যান্ডটি যাত্রা করার সির্দ্ধান্ত নেন। যাত্রা শুরুতে ব্যান্ডটি বাংলাদেশের ব্যান্ড “ রকস্ট্র্যাটা” থেকে অনেক বেশি অনুপ্রানিত হন। তবে এই ব্যান্ডটি যখন যাত্রা শুরু করলো তখন নিয়মিত অনেক মেটাল ব্যান্ড ভেঙ্গে যেতে শুরু করলো তার কারণ তখন মেটাল গানের তেমন কোনো জনপ্রিয়তা ছিল না। কনসার্ট ও হতো না তেমন। আর সেই সময় কিছু সংখ্যক হেভি মেটাল আর হার্ডরকের শ্রোতা থাকলেও বাংলাদেশের এক্সট্রিম মেটালের ধারণা প্রথম পয়জন গ্রীন ই নিয়ে আসে।বাংলাদেশের মেটাল গান যারা পছন্দ করে শুধু তারাই জানে বাংলাদেশী মেটাল ইন্ড্রাস্ট্রিতে তাদের অবস্থান তা কোথায়। আজ তারা আমাদের দেশে অন্যতম সফল আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ড।
পয়জন গ্রীন মূলত তাদের গানের কথায় প্রেমের ব্যার্থতা,সমাজের বিরুদ্ধাচার,রাগ-ক্ষোভ,মৃত্যু,মদ,জীবনে সংগ্রাম,আত্মহত্যার কথা গুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরাই তাদের মূল লক্ষ্য ছিল। তাদের গানের মধ্যে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দেয় তাদের গানের কথার প্রতি। তাদের কম্পোজিশনও অত্যন্ত ভালো ছিল।আর গানের কম্পোজিশন এর কথা আসলে এই ব্যান্ডের লাশকাটা ঘর গানটির কথা চলে আসবে সবার আগে। কম্পোজিশন এর পাশাপাশি এই গানের শেষে গিটার সোলটা ছিল অসাধারণ সুন্দর। এছাড়া ও তাদের করা সব গানই শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছে খুব সহজে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গান হচ্ছে আর্তনাদ,আয়না,আধার নারী সমীপে যা খুব দর্শক জনপ্রিয়তা পায়।
পয়জন গ্রীন ব্যান্ড তাদের প্রথম সিঙ্গেল ট্র্যাক বাজারে রিলিজ করে ২০০১ সালে জি সিরিজ এর ব্যানারে ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম আগুন্তক এ। অ্যালবামটিতে তাদের যে গানটি রিলিজ হয় তা প্রথম থ্র্যাশ মেটাল গান হিসেবে বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টি করে।তাদের করা এই গানটি ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা পায়।এই গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারণে জি-সিরিজ থেকে এই গান এর একটা মিউজিক ভিডিও বের করে। সেই মিউজিক ভিডিও ও তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেই মিউজিক ভিডিও টি জনপ্রিয় টিভি শো “ রক লিংক” এ দেখানো হয়। তাদের প্রথম সিঙ্গেল ট্রাকটি দারুন শ্রোতাপ্রিয়তা পাওয়ার কারণে তারা ২০০৪ সালে ব্যান্ডটি তাদের দ্বিতীয় সিঙ্গেল ট্র্যাক ""এখানেই মৃত্যু"" যে গানটা দিন বদল অ্যালবাম এ রিলিজ পায়। এই গানটি ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় শ্রোতাদের কাছে।
