রকস্ট্রাটা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম হেভি মেটাল ব্যান্ড।পাইওনিয়ার এই হেভি মেটাল ব্যান্ড সম্পর্কে জানতে পড়ুন।
"চিৎকার হাহাকার চারিদিকে
কান্না
কিভাবে এসব হলো কেউ যে জানে
না
সবাইকে দেখে মনে হয় যেন অপরাধী
এ জীবন কখনো চাইনি আমি।।
কি কথা গুলো খুব পরিচিত লাগছে তাই না।আপনি যদি মেটালহেড হয়ে থাকেন তাহলে এই কথা গুলোর সাথে পরিচিত হওয়াটা খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। আর মেটালহেড অথচ এই গানের কথা গুলোর সাথে পরিচয় নেই এমন কোনো মেটালহেড হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনি মেটালহেড হলে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন কার কথা বলেছি।
হ্যা ঠিকই ধরেছেন লিজেন্ডারি ব্যান্ড "রকস্ট্রাটার " কথাই বলছি। কারণ রকস্ট্রাটার ব্যান্ডই বাংলাদেশের হেভিমেটাল গানের প্রথম যাত্রা শুরু করে।রকস্ট্রাটার ব্যান্ড বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতে যাত্রা শুরু করে ঢাকায় ১৯৮৫ সালের দিকে। তবে ব্যান্ডটি ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করলেও তাদের প্রথম অ্যালবাম রিলিজ হয় ১৯৯১ সালের দিকে।
১৯৮৪ সালের দিকে ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা মইনুল ইসলাম আর ইমরান হুসাইন সেন্ত জোসেফে দুইজন খুব ভালো বন্ধু ছিলেন এবং তারা দুইজন প্রায়শই জ্যামিং করতেন। তখন তাদের সাথে ব্যান্ডে অন্য সদস্য হিসেবে ছিলেন আসিফ আলম ভোকালে, আসিফ ইকবাল ড্রামস আর সাদকাত কি-বোর্ড। আর তখন ব্যান্ডের চূড়ান্ত লাইনআপ ছিল এইটাই। তখন ব্যান্ডের দুই প্রতিষ্ঠাতা মইনুল এবং ইমরান এর মধ্যে ভালো একটা জুটিতে পরিনত হয়েছিলো।
কিন্তু ব্যান্ড যাত্রা করার কিছু দিনের মধ্যে আসিফ ইকবাল পারিবারিক সমস্যার কারনে ১৯৮৫ সালে ব্যান্ড ছেড়ে চলে যায়।তখন রকস্ট্রাটার ব্যান্ড নতুন ড্রামার হিসেবে মাহবুব রশিদকে ব্যান্ডে যোগদান করানো হয়। তারপর ব্যান্ডের এই লাইনআপটি দীর্ঘদিন স্থায়ী ছিল আর কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়া। রকস্ট্রাটার ব্যান্ড তাদের যাত্রা শুরুর পর বিভিন্ন শোতে শুধু তারা আইরন মেইডেন,পিঙ্ক ফ্লয়েড,ব্ল্যাক
সাব্বাথ এবং মেটালিকা ব্যান্ডের এর গানই কভার করত।
তারপর তারা বাংলা মেটাল গান বানানোর জন্য কাজে নেমে পড়লো ,যে কাজ আগে কখনোই কোনো ব্যান্ড সফলভাবে করতে সক্ষম হয় নি। কিন্তু এই রকস্ট্রাটার ব্যান্ডটি বাংলা মেটাল গান বানানোর কাজে শুধু সফল হয়নি তারা সফলতার সাথে কাজটি করে রীতিমত ইতিহাস তৈরী করে ফেলেছিলো। তারা তাদের প্রথম অ্যালবাম বাজারে রিলিজ করে ১৯৯২ সালের ১৫ মার্চ তারিখে। তখন তাদের অ্যালবাম টির নাম ছিল সেলফটাইটেল অ্যালবাম মানে তাদের ব্যান্ডের নামেই ছিল তাদের প্রথম অ্যালবাম।
রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের লাইনআপ যেমন ছিল :
রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের পুরাতন মেম্বার যারা ছিলেন :