পয়জন গ্রীন ব্যান্ড তাদের প্রথম সেলফ টাইটেলড অ্যালবাম “পয়জন গ্রীন” জিসিরিজ এর ব্যানারে বাজারে রিলিজ করে ৬ আগস্ট ২০০৬ সালে।এই অ্যালবাম টি ব্যাপক সাড়া সৃষ্টি করে থ্র্যাশ মেটাল গানের ভক্তদের কাছে। এই অ্যালবাম এর বেশ কিছু গান দর্শক দের মনে বিপুল সারা ফেলে। অ্যালবাম এর লাশ কাটা ঘর, আলাদা, কাফন,আধার নারী সমীপে, মানবী” গানগুলো খুব বেশি দর্শকপ্রিয়তা পায়। পয়জন গ্রীন ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম এ গান ছিল সর্বমোট ৯ টি।
পয়জন গ্রীন ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম এর গানগুলোর তালিকা দেয়া হলো
১.রিপ ভেরোনিকা
২. অসুস্থ আমি
৩. ভক্তি
৪.যাবেই
৫.আধার নারী সমীপে
৬.লাশ কাটা ঘর
৭.মানবী
৮.কাফন
৯.আলাদা
এই অ্যালবাম টি কিছু দিন এর মধ্যে সারা দেশে দারুন শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। যার কারণে তারা বিভিন্ন শোতে পার্ফমেন্স করতে ব্যাস্ত হয়ে যায়।কিন্তু এর পর পয়জন গ্রীন আর কোনো সিঙ্গেল আর মিস্কড অ্যালবাম রিলিজ করতে পারে নি মিউজিক ইন্ড্রাস্ট্রি এর কিছু সংকীর্ণ মানসিকতার লোকের রাজনীতির কারণে। আর যার কারণে এই সময় ব্যান্ডের সদস্যরা আস্তে আস্তে অন্য দিকে ব্যাস্ত হতে শুরু করে।কেউ কেউ উচ্চশিক্ষা,ব্যবসা ও বিবাহের কারনে ব্যাস্ত হতে শুরু করে। তখন ব্যান্ডের কার্যকম একবারে স্থির হয়ে যায়।
পয়জন গ্রীন ব্যান্ডের এই অবস্থা দেখে ব্যান্ডটির অসংখ্য ভক্ত আশাহত হয়ে পড়ে।প্রথম অ্যালবাম এর পর পয়জন গ্রীন ব্যান্ড আর কোনো অ্যালবাম না করে তারা হতাশ হয়ে যায়। তারপর ২০০৯ সালে যখন গিটারিস্ট শিফাত ব্যান্ড ছেড়ে চলে যাবার পর ব্যান্ড একবারে ভেঙে যেতে শুরু করে। তবে তখন ব্যান্ডের অন্য তিন সদস্য তানভীর,মল্লিক ও সানিয়াত ২০১১ সালে ব্যান্ডকে নিয়ে আবার নতুন করে কাজ করার জন্য চিন্তা ভাবনা করে। এবং সেই লক্ষে তারা নতুন গিটারিস্ট নেয়ার জন্য অডিসন নিতে শুরু শুরু করে। তখন তারা নতুন গিটারিস্ট হিসেবে ব্যান্ডে নেন সুমিতকে। কিন্তু ব্যান্ডে যোগ দেয়ার পর সুমিত দায়িত্বজ্ঞানহীনতা আর মিথ্যা বলার জন্য ব্যান্ড থেকে বিতাড়িত হয়। তখন আবার গিটারিস্ট খুঁজতে শুরু করে ব্যান্ডটি। কিন্তু তখন ব্যান্ড মেম্বার তানভীর এর বন্ধু বেকম্যান আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে চলে আসে চাকরীর সুবাদে ,তখন তানভীর অনুরোধ করা তাকে গিটারিস্ট হিসেবে ব্যান্ডে যোগদান করায়।
তারপর ব্যান্ডটি আবার পুরোদমে কাজ শুরু করতে থাকে। পয়জন গ্রীন ব্যান্ড ২০১২ সালে তাদের একটি সিঙ্গেল ট্র্যাক মিক্সড অ্যালবাম হাতিয়ার রিলিজ করে। তাদের গানটির নাম ছিল “ আয়না”।আর এই গানটি দিয়েই তারা নতুন করে আবার ব্যান্ড জগতে প্রবেশ করে। এরপর দীর্ঘ ৮ বছর পরে পয়জন গ্রীন তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম এর কাজ শুরু করে। তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম টি জিসিরিজ এর ব্যানারে রিলিজ হয় ২০১৪ সালের মাঝে মাঝি সময়ে। এই অ্যালবাম টির নাম ছিল “ ফায়ারিং স্কোয়াড”। তাদের এই অ্যালবাম টি তাদের ১৫ বছর পূর্তিতে রিলিজ করা হয়।
পয়জন গ্রীন ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবাম এর গানগুলোর তালিকা দেয়া হলো :
১.হুরপরী
২.ভাংচুর
৩.আয়না
৪.মালাক- আল-মায়ুত
৫.বুনোহাস
৬.প্রেয়সি
৭.ফায়ারিং স্কোয়াড
৮.সুইট শপ ব্লু
৯.অজানার পথে
১০.ডেথ ফ্রম এভোব
পয়জন গ্রীন ব্যান্ডটি ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর এর দিকে ঢাকায় যাত্রা শুরু করে। ব্যান্ডটি যাত্রা শুরু করে ভোকাল তানভীর, ড্রামার মল্লিক এবং গিটারিস্ট শিফা এই তিনজন বন্ধু মিলে। তারা তিনজন ছিলেন দীর্ঘ দিনের বন্ধু।এবং তাদের সকলের একই ভাবনা ছিল একটি থ্র্যাশ মেটাল ব্যান্ড করার। তাই তারা ১৯৯৮ সালে ব্যান্ডটি যাত্রা করার সির্দ্ধান্ত নেন। যাত্রা শুরুতে ব্যান্ডটি বাংলাদেশের ব্যান্ড “ রকস্ট্র্যাটা” থেকে অনেক বেশি অনুপ্রানিত হন। তবে এই ব্যান্ডটি যখন যাত্রা শুরু করলো তখন নিয়মিত অনেক মেটাল ব্যান্ড ভেঙ্গে যেতে শুরু করলো তার কারণ তখন মেটাল গানের তেমন কোনো জনপ্রিয়তা ছিল না। কনসার্ট ও হতো না তেমন। আর সেই সময় কিছু সংখ্যক হেভি মেটাল আর হার্ডরকের শ্রোতা থাকলেও বাংলাদেশের এক্সট্রিম মেটালের ধারণা প্রথম পয়জন গ্রীন ই নিয়ে আসে।বাংলাদেশের মেটাল গান যারা পছন্দ করে শুধু তারাই জানে বাংলাদেশী মেটাল ইন্ড্রাস্ট্রিতে তাদের অবস্থান তা কোথায়। আজ তারা আমাদের দেশে অন্যতম সফল আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ড।
পয়জন গ্রীন মূলত তাদের গানের কথায় প্রেমের ব্যার্থতা,সমাজের বিরুদ্ধাচার,রাগ-ক্ষোভ,মৃত্যু,মদ,জীবনে সংগ্রাম,আত্মহত্যার কথা গুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরাই তাদের মূল লক্ষ্য ছিল। তাদের গানের মধ্যে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দেয় তাদের গানের কথার প্রতি। তাদের কম্পোজিশনও অত্যন্ত ভালো ছিল।আর গানের কম্পোজিশন এর কথা আসলে এই ব্যান্ডের লাশকাটা ঘর গানটির কথা চলে আসবে সবার আগে। কম্পোজিশন এর পাশাপাশি এই গানের শেষে গিটার সোলটা ছিল অসাধারণ সুন্দর। এছাড়া ও তাদের করা সব গানই শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছে খুব সহজে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গান হচ্ছে আর্তনাদ,আয়না,আধার নারী সমীপে যা খুব দর্শক জনপ্রিয়তা পায়।