কিন্তু তাদের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ হওয়ার আগেই তাদের ব্যান্ডটিতে ভাঙ্গন শুরু হলো। তাদের সদস্যরা জানতো না যে তাদের ব্যান্ডের নামের অ্যালবাম টি রিলিজ হয়েছে। তার কারণ হলো ১৯৯২ সালে ব্যান্ডটির প্রধান দুই গিটারিস্ট মইনুল ইসলাম আর ইমরান হোসেইন পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা জন্য। তারা ব্যান্ড থেকে বাহির হয়ে যাবার পর ব্যান্ডের বাকি তিন সদস্য বেজ গিটারিস্ট আরশাদ আমিন ,ড্রামার মাহবুবর রশীদ ও ব্যান্ডের ভোকাল মুশফিক আহমেদ তারা আর ব্যান্ডটি নিয়ে আর কাজ করতে চাইলেন না।
যার কারণে বাংলাদেশের সর্ব প্রথম মেটাল ব্যান্ড রকস্ট্রাটার পথচলা শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেলো। রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম বাহির হয় সারগাম এর ব্যানারে। এই অ্যালবাম এ গান ছিল সর্বমোট ১১ টি। রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম এর সব গুলো গানই তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পায়। তাদের এই অ্যালবাম টি মেটালহেডদের কাছে একটি বিশাল পাওয়া ছিল। তাদের রকস্ট্রাটার ব্যান্ড ভেঙ্গে যাবার পর এর ব্যান্ডের দুই সদস্য মইনুল ইসলাম আর ইমরান হোসেইন ছাড়া বাকি তিন সদস্য আরো বেশ কিছু দিন মিউজিক লাইন এ ছিল বিভিন্ন ব্যান্ডের সাথে।
তারপর দীর্ঘ ১৯ বছর পর রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের সদস্যরা তাদের ব্যান্ডের একটি পুনর্মিলনী কনসার্ট করার সির্দ্ধান্ত নেয়।কিন্তু তখন তাদের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ালো গান স্বল্পতা নিয়ে। তাদের দুই তিন ঘন্টার পুনর্মিলনী কনসার্ট এর জন্য গান দরকার ছিল অনেক গুলো। তবে তাদের তো রয়েছে মাত্র ১১ টি গান। যা দুই তিন ঘন্টা কনসার্ট এর জন্য খুবই কম। তাই তারা তাদের গান সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কাজ শুরু করলো তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম এর।
তারপর তাদের অ্যালবাম এর কাজ শেষ হলো ২০১৪ সালের দিকে। তখন রকস্ট্রাটার তাদের ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবাম দীর্ঘ ২২ বছর পর ২০১৪ সালে তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম বাজারে রিলিজ করে। তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম ""নতুন স্বাদের খোঁজে""বিপুল উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে ২ য় ও শেষ অ্যালবাম টি রিলিজ করে।
তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম রিলিজ প্রোগ্রাম টি করা হয় ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের ভেন্যুতে।তাদের অ্যালবাম বাহির হওয়ার পর ২০১৫ সালে রকস্ট্রাটার ব্যান্ড তাদের বহুল কাঙ্খিত রিইউনিয়ন কন্সার্ট " ওয়ান লাস্ট ফাইভ উদযাপন করেন। আর তাদের এই রিইউনিয়ন কন্সার্ট এ অংশ নেন বাংলাদেশের এই সময়ের অনেক জনপ্রিয় ব্যান্ড ক্রিপটিক পেইট,আর্টসেল আর ওয়ারফেজ মতো ব্যান্ডরা। তারা তাদের এই রিইউনিয়ন কন্সার্ট এর মাধ্যমেই তাদের ব্যান্ডের ইতিহাসের সমাপ্তি ঘোষণা করে তখন সেখানে অনেক আবেগঘন অবস্থা তৈরী হয়।