পয়জন গ্রীন ব্যান্ড তাদের প্রথম সিঙ্গেল ট্র্যাক বাজারে রিলিজ করে ২০০১ সালে জি সিরিজ এর ব্যানারে ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম আগুন্তক এ। অ্যালবামটিতে তাদের যে গানটি রিলিজ হয় তা প্রথম থ্র্যাশ মেটাল গান হিসেবে বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টি করে।তাদের করা এই গানটি ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা পায়।এই গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারণে জি-সিরিজ থেকে এই গান এর একটা মিউজিক ভিডিও বের করে। সেই মিউজিক ভিডিও ও তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেই মিউজিক ভিডিও টি জনপ্রিয় টিভি শো “ রক লিংক” এ দেখানো হয়। তাদের প্রথম সিঙ্গেল ট্রাকটি দারুন শ্রোতাপ্রিয়তা পাওয়ার কারণে তারা ২০০৪ সালে ব্যান্ডটি তাদের দ্বিতীয় সিঙ্গেল ট্র্যাক ""এখানেই মৃত্যু"" যে গানটা দিন বদল অ্যালবাম এ রিলিজ পায়। এই গানটি ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় শ্রোতাদের কাছে।
পয়জন গ্রীন ব্যান্ড তাদের প্রথম সেলফ টাইটেলড অ্যালবাম “পয়জন গ্রীন” জিসিরিজ এর ব্যানারে বাজারে রিলিজ করে ৬ আগস্ট ২০০৬ সালে।এই অ্যালবাম টি ব্যাপক সাড়া সৃষ্টি করে থ্র্যাশ মেটাল গানের ভক্তদের কাছে। এই অ্যালবাম এর বেশ কিছু গান দর্শক দের মনে বিপুল সারা ফেলে। অ্যালবাম এর লাশ কাটা ঘর, আলাদা, কাফন,আধার নারী সমীপে, মানবী” গানগুলো খুব বেশি দর্শকপ্রিয়তা পায়। পয়জন গ্রীন ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম এ গান ছিল সর্বমোট ৯ টি।
পয়জন গ্রীন ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম এর গানগুলোর তালিকা দেয়া হলো
১.রিপ ভেরোনিকা
২. অসুস্থ আমি
৩. ভক্তি
৪.যাবেই
৫.আধার নারী সমীপে
৬.লাশ কাটা ঘর
৭.মানবী
৮.কাফন
৯.আলাদা
এই অ্যালবাম টি কিছু দিন এর মধ্যে সারা দেশে দারুন শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। যার কারণে তারা বিভিন্ন শোতে পার্ফমেন্স করতে ব্যাস্ত হয়ে যায়।কিন্তু এর পর পয়জন গ্রীন আর কোনো সিঙ্গেল আর মিস্কড অ্যালবাম রিলিজ করতে পারে নি মিউজিক ইন্ড্রাস্ট্রি এর কিছু সংকীর্ণ মানসিকতার লোকের রাজনীতির কারণে। আর যার কারণে এই সময় ব্যান্ডের সদস্যরা আস্তে আস্তে অন্য দিকে ব্যাস্ত হতে শুরু করে।কেউ কেউ উচ্চশিক্ষা,ব্যবসা ও বিবাহের কারনে ব্যাস্ত হতে শুরু করে। তখন ব্যান্ডের কার্যকম একবারে স্থির হয়ে যায়।
পয়জন গ্রীন ব্যান্ডের এই অবস্থা দেখে ব্যান্ডটির অসংখ্য ভক্ত আশাহত হয়ে পড়ে।প্রথম অ্যালবাম এর পর পয়জন গ্রীন ব্যান্ড আর কোনো অ্যালবাম না করে তারা হতাশ হয়ে যায়। তারপর ২০০৯ সালে যখন গিটারিস্ট শিফাত ব্যান্ড ছেড়ে চলে যাবার পর ব্যান্ড একবারে ভেঙে যেতে শুরু করে। তবে তখন ব্যান্ডের অন্য তিন সদস্য তানভীর,মল্লিক ও সানিয়াত ২০১১ সালে ব্যান্ডকে নিয়ে আবার নতুন করে কাজ করার জন্য চিন্তা ভাবনা করে। এবং সেই লক্ষে তারা নতুন গিটারিস্ট নেয়ার জন্য অডিসন নিতে শুরু শুরু করে। তখন তারা নতুন গিটারিস্ট হিসেবে ব্যান্ডে নেন সুমিতকে। কিন্তু ব্যান্ডে যোগ দেয়ার পর সুমিত দায়িত্বজ্ঞানহীনতা আর মিথ্যা বলার জন্য ব্যান্ড থেকে বিতাড়িত হয়। তখন আবার গিটারিস্ট খুঁজতে শুরু করে ব্যান্ডটি। কিন্তু তখন ব্যান্ড মেম্বার তানভীর এর বন্ধু বেকম্যান আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে চলে আসে চাকরীর সুবাদে ,তখন তানভীর অনুরোধ করা তাকে গিটারিস্ট হিসেবে ব্যান্ডে যোগদান করায়।
তারপর ব্যান্ডটি আবার পুরোদমে কাজ শুরু করতে থাকে। পয়জন গ্রীন ব্যান্ড ২০১২ সালে তাদের একটি সিঙ্গেল ট্র্যাক মিক্সড অ্যালবাম হাতিয়ার রিলিজ করে। তাদের গানটির নাম ছিল “ আয়না”।আর এই গানটি দিয়েই তারা নতুন করে আবার ব্যান্ড জগতে প্রবেশ করে। এরপর দীর্ঘ ৮ বছর পরে পয়জন গ্রীন তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম এর কাজ শুরু করে। তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম টি জিসিরিজ এর ব্যানারে রিলিজ হয় ২০১৪ সালের মাঝে মাঝি সময়ে। এই অ্যালবাম টির নাম ছিল “ ফায়ারিং স্কোয়াড”। তাদের এই অ্যালবাম টি তাদের ১৫ বছর পূর্তিতে রিলিজ করা হয়।
পয়জন গ্রীন ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবাম এর গানগুলোর তালিকা দেয়া হলো :
১.হুরপরী
২.ভাংচুর
৩.আয়না
৪.মালাক- আল-মায়ুত
৫.বুনোহাস
৬.প্রেয়সি
৭.ফায়ারিং স্কোয়াড
৮.সুইট শপ ব্লু
৯.অজানার পথে
১০.ডেথ ফ্রম এভোব
পয়জন গ্রীন এর বর্তমান লাইনাপঃ
ভোকালঃ তানভীর চৌধুরী
বেজঃ উপল রায়হান
গিটারঃ তারেক আজিজ তুহিন
গিটারঃ মারুফ আহমেদ সামি
ড্রামসঃ আফিফ শাহ স্বদীপ
বেজঃ উপল রায়হান
গিটারঃ তারেক আজিজ তুহিন
গিটারঃ মারুফ আহমেদ সামি
ড্রামসঃ আফিফ শাহ স্বদীপ
পয়জন গ্রীন ব্যান্ড মূলত রকস্ট্রাটা ,স্ল্যায়ের,সেপুল্টুরা (ওল্ড ,মেগাডেথ,এক্সডিউস ,ওভারকিল ,আইরন মেডেন ব্যান্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে থাকেন ।সমালোচকদের মতে পয়জন গ্রীনের গান মূলত পাওয়ার/স্পিড মেটাল ব্যান্ড ।কিন্তু পয়জন গ্রীন নিজেদের থ্র্যাশ মেটাল ব্যান্ড পরিচয় দিতে বেশী পছন্দ করে।
পয়জন গ্রীনকে অন্যসব থ্র্যাশ মেটাল ব্যান্ড থেকে আলাদা করেছে তাদের গানের কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এর কারণে । "পিজি" নামেই পয়জন গ্রীন শ্রোতাদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। বর্তমানে অনেক নতুন থ্র্যাশ মেটাল ব্যান্ডের অনুপ্রেরণা এখন পয়জন গ্রিন।বাংলাদেশের পাইওনিয়ার অফ থ্র্যাশ মেটাল” বলা হয় পয়জন গ্রিন ব্যান্ড কে।
Comments
Post a Comment