বর্তমানে দেশের প্রায় বেশির ভাগ মেটালহেডরা অনেকেই জানে না রকস্ট্রাটার ব্যান্ড যে বাংলাদেশ ব্যান্ড ইন্ডাস্টির কি ছিল,তারা করা ছিল ,তারা বাংলাদেশ মেটাল মেটালহেডদের জন্য কি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যান্ড জগতে তাদের অবদান বিশাল যা হয়তো আস্তে আস্তে ঢাকা পড়ে যাবে। তারা হয়তো আর কখনো গানের জগতে ফায়ার আসবে না তবে তাদের কাছে সকল মেটাল ভক্তদের একটাই আবদার তারা যেন অন্তত বছরে একটি হলেও সিংগেল ট্রাক মেটাল ভক্তদের উপহার দিয়ে যায়। হয়তো এইটা পূরণ হবার নয়।
রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের প্রকাশিত দুইটি অ্যালবাম এর তালিকা দেয়া হলো :
রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ""রকস্ট্রাটার"" এর গানের তালিকা নিচে দেয়া হলো :
১. রক্তে ভেজা মাটি
২. আর্তনাদ
৩. নির্বাসন
৪. নিউক্লিয়ার স্বাধীনতা
৫. সামান্য দুঃস্বপ্ন
৬. মুক্তি দাও
৭. শেষ রাত্রি
৮. শত লোক
৯. পাগলটা
১০. শান্তির স্বপ্ন
১১. কালো রাত
রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম রকস্ট্রাটার রিলিজ হয় ১৯৯২ সালে।
রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবাম ""নতুন স্বাদের খোঁজে"" এর গানের তালিকা নিচে দেয়া হলো :
১. এই আমার জীবনধারা
২. গুপন কুঠুরি
৩. মরণ বৃষ্টি
৪. দুই
৫. এইটুকু আশা
৬. নতুন স্বাদের খোঁজে
৭. জোস্না রাঙা আকাশ
৮. অশান্তি
৯. চলো হারিয়ে যাও
১০. এই বসন্তে
১১. স্বচ্ছ মানুষ
রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবাম ""নতুন স্বাদের খোঁজে"" রিলিজ হয় ২০১৪ সালে।
কান্না
কিভাবে এসব হলো কেউ যে জানে
না
সবাইকে দেখে মনে হয় যেন অপরাধী
এ জীবন কখনো চাইনি আমি।।
কি কথা গুলো খুব পরিচিত লাগছে তাই না।আপনি যদি মেটালহেড হয়ে থাকেন তাহলে এই কথা গুলোর সাথে পরিচিত হওয়াটা খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। আর মেটালহেড অথচ এই গানের কথা গুলোর সাথে পরিচয় নেই এমন কোনো মেটালহেড হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনি মেটালহেড হলে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন কার কথা বলেছি।
হ্যা ঠিকই ধরেছেন লিজেন্ডারি ব্যান্ড "রকস্ট্রাটার " কথাই বলছি। কারণ রকস্ট্রাটার ব্যান্ডই বাংলাদেশের হেভিমেটাল গানের প্রথম যাত্রা শুরু করে।রকস্ট্রাটার ব্যান্ড বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতে যাত্রা শুরু করে ঢাকায় ১৯৮৫ সালের দিকে। তবে ব্যান্ডটি ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করলেও তাদের প্রথম অ্যালবাম রিলিজ হয় ১৯৯১ সালের দিকে।
১৯৮৪ সালের দিকে ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা মইনুল ইসলাম আর ইমরান হুসাইন সেন্ত জোসেফে দুইজন খুব ভালো বন্ধু ছিলেন এবং তারা দুইজন প্রায়শই জ্যামিং করতেন। তখন তাদের সাথে ব্যান্ডে অন্য সদস্য হিসেবে ছিলেন আসিফ আলম ভোকালে, আসিফ ইকবাল ড্রামস আর সাদকাত কি-বোর্ড। আর তখন ব্যান্ডের চূড়ান্ত লাইনআপ ছিল এইটাই। তখন ব্যান্ডের দুই প্রতিষ্ঠাতা মইনুল এবং ইমরান এর মধ্যে ভালো একটা জুটিতে পরিনত হয়েছিলো।
কিন্তু ব্যান্ড যাত্রা করার কিছু দিনের মধ্যে আসিফ ইকবাল পারিবারিক সমস্যার কারনে ১৯৮৫ সালে ব্যান্ড ছেড়ে চলে যায়।তখন রকস্ট্রাটার ব্যান্ড নতুন ড্রামার হিসেবে মাহবুব রশিদকে ব্যান্ডে যোগদান করানো হয়। তারপর ব্যান্ডের এই লাইনআপটি দীর্ঘদিন স্থায়ী ছিল আর কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়া। রকস্ট্রাটার ব্যান্ড তাদের যাত্রা শুরুর পর বিভিন্ন শোতে শুধু তারা আইরন মেইডেন,পিঙ্ক ফ্লয়েড,ব্ল্যাক
সাব্বাথ এবং মেটালিকা ব্যান্ডের এর গানই কভার করত।
তারপর তারা বাংলা মেটাল গান বানানোর জন্য কাজে নেমে পড়লো ,যে কাজ আগে কখনোই কোনো ব্যান্ড সফলভাবে করতে সক্ষম হয় নি। কিন্তু এই রকস্ট্রাটার ব্যান্ডটি বাংলা মেটাল গান বানানোর কাজে শুধু সফল হয়নি তারা সফলতার সাথে কাজটি করে রীতিমত ইতিহাস তৈরী করে ফেলেছিলো। তারা তাদের প্রথম অ্যালবাম বাজারে রিলিজ করে ১৯৯২ সালের ১৫ মার্চ তারিখে। তখন তাদের অ্যালবাম টির নাম ছিল সেলফটাইটেল অ্যালবাম মানে তাদের ব্যান্ডের নামেই ছিল তাদের প্রথম অ্যালবাম।
রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের লাইনআপ যেমন ছিল :
- এরশাদ আমিন = বেজ ( ১৯৮৫ - বর্তমান)
- মইনুল ইসলাম = গিটার ( ১৯৮৫- বর্তমান)
- ইমরান হোসাইন =গিটার (১৯৮৫- বর্তমান)
- মাহবুবুর রশিদ - ড্রামস ( ১৯৮৫- বর্তমান)
- মুশফিকুর আহমেদ-ভোকালে(১৯৯১ - বর্তমান)
রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের পুরাতন মেম্বার যারা ছিলেন :
- আসিফ আল্ম,
- শোয়েব রহমান,
- মিনহাজ আহমেদ পিকলু
কিন্তু তাদের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ হওয়ার আগেই তাদের ব্যান্ডটিতে ভাঙ্গন শুরু হলো। তাদের সদস্যরা জানতো না যে তাদের ব্যান্ডের নামের অ্যালবাম টি রিলিজ হয়েছে। তার কারণ হলো ১৯৯২ সালে ব্যান্ডটির প্রধান দুই গিটারিস্ট মইনুল ইসলাম আর ইমরান হোসেইন পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা জন্য। তারা ব্যান্ড থেকে বাহির হয়ে যাবার পর ব্যান্ডের বাকি তিন সদস্য বেজ গিটারিস্ট আরশাদ আমিন ,ড্রামার মাহবুবর রশীদ ও ব্যান্ডের ভোকাল মুশফিক আহমেদ তারা আর ব্যান্ডটি নিয়ে আর কাজ করতে চাইলেন না।
যার কারণে বাংলাদেশের সর্ব প্রথম মেটাল ব্যান্ড রকস্ট্রাটার পথচলা শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেলো। রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম বাহির হয় সারগাম এর ব্যানারে। এই অ্যালবাম এ গান ছিল সর্বমোট ১১ টি। রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম এর সব গুলো গানই তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পায়। তাদের এই অ্যালবাম টি মেটালহেডদের কাছে একটি বিশাল পাওয়া ছিল। তাদের রকস্ট্রাটার ব্যান্ড ভেঙ্গে যাবার পর এর ব্যান্ডের দুই সদস্য মইনুল ইসলাম আর ইমরান হোসেইন ছাড়া বাকি তিন সদস্য আরো বেশ কিছু দিন মিউজিক লাইন এ ছিল বিভিন্ন ব্যান্ডের সাথে।
তারপর দীর্ঘ ১৯ বছর পর রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের সদস্যরা তাদের ব্যান্ডের একটি পুনর্মিলনী কনসার্ট করার সির্দ্ধান্ত নেয়।কিন্তু তখন তাদের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ালো গান স্বল্পতা নিয়ে। তাদের দুই তিন ঘন্টার পুনর্মিলনী কনসার্ট এর জন্য গান দরকার ছিল অনেক গুলো। তবে তাদের তো রয়েছে মাত্র ১১ টি গান। যা দুই তিন ঘন্টা কনসার্ট এর জন্য খুবই কম। তাই তারা তাদের গান সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কাজ শুরু করলো তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম এর।
তারপর তাদের অ্যালবাম এর কাজ শেষ হলো ২০১৪ সালের দিকে। তখন রকস্ট্রাটার তাদের ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবাম দীর্ঘ ২২ বছর পর ২০১৪ সালে তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম বাজারে রিলিজ করে। তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম ""নতুন স্বাদের খোঁজে""বিপুল উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে ২ য় ও শেষ অ্যালবাম টি রিলিজ করে।
তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম রিলিজ প্রোগ্রাম টি করা হয় ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের ভেন্যুতে।তাদের অ্যালবাম বাহির হওয়ার পর ২০১৫ সালে রকস্ট্রাটার ব্যান্ড তাদের বহুল কাঙ্খিত রিইউনিয়ন কন্সার্ট " ওয়ান লাস্ট ফাইভ উদযাপন করেন। আর তাদের এই রিইউনিয়ন কন্সার্ট এ অংশ নেন বাংলাদেশের এই সময়ের অনেক জনপ্রিয় ব্যান্ড ক্রিপটিক পেইট,আর্টসেল আর ওয়ারফেজ মতো ব্যান্ডরা। তারা তাদের এই রিইউনিয়ন কন্সার্ট এর মাধ্যমেই তাদের ব্যান্ডের ইতিহাসের সমাপ্তি ঘোষণা করে তখন সেখানে অনেক আবেগঘন অবস্থা তৈরী হয়।
বর্তমানে দেশের প্রায় বেশির ভাগ মেটালহেডরা অনেকেই জানে না রকস্ট্রাটার ব্যান্ড যে বাংলাদেশ ব্যান্ড ইন্ডাস্টির কি ছিল,তারা করা ছিল ,তারা বাংলাদেশ মেটাল মেটালহেডদের জন্য কি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যান্ড জগতে তাদের অবদান বিশাল যা হয়তো আস্তে আস্তে ঢাকা পড়ে যাবে। তারা হয়তো আর কখনো গানের জগতে ফায়ার আসবে না তবে তাদের কাছে সকল মেটাল ভক্তদের একটাই আবদার তারা যেন অন্তত বছরে একটি হলেও সিংগেল ট্রাক মেটাল ভক্তদের উপহার দিয়ে যায়। হয়তো এইটা পূরণ হবার নয়।
রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের প্রকাশিত দুইটি অ্যালবাম এর তালিকা দেয়া হলো :
রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ""রকস্ট্রাটার"" এর গানের তালিকা নিচে দেয়া হলো :
১. রক্তে ভেজা মাটি
২. আর্তনাদ
৩. নির্বাসন
৪. নিউক্লিয়ার স্বাধীনতা
৫. সামান্য দুঃস্বপ্ন
৬. মুক্তি দাও
৭. শেষ রাত্রি
৮. শত লোক
৯. পাগলটা
১০. শান্তির স্বপ্ন
১১. কালো রাত
রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম রকস্ট্রাটার রিলিজ হয় ১৯৯২ সালে।
রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবাম ""নতুন স্বাদের খোঁজে"" এর গানের তালিকা নিচে দেয়া হলো :
১. এই আমার জীবনধারা
২. গুপন কুঠুরি
৩. মরণ বৃষ্টি
৪. দুই
৫. এইটুকু আশা
৬. নতুন স্বাদের খোঁজে
৭. জোস্না রাঙা আকাশ
৮. অশান্তি
৯. চলো হারিয়ে যাও
১০. এই বসন্তে
১১. স্বচ্ছ মানুষ
রকস্ট্রাটার ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবাম ""নতুন স্বাদের খোঁজে"" রিলিজ হয় ২০১৪ সালে।
Comments
Post a Comment